ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, সরকার সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। সংস্কারকাজে সচিবালয়সহ কেউ বাধা তৈরি করলে তা সহ্য করা হবে না। দেশের মানুষকে নিয়ে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। গতকাল সোমবার (২৬ মে) সকালে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে পথসভা কর্মসূচির আগে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের আগে এনবিআর, কাস্টমসসহ নানা সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। সেসব প্রতিষ্ঠানে সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকার সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে সচিবালয়সহ কেউ বাধা তৈরি করলে তা সহ্য করা হবে না। সংস্কার কাজে বাধা এলে দেশের মানুষকে নিয়ে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। কর্মসূচির দ্বিতীয়দিনে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়িসহ নানা উপজেলায় পথসভা করবে এনসিপি।
এর আগে রোববার দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৯টি উপজেলা সফর করেন দলটির প্রতিনিধিরা।
এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং দেশের বন্দরগুলোতে চলমান ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মাসউদ।
পোস্টে তিনি বলেন, আপনারা দুর্নীতি আর লুটপাটের স্বাধীনতা চাচ্ছেন, কিন্তু ২৪-পরবর্তী সময়ে আর সেই সুযোগ থাকবে না। সচিবালয়, এনবিআর কিংবা পোর্টে যারা স্ট্রাইক করছেন, তাদের বলছি বিপ্লব ওখানেও হবে।
হান্নান মাসউদ বলেন, হাসিনা সরকারের পুরো শাসনামলে যেসব গুম, খুন, দুর্নীতি ও অর্থপাচার হয়েছে, তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগী আপনারা। ভাববেন না, পার পেয়ে গেছেন। পুনশ্চ বলছি, পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, সরকারের উচিত অবিলম্বে এসব দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অপসারণ করে নিরপেক্ষ একটি কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত চালানো এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রবিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।রিজভী বলেন, জুলাইয়ের আত্মত্যাগ ছিল গণতন্ত্র অবমুক্ত করার। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্রের দুর্ভাগ্য, অবাধ নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হয়। ক্ষমতায় এলেই সবাই তা চিরস্থায়ী করতে চান। অন্তর্বর্তী সরকারও এ ধারায় পড়েছে কি না, তা-ই প্রশ্ন। সবার সমর্থন পেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার পরও টানাপোড়েনে রয়েছে গণতন্ত্র।তিনি বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন হলে প্রচারণার সময় রমজান মাস চলবে। এতে মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। তাই এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। না হলে এ সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
শহীদের রক্তের অমর্যাদা হয়- এমন ভোট দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী, বলেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, তারা একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করে।রবিবার (৮ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার মিলনায়তনে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।জামায়াত আমির বলেন, অন্য কোনো দেশ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করুক, এটা কাম্য নয়। আমরা ৩০০ আসনে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী দিবে। ৩০০ আসনের প্রার্থীদের আমি নিজে সময় দিবো।সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি ইয়ামির আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কাদের জন্য এ সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এতে লাভবান কারা হচ্ছে? তাহলে আগামী নির্বাচনও কি যারা আছে, তারা প্রভাবিত করে তাদের দিকে নিয়ে যাবে বা তাদের মতো করে নির্বাচন করবে? প্রশ্নগুলো উঠে আসছে।রোববার (৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার সময় সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্নটি তোলেন তিনি।আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। ঐকমত্যের বিষয়টিও একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। ইতোমধ্যে বিচারকার্য শুরু হয়েছে। বিচার নিজের গতিতে চলবে। কোনো সরকার বিচার চালাবে না। এসব সিদ্ধান্ত যখন পরিষ্কার, তখন হঠাৎ করে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন তারও আগে করা সম্ভব। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরেও নির্বাচন করা সম্ভব।তিনি বলেন, অনেক ভেবেচিন্তে সবাই মিলে ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কারণ, এরপর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। রমজান মাসে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করার সুযোগ থাকে না। এরপর আবার পরীক্ষা, আবহাওয়া, কালবৈশাখী মিলিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্ভব হবে না। ফলে এপ্রিলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার পেছনে কী কারণ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এপ্রিলে নির্বাচনের সময়টা একেবারেই অযৌক্তিক এবং এটা কাদের স্বার্থে- সেই প্রশ্নও এসে গেছে। আর এই লোকগুলোর স্বার্থ যদি অক্ষুণ্ন থেকে যায়, তবে আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। ভোরের আকাশ/এসএইচ
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নাসরিন সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।শনিবার (৭ জুন) দিনগত রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। নাসরিন সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।নাসরিন সিদ্দিকীর নামাজে জানাজা, দাফন ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ