সংগৃহীত ছবি
ইউরোপের তিন দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের সঙ্গে পরমাণু সংলাপে বসতে যাচ্ছে ইরান। আগামী ২৫ জুলাই শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে শুরু হতে যাচ্ছে এই সংলাপ।
গত মে মাসের শেষ দিকে নিজেদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের সঙ্গে সমঝোতামূলক চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল ইরান। কিন্তু সংলাপ চলমান থাকা অবস্থাতেই ইরানে বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরানও। পরে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে ২৫ অক্টোবর যুদ্ধবিরতিতে যায় ইরান ও ইসরায়েল। এরপর ইরানকে আবারও সংলাপে আসার আহ্বান জানান ট্রাম্প; কিন্তু এবার বেঁকে বসে তেহরান।
এর মাঝেই গত শুক্রবার ইরানকে সংলাপে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন। আর ইরান তাতে সাড়াও দিয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন প্রেস টিভি ।
গত বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি’র সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কয়েক জন রাষ্ট্রদূত।
তারা আব্বাস আরাগচিকে বোঝাতে সক্ষম হন যে ইরানের জন্যে এখন কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বনের ভিত্তিতে একটি পরমাণু চুক্তিতে আসা জরুরি। যদি ইরান তাতে ব্যর্থ হয়— সেক্ষেত্রে জাতিসংঘ ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।
আর জাতিসংঘের স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া শুরু করলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বে ইরান। ওই বৈঠকের পরে ইউরোপের প্রভাবশালী তিন দেশের সঙ্গে সংলাপে বসতে সম্মত হয় ইরান।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ইউরোপের তিন দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের সঙ্গে পরমাণু সংলাপে বসতে যাচ্ছে ইরান। আগামী ২৫ জুলাই শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে শুরু হতে যাচ্ছে এই সংলাপ।গত মে মাসের শেষ দিকে নিজেদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের সঙ্গে সমঝোতামূলক চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল ইরান। কিন্তু সংলাপ চলমান থাকা অবস্থাতেই ইরানে বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরানও। পরে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে ২৫ অক্টোবর যুদ্ধবিরতিতে যায় ইরান ও ইসরায়েল। এরপর ইরানকে আবারও সংলাপে আসার আহ্বান জানান ট্রাম্প; কিন্তু এবার বেঁকে বসে তেহরান।এর মাঝেই গত শুক্রবার ইরানকে সংলাপে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন। আর ইরান তাতে সাড়াও দিয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন প্রেস টিভি । গত বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি’র সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কয়েক জন রাষ্ট্রদূত। তারা আব্বাস আরাগচিকে বোঝাতে সক্ষম হন যে ইরানের জন্যে এখন কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বনের ভিত্তিতে একটি পরমাণু চুক্তিতে আসা জরুরি। যদি ইরান তাতে ব্যর্থ হয়— সেক্ষেত্রে জাতিসংঘ ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। আর জাতিসংঘের স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া শুরু করলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বে ইরান। ওই বৈঠকের পরে ইউরোপের প্রভাবশালী তিন দেশের সঙ্গে সংলাপে বসতে সম্মত হয় ইরান।সূত্র : আনাদোলু এজেন্সিভোরের আকাশ/জাআ
খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ৭৫ বছর বয়সী এই নেতা বর্তমানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন এবং অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় রোববার (২০ জুলাই) নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী তিন দিন বাসা থেকেই দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানানো হয়েছে।প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার সকালে নিয়মিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না নেতানিয়াহু। আর এ সময়েই তার অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসে। পরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, তিনি রাতে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। হাদাসা আইন কেরেম হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিভাগের পরিচালক ডা. আলোন হার্শকো তাকে বাসায় গিয়ে পরীক্ষা করেন।চিকিৎসকেরা জানান, নষ্ট খাবার খাওয়ার ফলে নেতানিয়াহুর অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে। এতে তিনি পানিশূন্যতায় ভুগছেন এবং তাকে স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, আগামী তিন দিন তিনি বাসা থেকেই রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এ কারণে সোমবার ও মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলার শুনানি স্থগিত করা হয়েছে। আদালত গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চলে যাওয়ায় ৫ সেপ্টেম্বরের আগে কোনো শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।উল্লেখ্য, নেতানিয়াহুর দেহে ২০২৩ সালে একটি পেসমেকার বসানো হয়েছিল। এছাড়া ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মূত্রনালিতে সংক্রমণের কারণে তাঁর প্রোস্টেট অপসারণ করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন বলে নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একদিনে নিহত হয়েছেন আরও ১১৫ ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। সোমবার (২১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিং এলাকায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত জনতার ওপর হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। দক্ষিণে আরেকটি বিতরণ কেন্দ্রের কাছে আরও ৬ জন নিহত হন। এর আগের দিন একইভাবে মারা গিয়েছিলেন ৩৬ জন। গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৯০০ জনের বেশি মানুষ।আল জাজিরা বলছে, ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আহমেদ হাসুনা। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে একজন যুবক ছিল। হঠাৎ গ্যাস নিক্ষেপ শুরু হলো। গ্যাসেই আমাদের শেষ করে ফেলছিল। আমরা কোনওমতে পালিয়ে এসে একটু নিশ্বাস নিতে পারলাম।আরেক বাসিন্দা রিজেক বেতার জানান, আহত এক বৃদ্ধকে তিনি সাইকেলে করে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরাই তাকে নিয়ে এসেছি। এখানে অ্যাম্বুলেন্স নেই, খাবার নেই, জীবন নেই, বেঁচে থাকার পথ নেই। আমরা কোনোমতে টিকে আছি। আল্লাহই আমাদের সহায় হোন।জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গাজায় প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ২৫ ট্রাকের একটি ত্রাণবহরে গুলি চালানো হয়। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত বেসামরিক মানুষের ওপর কোনো ধরনের সহিংসতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা “তাৎক্ষণিক হুমকির” জবাবে “সতর্কতামূলক গুলি” ছুড়েছিল, তবে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ বহর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়নি। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ জানায়, গাজায় পরিস্থিতি এখন “বিপর্যয়কর”। অনেক শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে এবং অনেকে খাবার পাওয়ার আগেই মারা যাচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস বলেছে, ক্ষুধার্ত নারীদের, শিশুদের এবং পুরুষদের ওপর ইসরায়েলের এ ধরনের ক্রমাগত হামলা নিছক মানবিক বিপর্যয় নয়, বরং এটি একটি গণহত্যা, যা পশ্চিমা বিশ্ব নীরব থেকে সম্ভব করছে।জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার কর্মীরা খাবারের জন্য বারবার হতাশায় বার্তা পাঠাচ্ছেন। তিনি জানান, সবই মানবসৃষ্ট এবং একেবারে দায়মুক্তিতে ঘটছে। কয়েক কিলোমিটার দূরেই খাদ্য মজুদ থাকলেও সেটি পৌঁছাচ্ছে না।গাজার প্যালেস্টিনিয়ান মেডিকেল রিলিফ সোসাইটির পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু আফাশ বলেন, বহু নারী ও শিশু ক্ষুধার কারণে রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, আমরা এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমে পাকিস্তানে অন্তত ২০২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯৬ জনই শিশু। শনিবার (২০ জুলাই) পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এ তথ্য জানিয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।সরকারি তথ্য বলছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পাঞ্জাবে সবচেয়ে বেশি ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৪০ জন, সিন্ধুতে ২১, বেলুচিস্তানে ১৬ এবং ইসলামাবাদ এবং আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন।কেবল ঘরের ছাদ ধসেই প্রাণ গেছে ১১৮ জনের। এছাড়া, আকস্মিক বন্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, জলাবদ্ধতায় ডুবে যাওয়া, বজ্রপাত এবং পাহাড়ধসেও অনেকে নিহত হয়েছেন। একই সময় আহত হয়েছেন ৫৬০ জনের বেশি, যাদের মধ্যে ১৮২ জন শিশু রয়েছে।জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রাওয়ালপিন্ডিতে আকস্মিক বন্যা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বাজার ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, ধামিয়াল, হাতি চক ও মর্গাহের মতো পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। টেঞ্চ ভাটা ও ফৌজি কলোনিতে পানির স্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যায়–কিছু এলাকায় ছাদ পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় বাসিন্দাদের তাদের জিনিসপত্র ফেলে রেখে পালাতে বাধ্য হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ