আরসিবির বিজয় উদযাপনে পদপিষ্টের জেরে কর্নাটক ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তার পদত্যাগ
আইপিএল জয়ের আনন্দ বিষাদে রূপ নেওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার পর পদত্যাগ করলেন কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (KSCA) দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।
আরসিবির ট্রফি উদযাপনের সময় বেঙ্গালুরুতে পদদলিত হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করেছেন KSCA-এর সচিব এ শঙ্কর ও কোষাধ্যক্ষ ই এস জয়রাম।
শনিবার (৮ জুন) এক আনুষ্ঠানিক প্রেস বিবৃতিতে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বিবৃতিতে জানানো হয়, “গত কয়েক দিনে বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে। যদিও আমাদের ভূমিকা সীমিত ছিল, তবুও নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আমরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। ৬ জুন রাতেই সভাপতির কাছে এই পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।”
১৭ বছরের অপেক্ষা শেষে আইপিএল ট্রফি ঘরে তুলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। সেই উপলক্ষে আয়োজিত হয় বিজয় মিছিল। তবে উদযাপন পরিণত হয় বিভীষিকায়। গত বুধবার (৪ জুন) শহরের কেন্দ্রস্থলে ওপেন-টপ বাস প্যারেডে মানুষের ভিড়ে ঘটে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা। এতে মারা যান ১১ জন সাধারণ মানুষ, আহত হন অন্তত ৫০ জন।
ইতোমধ্যে বেঙ্গালুরু পুলিশ আরসিবির মার্কেটিং প্রধান নিখিল সোশালে এবং আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় তদন্ত চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রফি উদযাপন ফ্র্যাঞ্চাইজির নিজস্ব আয়োজন হওয়ায় এর দায়ভার মূলত আরসিবি টিম ম্যানেজমেন্টের ওপরই বর্তায়। অতীতে কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও ট্রফি জয়ের পর সাফল্য মিছিল করেছে। তবে তাদের আয়োজনে ছিল পরিকল্পনা ও নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা।
এই ঘটনার পর জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কারা প্রকৃত দায়ী—তা নিয়ে এখন চলছে কাটাছেঁড়া।
ভোরের আকাশ।।হ.র
সংশ্লিষ্ট
নবমবারের মতো এশিয়া কাপ জয় করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিজেদের মেডেল বা ট্রফি গ্রহণ করেননি।ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান তিলক ভার্মা, টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি পান অভিষেক শর্মা, এবং সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার পুরস্কার পান কুলদীপ যাদব। রানার্স-আপ পাকিস্তান দল তাদের মেডেল গ্রহণ করে, এবং অধিনায়ক সালমান আলি আগার হাতে তুলে দেন ৭৫ হাজার ডলারের ডামি চেক।ভারতীয় দলকে মেডেল ও ট্রফি দেওয়ার কথা থাকলেও, প্রেজেন্টেশনের দায়িত্বে থাকা সাইমন ডুল জানান, এসিসির পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়েছে, ভারতীয় দল তাদের পুরস্কার আজকে গ্রহণ করবে না। তিনি অতিরিক্ত কোনো কারণ প্রকাশ করেননি।পুরস্কার গ্রহণ না করার কোনো কারণ খোলাসা করেননি। পরে অবশ্য ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা ট্রফি ছাড়াই নিজেদের মতো করে উদযাপন সারেন এবং মাঠের ফটোগ্রাফারদের জন্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পোজ দিয়ে ছবিও তোলেন।সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের মন্ত্রীপরিষদের সদস্য মহসিন নাকভি পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে উপস্থিত থাকার কারণে ভারতীয় দল তাদের ট্রফি নেননি। নাকভি এসিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন।গত কয়েক মাস ধরে চলা ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে ফাইনালের আগেই বলা হচ্ছিল, ভারতীয় দল নাকভির হাত থেকে ট্রফি গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও হয়তো সে কারণেই চ্যাম্পিয়ন হয়েও কোনো পুরস্কার নিল না তারা।ভোরের আকাশ/তা.কা
এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের কাছে হার মেনে এবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ভারত কেবল পাকিস্তানকেই নয়; বরং পুরো ক্রিকেটকেই অসম্মান করেছে।তার দাবি, ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে হাত মেলালেও ক্যামেরার সামনে ইচ্ছা করেই তা এড়িয়ে গেছেন।আগা বলেন, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলন আর রেফারির বৈঠকে সূর্যকুমার আমার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। কিন্তু ক্যামেরা অন থাকলে তারা হাত মেলাত না। আমার মনে হয়, ওকে এভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, নইলে ও আলাদাভাবে এমন করত না।’বিতর্ক আরও বেড়ে যায় ফাইনালের পর। ভারতের শিরোপা জয়ের পর দলটি ট্রফি গ্রহণ করেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এএসসি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভির হাত থেকে; বরং নকভি ট্রফি নিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যান। এতে নবমবারের মতো এশিয়া কাপ শিরোপা জিতেও ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পারেনি ভারত।এই ঘটনাকে ‘ক্রিকেটের প্রতি চরম অসম্মান’ আখ্যা দিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে হাত না মেলানো মানে আমাদের অসম্মান নয়—এটা ক্রিকেটের অসম্মান। ভালো দলগুলো কখনো এমন করে না। আমরা নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য মেডেল নিয়েছি, ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছি। কিন্তু ভারতের আচরণে হতাশ হয়েছি।’তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেট ভক্তরা আমাদের রোল মডেল মনে করে। ভারত যেটা করল, সেটা ছোটদের জন্য ভয়ানক বার্তা। এই দৃশ্য ক্রিকেটকে ছোট করেছে। আশা করি এমন আচরণ একদিন বন্ধ হবে।’এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। টুর্নামেন্টে টানা তিনবার ভারতের কাছে হার মানতে হয়েছে বাবর-আগাদের। তবে পাকিস্তান অধিনায়ক বিশ্বাস রাখছেন, শিগগির পাল্টে যাবে এই চিত্র। ‘৯০-এর দশকে আমরা তাদের হারাতাম, এখন তারা এগিয়ে। তবে সময় বদলাবে, শিগগির আমরা আবার ভারতকে হারাব,’ মন্তব্য করেন আগা।সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি জানান, পাকিস্তান দল এ ম্যাচের সম্মানী দান করবে মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নিহত পাকিস্তানি সাধারণ নাগরিকদের পরিবারকে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ক্রিকেটার ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সাকিব আল হাসান আবারও আলোচনায়। দীর্ঘদিন পরও বোধোদয় হওয়ার বদলে গণঅভ্যুত্থানে পতন ঘটা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সাকিবের সমর্থনে ক্ষুব্ধ গোটা দেশ। বিশেষ করে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্বজন ও আহতরা ভীষণভাবে মর্মাহত হয়েছেন।শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আক্ষেপ করেছেন। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) তার দেওয়া পোস্ট তুলে ধরা হলো :‘আমার ভাই সৈকত ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসত! ছোট থেকেই তার ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে ক্রিকেটার হবে! কিন্তু সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা মায়ের কাছে আসলে এই চাওয়াগুলো বেশি বেশি,তাই আর আমার ভাইয়ের ক্রিকেটার হওয়া হলো না! এই ক্রিকেট খেলা নিয়ে কত যে মাইর-বকা খাইসে বাসায়! একবার রেসাল্ট খারাপ করছিল বলে ওর ক্রিকেট ব্যাট ও উঠায়ে রাখা হইছিল।বাংলাদেশের মানুষের কাছে, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের কাছে, বাচ্চাদের কাছে, ক্রিকেট মানেই সাকিব! আমাদের সাকিব-আল-হাসান! আমার ভাই সাকিব বলতে অজ্ঞান ছিল।আমার বিশ্বাস, যতগুলো বাচ্চা মারা গিয়েছিল আন্দোলনে, সবার ই তাই! যেই বাচ্চাগুলো এখন আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে নিয়েছে, তারাও তাই! সাকিব ফ্যান!এই সাকিব, যেদিন শহীদ নাফিজ মারা গেল, রিকশায় তার মৃতদেহের কপালে বাংলাদেশের পতাকা বাঁধা ছিল—আমরা সবাই তার পোস্টের আশায় আশায় ছিলাম যে এবার তো সাকিবের পক্ষ থেকে একটা প্রতিবাদমূলক পোস্ট পাবোই!! কিন্তু না,সে আমোদ-ফূর্তিতে পোস্ট করল, ‘আ ওয়েল স্পেন্ট ডে ইন টরোন্টো’!এই পুরো জেনারেশনের মন সেদিন এই সাকিব ভেঙে দিয়েছিল! তবুও, সুশীলরা আস্তে আস্তে তাকে মাফ করে দিচ্ছিল,যে কি-ই বা করার ছিল, তার ক্যারিয়ার নষ্ট করবে নাকি সে? ব্যক্তি সাকিব আর খেলোয়াড় সাকিব আলাদা, ইত্যাদি ইত্যাদি!কিন্তু এই সাকিবই আবার যখন একটা গণহত্যাকারী খুনির জন্মদিনে তাকে আপা সম্বোধন করে শুভেচ্ছা জানায়, আমাদের সবার বোঝা হয়ে যায় কার অবদান কতখানি, কে কতখানি দালাল! আমার ভাইরে সামনে পাইলে এখন থাপড়াইতাম, দেখাইতাম যে দেখ, এই দালালের ফ্যান ছিলি তুই! তোর, তোদের মৃত্যুতে এই দালালের বাচ্চাদের কিচ্ছু হয় নাই, তারাও সমানভাবে দায়ী! আমি চাই এরা প্রত্যেকে যাতে সন্তান হারানোর কষ্ট উপলব্ধি করে! প্রত্যেকে! সব্বাই! সাকিব, আপনাকে অনেক অনেক ঘেন্না! অনেক ঘেন্না! সামনে পাইলে একদলা থুথু মারতাম! আপনার মাঝে অতটুকু ট্যালেন্ট ছিল যে, পা না চাটলেও সাক্সেসফুল হইতেন! বাট, ইউ চোজ টু লিক হার ফিট! কিপ লিকিং ইট। বাই দিস, মেইবি ইউ ক্যান আর্ন আ ফিউ মোর ক্রোরস, বাট নট আওয়ার লাভ এগেইন!ভোরের আকাশ/মো.আ.
আগামী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগে সোমবার পর্যন্ত চলেছে পরিচালক পদে মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া।মনোনয়ন গ্রহণ শেষে দেখা গেছে, খুলনা ও সিলেট বিভাগের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্ধারিত হচ্ছে। খুলনা বিভাগের দুজন নতুন পরিচালক হচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক এবং জুলফিকার আলি খান। সিলেটের একমাত্র মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রাহাত শামস, ফলে তিনি সিলেটের নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে আসবেন। বরিশাল বিভাগের একমাত্র মনোনয়ন জমা পড়ায় সাখাওয়াত হোসেনও পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হবেন। তবে সব মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হলে তারা চূড়ান্তভাবে দায়িত্ব নেবেন।এদিকে, অন্যান্য বিভাগের জন্যও মনোনয়ন জমা পড়েছে। রাজশাহী থেকে ৪টি, রংপুর থেকে ৩টি, চট্টগ্রাম থেকে ৪টি এবং ঢাকা বিভাগ থেকে ৩টি মনোনয়ন জমা পড়েছে।মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় মোট ৫১টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এর মধ্যে জেলা-বিভাগ থেকে ১৫টি, ঢাকার ক্লাব থেকে ৩০টি এবং ক্যাটাগরি ৩ থেকে ৩টি মনোনয়ন নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বিভাগের ৩ জন, চট্টগ্রাম ৫ জন, খুলনা ৩ জন, রাজশাহী ৪ জন, সিলেট ৩ জন, রংপুর ৬ জন এবং বরিশাল ১ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।বিসিবি নির্বাচন সম্পর্কে কর্মকর্তা জানান, মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পরেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।ভোরের আকাশ // হ.র