খালেদা জিয়ার হাতে গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ তুলে দিল সরকার
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। বুধবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান তার গুলশানের বাসভবনে গিয়ে এই কাগজ হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম ও রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম। সাক্ষাৎটি ছিল সৌজন্যধর্মী এবং প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী তারা খালেদা জিয়ার বাসভবনে অবস্থান করেন।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার সাংবাদিকদের জানান, “উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এসে কিছু কাগজ হস্তান্তর করেছেন। এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।”
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, গুলশানের এই বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের দখলে থাকলেও এটি তার নামে আনুষ্ঠানিকভাবে নামজারি করা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের উদ্যোগে নামজারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় এবং তারই অংশ হিসেবে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজপত্র হস্তান্তর করা হলো।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৮১ সালের ৩১ মে তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর গুলশানে দেড় বিঘা জমির ওপর অবস্থিত এই বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাড়িটি ‘ফিরোজা’ নামক বাসভবনের কাছাকাছি অবস্থিত, যেখানে বর্তমানে বসবাস করছেন তিনি।
এছাড়া, এর আগে খালেদা জিয়াকে ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরেও একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, যদিও সেই বাড়ি পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দিতে হয়।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাগজপত্র হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা কিছুটা বিলম্বিত হয়েছিল।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নাসরিন সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।শনিবার (৭ জুন) দিনগত রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। নাসরিন সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।নাসরিন সিদ্দিকীর নামাজে জানাজা, দাফন ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কেউ ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলে তার হাত অবশ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, এখন আর কেউ ভোট ডাকাতি করে পার পাবে না।শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা হলরুমে উপজেলা জামায়াত আয়োজিত সর্বস্তরের জনসাধারণের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান।জামায়াত আমির বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ এখনও বাংলাদেশে রয়ে গেছে। আমরা এটিকে মেনে নেব না। আগামী নির্বাচনে কেউ ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলে তার হাত অবশ করে দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, মানুষ নিঃসংকোচে তার দল বা প্রার্থী বেছে নেবে। এখানে কেউ ভোট ডাকাতি করে পার পাবে না। অনেকে হয়ত গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল দিচ্ছেন।’ধর্মীয় ও নৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া কোনো সমাজের স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনার সক্ষমতা যাদের রয়েছে, তারা হলেন আলেম-উলামা। আলেমদের হাতে যদি দেশের নেতৃত্ব থাকে, তবে বাংলাদেশ একটি সুন্দর ও কল্যাণময় রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’সাবেক সরকারের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অতীতে সোনার বাংলা গড়তে এসে অনেকে শ্মশান বাংলা বানাইয়া চলে গেছেন। আমরা ওই বাংলা দেখতে চাই না। আমরা ওই গোরস্থানের শ্মশান বাংলা দেখতে চাই না, আমরা একটা জীবন্ত বাংলা দেখতে চাই।’আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল ইসলামিক দলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর ঐক্য বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন, আমরা সেটা হতে দেব না।’সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ইয়ামির আলীসহ প্রমুখ।ভোরের আকাশ/আজাসা
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার (৭ জুন) রাতে তার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় এ শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।সাক্ষাতের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা আজকে আমাদের জন্য আনন্দের মুহূর্ত, আনন্দক্ষণ। আমাদের নেত্রী- যাকে কেন্দ্র করে আমরা দীর্ঘকাল রাজনীতি করেছি এবং অনেক সফলতা অর্জন করেছে বিএনপি তার নেতৃত্বে, যিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এনেছেন; সেই নেত্রীর সঙ্গে যখন আমরা কথা বলি, আমরা স্বাভাবিকভাবে নতুনভাবে অনুপ্রাণিত বোধ করি।’বিএনপি মহাসচিব যোগ করেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতি তার (খালেদা জিয়া) যে অবিচল আস্থা, সেই আস্থা তিনি সবসময় প্রকাশ করেন এবং তার প্রতিটি কথার মধ্যে আমরা সেই বিষয়টা দেখতে পাই যে, গণতন্ত্রের প্রতি তার যে আস্থা, তার যে অনুরাগ এবং তিনি যে বিশ্বাস করেন- গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া কোনো ব্যবস্থাই ঠিক সেইভাবে কোনো রাষ্ট্রে উপকার করতে পারে না।খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডাম আগের চেয়ে ভালো আছেন। এইটুকু জানাতে চাই, তিনি সুস্থ আছেন, ভালো আছেন, আগের চেয়ে ইনশাল্লাহ ভালো আছেন।’রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ফিরোজায় প্রবেশ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন।স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাক্ষাতের পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হালিম, আফরোজা খানম রিতাসহ কয়েকজন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। তারা বলছে, দেশের জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পেতে যে আন্দোলনে নেমেছে, তা ‘এপ্রিল ফুল’ উদযাপনের জন্য নয়। তাই রাজনৈতিক, সামাজিক ও আবহাওয়াগত দিক বিবেচনায় ডিসেম্বরই নির্বাচন আয়োজনের উপযুক্ত সময়।শনিবার (৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এই দাবি জানান।নেতারা বলেন, “এপ্রিল মাসে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি শুনে মনে হয় যেন এটি একটি ‘এপ্রিল ফুল’ হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে। এপ্রিল মাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া অনিশ্চিত থাকে—একদিকে কালবৈশাখী, অন্যদিকে খরা। রমজান শেষ হওয়ার ঠিক পরেই নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি বাস্তবসম্মত নয়। এসব কারণে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।”বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন এপ্রিলের নির্বাচন চাচ্ছেন, সেটি স্পষ্ট নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কাকে খুশি করতে চাইছেন? তার এই অবস্থান রাজনৈতিকভাবে সন্দেহজনক। আমরা মনে করি, দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো একক ব্যক্তি এমন সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না।”বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট ড. ইউনূসের একটি সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি ব্যবস্থাপনার হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এবং যারা এর বিরোধিতা করবে, তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা—এই বক্তব্য একজন প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে অনুচিত ও অগ্রহণযোগ্য। এতে তার নিরপেক্ষতা ও দেশপ্রেম প্রশ্নের মুখে পড়েছে।”জোট নেতারা বলেন, “ড. ইউনূস আদৌ বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠেছে। দেশের জনগণই ঠিক করবে তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন কিনা। ঈদের পর তার বক্তব্যের বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেব।”তারা আরও বলেন, “দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকেই ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন হবে।”এদিন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মুখপাত্র এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা (বাংলাদেশ জাতীয় দল), ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), রাশেদ প্রধান (জাগপা), লায়ন ফারুক রহমান (লেবার পার্টি), শামসুদ্দীন পারভেজ (কল্যাণ পার্টি), মাওলানা আব্দুর রকিব (ইসলামী ঐক্যজোট), আবুল কাশেম (ইসলামিক পার্টি), এম এ মান্নান (নয়া গণতান্ত্রিক পার্টি), এবং ফিরোজ মো. লিটন (প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল–পিএনপি)।ভোরের আকাশ//হ.র