সংগৃহীত ছবি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে। পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যেন এরকম ঘটনা না ঘটে সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ফোন রিসিভ করছেন না, অন্য উপদেষ্টারা ফোন দিয়ে তাকে পাচ্ছেন না। সরকারের যদি এ অবস্থা হয়! দেশের শিক্ষার্থী-ছাত্রসমাজ সবাই যখন ঘটনায় ব্যস্ত, এ পরিস্থিতিতে সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতো।
সচিবালয়ের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।
সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় প্রধান এক ব্যক্তিই হবেন কি না— এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে বিএনপি জানিয়েছে, দলটি এ বিষয়ে বিরোধিতা করছে না। তবে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে ভিন্নমত (ডিসেন্টস নোট) রাখার সুযোগ রাখার পক্ষে মত দিয়েছে দলটি।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ১৭তম দিনের সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা একই ব্যক্তি হবেন— এ নিয়ে সব দল মোটামুটি একমত। কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করলেও বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি হলো, এটি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ঠিক করবে। পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশেই দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী হন।”সালাহউদ্দিন আরও বলেন, “কোনো একটি রাজনৈতিক দলে একাধিক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। কেউ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কিছুদিনের মধ্যে পদে না-ও থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনি দলীয় প্রধান থাকলেও অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তাই বাধ্যবাধকতার চেয়ে নমনীয়তা রাখা ভালো।”সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, পাঁচ সদস্যের ওই কমিটিতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার এবং বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিরোধী দলীয় নেতা, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন থাকবেন। এই কমিটি বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে নাম আহ্বান করবে এবং ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।বিএনপির এই নেতা জানান, প্রথম প্রস্তাব ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারি ও বিরোধী দল ৫ জন করে এবং তৃতীয় দল ২ জন করে মোট ১২ জনের নাম জমা দেবে। সেই তালিকা থেকে উপদেষ্টার নাম চূড়ান্ত করার চেষ্টা হবে। তবে এখানেও ঐকমত্য না হলে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে র্যাংক চয়েজ ভোটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব এসেছে, যদিও এই বিষয়ে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি।সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা চাই প্রথমেই সার্চ কমিটির মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো হোক। না হলে শেষ পর্যন্ত সংবিধানের এয়োদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান রয়েছে, সেটা অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে রাষ্ট্রপতির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার বিধানটি বাদ দেওয়ার বিষয়টি এখন বিবেচনায় আছে।”এসময় বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু হলে সংবিধানের ১২৩(৩) ও ৭২(১) ধারা সংশোধনের প্রয়োজন হবে। প্রথমটি নির্বাচনকালীন সংসদের বহাল থাকার বিধান সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয়টি সংসদের অধিবেশন আহ্বান সংক্রান্ত। বিএনপির মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হলে এই ধারাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধনের প্রয়োজন হবে এবং এটি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক বিতর্ক থাকবে না।আলোচনার শেষভাগে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একটি নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব ওঠে, তবে এ বিষয়ে বিএনপি কোনো মতামত দেয়নি। সালাহউদ্দিন বলেন, “আমি আজ কিছু বলছি না। আগামীকালের আলোচনায় অংশ নিয়ে মতামত জানাবো।”সর্বসম্মতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়েও প্রশ্ন ওঠে সাংবাদিকদের মধ্যে। জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্বসম্মতি সবসময় সহজ হয় না। তবে, ১৯৯৬ সালে তিন দলের ঐকমত্যের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন সম্ভব হয়েছিল। তাই এবারও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব।”তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই বিভক্তি নয়, চাই ঐকমত্য। বিভক্তি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে ভবিষ্যতে প্রশ্ন থেকেই যাবে।”ভোরের আকাশ//র.ন
চিকিৎসার জন্য আগামীকাল বুধবার চীন যাচ্ছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর। সেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসা নিবেন তিনি।লুৎফুজ্জামান বাবরের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন কারাভোগে নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন বাবর। ইউরোপ-আমেরিকার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে এসব রোগের ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও ব্যয় সংকোচনের জন্য তিনি চীনে যাচ্ছেন। প্রায় দুই সপ্তাহের চিকিৎসা শেষে আগামী ৫ আগস্ট তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।১৭ বছর কারাভোগের পর এ বছর ১৬ জানুয়ারি মুক্তি পান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলাভেন সরকার ও পরে পুরো আওয়ামী আমলজুড়েই কারাগারে ছিলেন এই বিএনপি নেতা। এ সময়ে তার নামে দায়ের অনেকগুলো মামলার মধ্যে চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সবগুলো মামলা থেকে খালাস পান তিনি। লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে জয়লাভ করেন তিনি। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লুৎফুজ্জামান বাবর।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে। পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যেন এরকম ঘটনা না ঘটে সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ফোন রিসিভ করছেন না, অন্য উপদেষ্টারা ফোন দিয়ে তাকে পাচ্ছেন না। সরকারের যদি এ অবস্থা হয়! দেশের শিক্ষার্থী-ছাত্রসমাজ সবাই যখন ঘটনায় ব্যস্ত, এ পরিস্থিতিতে সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতো।সচিবালয়ের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।রাষ্ট্রীয় শোক দিবস উপলক্ষে দলটির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করা হয়। দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান পূর্ব বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমার প্রশ্ন হলো যে একটা প্রশিক্ষণ বিমান তাও ফাইটার বিমানের প্রশিক্ষণ এমন একটা জনবসতিপূর্ণ শহরে হয় কি না। আমরা জানি এই ধরনের প্রশিক্ষণ যেখানে জনগণ থাকে না এরকম অনেক জায়গায় থাকে। সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রশিক্ষণ প্রায় এমনি ঢাকা শহরের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হলো কেন?তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে মানুষের প্রশ্ন রয়েছে বিমান বাহিনীর এই সম্পর্কে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা দরকার এবং এটার জবাব কে দেবে? এটা আপনি কী জবাব দেবেন? আমাদের দেশে বছর বছর যুদ্ধ না হোক সেনাবাহিনীর এক মহড়া হয় সেটাও আমরা জানি, অনেক দূরাঞ্চলে হয়। জনাকীর্ণ এলাকায় হয় না।উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, আজকাল ঢাকা শহরে দিনের বেলায় কোনো প্রশিক্ষণ মোটর যান দেখবেন না। এগুলো এখন রাতের বেলায় হয় তাও প্রধান সড়কে নয়। অর্থাৎ শহরের ভেতরে ছোট ছোট রাস্তায় গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ হয়। এটা সাবধানতা। আর একটা বিমানের প্রশিক্ষণ হবে সেই প্রশিক্ষণটা আরেকটা কথা আছে, সেই প্রশিক্ষণটা প্রত্যেকটা যুদ্ধ বিমানই হোক বিমানটা স্টার্ট করার আগে তার পরীক্ষা করাতে হয় অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে যে, ওই বিমানটা ওড়ানো যাবে কি না এবং এটা সঠিকভাবে চালানো যাবে কি না তার একটা পূর্ব পরীক্ষার ব্যাপার আছে।তিনি আরও বলেন, এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে এই প্রশিক্ষণ যারা দিচ্ছেন বা তদারকি করছেন তারা বিমানটা সচল থাকার মতো যান্ত্রিক অবস্থা ছিল কি না, সেটা পরীক্ষা করা হচ্ছে কি না, এই বিষয়গুলি বা এই প্রশ্নগুলো আজকে জনগণের মনে উঠেছে, প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা প্রয়োজন।গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমি আমার কথা বলছি না, জনগণের অনুভূতি জনগণের প্রশ্নের কথাগুলে বলছি, আমার মনে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই শুনতে পাচ্ছেন। আমরা দেখতে চাই, এখানে আপনাদের কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিলো কি না, আকাশের বিমানটি ওড়ানোর আগে বিমানটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে কি না যথাযথভাবে এবং এই বিমানটা চলার মতো সক্ষম ছিল কি না?’বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, জাসাস-এর হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন ও ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ