টার্গেট জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মাজাহারুল ইসলাম
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৪১ এএম
ফাইল ছবি
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জয়ের লক্ষ্যে কৌশলে এগোচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। জনগণের আস্থা ও তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে নানামুখী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। একইসঙ্গে যুবদল স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনগলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ভোটের মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এমনকি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্ভাব্য প্রার্থীদের স্ব-স্ব এলাকায় যেয়ে প্রতিটি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
পাশাপাশি কার জনপ্রিয়তা বেশি সেটিও স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাদের কাছে থেকে খবর রাখছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের পাশাপাশি তরুণ ভোটার আকর্ষণে ব্যস্ত রয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির ভাবনা, গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে তরুণরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। দেশে তরুণ ভোটার ৩ কোটি ৪ লাখ ৭ হাজার। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৯ বছর। মোট ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ভোটারের ২৪ দশমিক ৪২ শতাংশই তরুণ। বড় অংশই শিক্ষার্থী। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা হবেন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ভোটের হিসাবনিকাশ তারা পাল্টে দিতে পারেন। কাজেই বিএনপির টার্গেটও তরুণ ভোটার।
‘প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বদ্ধপরিকর সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল ও ইসি।’ ইসি
সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। পাশাপাশি নির্বাচনী সরঞ্জাম ব্যালট বাক্স, লক, ঢাকনা, গানি ব্যাগ, সিল, বিভিন্ন প্রকার ফরম,প্যাকেট পৌঁছেছে ইসি ভবনে। এই নির্বাচন প্রচলিত পদ্ধতিতে হবে না কি পিআর পদ্ধতিতে হবে এ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা বসা দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা ও ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসের সফরের মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসবে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
তাদের ভাবনা, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে থাকছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। নির্বাচন পদ্ধতি ও জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে চলমান রাজনীতির মাঠের উত্তাপ এই সফরের মধ্যদিয়ে অবসান হচ্ছে বলেও মনে করছেন বিশিষ্টজনরা। অপরদিকে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর নিয়ে জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন ও ইসলামী আন্দোলনসহ সাত দলের কর্মসূচির কর্মকাণ্ডকের ওপর নজর রাখছে বিএনপি।
তবে জামায়াতে ইসলামীর এক সূত্রে জানা যায়, জুলাই সনদ ও পিআর দাবির পাশাপাশি নির্বাচনের আগে মাঠের কর্তৃত্ব নিজেদের দখলে রাখা এবং নেতকর্মীদের চাঙ্গা রাখা। ভোটের মাঠে জয়ের লক্ষ্যে আপাতত জোটে রয়েছে জামায়াত ইসলামীসহ ৭টি দল। একইসঙ্গে জোট গঠন তৎপর রয়েছে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিও বসে নেই।
জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দলের যুগপৎ আন্দোলনের বিপরীতে পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে সারাদেশে নির্বাচনী আবহ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ জন্য সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই, দলীয় ৩১ দফা ও ইতিবাচক কাজ প্রচার, ভোটারের মন জয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়া, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছেন নেতারা।
বিএনপির বিশ্বস্ত সূত্রে জানায়, এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি নিজ দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনমুখী করার কৌশল নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে জনসম্পৃক্তিমূলক কাজ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সকল নেতারা স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকার জনগণকে নিয়ে সভা-সেমিনার করছে। একইসঙ্গে তারুণ্যের সেমিনার ও সমাবেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, তরুণদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা এবং তাদের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করাসহ বিভিন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সেমিনারে কর্মসংস্থান, বহুমাত্রিক শিল্পায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৌলিক অধিকার, কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং নাগরিক সমস্যা নিয়ে তরুণদের বক্তব্য ও মতামত শুনছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। মূলত তরুণদের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতেই এ উদ্যোগ।
এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে প্রতিনিয়ত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনার আহত-নিহত ও জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসাসহ নিহতদের পরিবারের পাশে থাকছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে জটিল রোগাক্রান্ত মানুষকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
বিএনপির এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জনসম্পৃক্ত নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় যাওয়ার পরামর্শ রয়েছে দলটির হাইকমান্ডের। আগামী দিনগুলোতে নির্বাচনের মাঠ কীভাবে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করা যায় এবং জনগণকে কীভাবে নির্বাচনমুখী করা যায়, সেটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনগণের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নেতারা জানান, বিএনপি আগামীতে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চায়। জনগণ সেটি যাতে বোঝে, জনগণের সামনে দৃশ্যমান হয়, বিএনপি সেই ধরনের কর্মসূচি নিয়েই মাঠে রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে প্রতিটি আসনে দলীয় একক প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা থাকবে, যাতে দলের পদপদবির পরিচয়ে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী না হতে পারেন। যদিও এখন প্রায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে একাধিক প্রার্থী প্রচার ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ার আগপর্যন্ত যাতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব-সংঘাতে না জড়ান, সে জন্য কেন্দ্র থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির বিরুদ্ধে নানামুখী অপপ্রচার চলছে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তাই, বিভিন্ন সময়ে অভিযোগের ভিত্তিতে দলের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পরে দেখা গেছে, অভিযোগের সব সত্য নয়। যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি, তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিএনপি এখন মনে করছে, এই সাংগঠনিক পদক্ষেপে দলের অভ্যন্তরে একটা শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে সাত হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে পদচ্যুত বা বহিষ্কার করা হয়ে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, বহুমুখী অপপ্রচারের মাঝেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এগুলো ছিল অপরিহার্য। শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সততার ব্যাপারে আন্তরিক এবং আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছে যেসব মানদণ্ড দাবি করি, নিজেদেরও ঠিক সেই একই মানদণ্ডে দাঁড় করাই। এভাবেই আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই- বিশেষত তরুণদের, যারা রাজনীতিকে কেবলমাত্র ক্ষমতার খেলা হিসেবে দেখতে চায় না; বরং দেখতে চায় সবার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা একটি মহৎ ক্ষেত্র হিসেবে।
বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও বেশি নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করছি, যাতে জাতি আরও এগিয়ে যায় এবং রাজনীতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকে। আমরা চাই, বিএনপির পরিচয় হোক, সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।
বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো আলাদা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেছেন, নিজ ঐতিহ্যকে ধারণ করে, বিএনপি প্রাধান্য দিচ্ছে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, ভবিষ্যতমুখী ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথযাত্রাকে। আমরা জানি, তরুণরা চায় বাস্তব সুযোগ, তারা ফাঁকা বুলি চায় না। জনগণ চায় স্থিতিশীলতা, তারা বিশৃঙ্খলা চায় না। আর বিশ্ব চায়, বাংলাদেশ হোক একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই প্রত্যাশাগুলো পূরণে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তারেক রহমান বলেন, আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই। দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করাকে অন্যতম দায়িত্ব বলে জানিয়ে নেতাকর্মীদের প্রতি বার্তা দিয়েছেন তিনি।
তারেক রহমান আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে, আজকের ও আগামীদিনের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ছুটে যাচ্ছে তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে; গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও মজবুত করছে। এই সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ যেকোনো পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছে। জনকল্যাণে কাজ করছে। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পাশে প্রতিনিয়ত থাকছে বিএনপি। এছাড়া বিভিন্ন রোগাক্রান্ত গরিব মানুষের পাশে রয়েছে আমরা বিএনপি পরিবার।
বিএনপি জনগণের দল, জনগণের পাশে থাকে সর্বদা, জনগণকে নিয়েই বিএনপির রাজনীতি এবং চিন্তা ধারা। দেশের কঠিন ক্রান্তিলগ্নে যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বদা জনগণের পাশে থেকে কাজ করেছে এবং এ কাজ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। এ নির্বাচনে কঠিন লড়াইয়ের হবে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচার মুক্ত হলেও তাদের বীজ দেশে রয়ে গেছে, যা বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করছে। তবে জনগণের ভালোবাসা যদি বিএনপির সঙ্গে থাকে, দেশি-বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্রই দলকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাচ্ছে। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। অর্থাৎ আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দিব। তাই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস যার মধ্য থাকবে, তিনিই ভোট পাবেন। সাবেক এই চিফ হুইপ আরও বলেন, আমি মনে করি, জনগণই আমার শক্তি, জনগণই ভালোবাসায় আজ আমি নেতা- এটাই বাস্তবতা।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ভোটাধিকার বঞ্চিত তরুণরা ক্ষুব্ধ ছিল, তারা আজ ভোটের প্রতি আগ্রহী। সেই তরুণদের ভাবনাও আমরা জানতে পেরেছি। আমরা বলেছি তরুণদের মতামতের ভিত্তিতেই নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে। তরুণরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নেতৃত্ব বাছাই করবেন। তরুনদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, জনগণই বিএনপির শক্তির একমাত্র উৎস। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির চিন্তা, নীতি ও কর্মপরিকল্পনা জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে বিএনপি কাজ করেছিল, এখনও করছে, ভবিষতেও করবে। তাই জনগণই বেছে নেবে কার হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যাবে। জনগণ শুধু বেছে নেবে না, জনগণই চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেবে কে আগামীদিনে দেশ পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, সুন্দর ও বৈষম্যহীন দেশ গঠনে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করার বিকল্প নেই। দেশে তরুণ ভোটার ৩ কোটির ওপর। তাদের বিষয়ে আমাদের কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে। যে কোনো কাজে তরুণদের প্রাধান্য দিতে চায় বিএনপি। দেশের তরুণদের স্বপ্ন, মেধা, জ্ঞান, শক্তি এবং সাহস ধারণ করার সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে বিএনপি কাজে লাগাতে চায় বলেও মনে করছেন তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ