× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার
নাজিরপুরে ভাসমান সবজি চাষে সাফল্য, পেয়েছে বিশ্ব স্বীকৃতি

নাজিরপুরে ভাসমান সবজি চাষে সাফল্য, পেয়েছে বিশ্ব স্বীকৃতি


পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি ও চারা চাষে কৃষকরা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন, যা একটি পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক পদ্ধতি; কচুরিপানা, শ্যাওলা ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ দিয়ে ভেলা (ধাপ) তৈরি করে বর্ষায় পানির উপর লাউ, কুমড়া, শসা, টমেটো, শাকসহ নানা সবজি ও চারা উৎপাদন করা হয়, যা কম খরচে ভালো ফলন দেয় এবং কৃষকদের আর্থিকভাবে সচ্ছল করেছে, এমনকি এই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিটি বিশ্ব স্বীকৃতিও পেয়েছে।সংগৃহীত ছবিপিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার অধিকাংশ যায়গায় নিম্নভূমি। সারা বছরই থাকে জলমগ্ন। উপজেলার নাজিরপুরের প্রত্যন্ত এলাকা দেউলবাড়ী-দোবড়া, কলার-দোয়ানিয়া ও মালিখালী ইউনিয়নের অধিকাংশই বিলাঞ্চল। এখানকার বাসিন্দারা বছরের প্রায় ৬ মাসই থাকেন পানিবন্দি। এক মৌসুমের ফসলে যা আসে তাতে সারা বছর অভাব-অনটনের মধ্যে থাকতে হয়। তবে তাদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিয়েছে এ ভাসমান সবজি চাষ।তবে, আধুনিক যুগে এ পেশা লাভজনক হওয়ায় সহস্রাধিক কৃষক এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে এ উপজেলায় অন্তত ১৮০ হেক্টর জলাশয়ে ভাসমান সবজি চাষ হচ্ছে। দুইশ বছরেরও আগে থেকে চলে আসা এ বিরল কৃষি পদ্ধতির চাষ দেশ ছাপিয়ে বিশ্ব স্বীকৃতি অর্জন করেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই স্বীকৃতিপত্র বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরাও বর্তমানে জলমগ্ন ভূমিতে এ ধরনের বিশেষ পদ্ধতির চাষাবাদের প্রশিক্ষণসহ কৃষকদের ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করছেন।সংগৃহীত ছবিনাজিরপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে বৈঠাকাটা বাজার সন্নিহিত মুগারঝোর গ্রাম অবস্থিত। এখানে জলাভূমিসহ বিলাঞ্চলের ১৮০ হেক্টর জমিতে নয়নাভিরাম ব্যতিক্রমী এ চাষাবাদের দেখা মেলে।ভাসমান বেড তৈরি : বর্ষার শুরু অর্থাৎ আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত এই ৫ মাস কৃষকদের ভাসমান ধাপের ওপর ৪১ প্রজাতির শাক-সবজির চারা উৎপাদন ও বিক্রির সময়। আষাঢ়ে এসব গ্রামের নিচু জমি পানিতে প্লাবিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা নেমে পড়ে ধাপ প্রস্তুতির কাজে। কচুরিপানা, দুলালীলতা, শ্যাওলা, টেপপানা, গুঁড়িপানা ইত্যাদি জলজ উদ্ভিদের সঙ্গে খড়কুটা এবং নারিকেলের ছোবড়াগুঁড়া মিলিয়ে স্তরে স্তরে সাজিয়ে তৈরি করা হয় ভাসমান বীজতলা বা ধাপ। যা পচে তৈরি হয় জৈব সার। ১০০-১৮০ ফুট লম্বা, ৫-৬ ফুট চওড়া এবং এক-দেড় ফুট পুরু বীজতলা তৈরি হয়, যা থাকে ৮-১০ ফুট পানিতে ভাসমান।পুরুষরা ধাপ তৈরি, চারা স্থাপন, পরিচর্যা ও চারা বিক্রির কাজ করেন। আর নারী ও ছোট ছেলেমেয়েরা বাড়িতে বসে চারা তৈরির প্রাথমিক স্তর অর্থাৎ বীজের অঙ্কুরোদগম ঘটানোর কাজ করে। শ্যাওলা, নারিকেল ছোবড়া ও কেঁচো সার ইত্যাদি দিয়ে ছোট ছোট বল আকারের বস্তু তৈরি করে। স্থানীয় ভাষায় একে ‘টেমা বা দৌল্লা’ বলে। এর মধ্যে বীজ রেখে অঙ্কুরোদগম ঘটানো হয়, যা পরে ভাসমান বীজতলা বা ধাপের ওপর স্থাপন করে নির্দিষ্ট সময় পরিচর্যার পর চারায় পরিণত করা হয়।সংগৃহীত ছবিসরেজমিন দেখা যায়, বিলাঞ্চলের পানির ওপর ভাসমান বেডে শসা, কাঁকরোল, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, বেগুন, টমেটো, পেঁপে, মরিচের চারা, লালশাক, পালংশাক ও মুলাসহ নানা প্রকার সবজির সমারোহ। বিলের পানি ছাড়াও এই পদ্ধতিতে বাড়ির পাশে জলাশয়ে সবজি চাষ করা হচ্ছে। এখন চলছে ভাসমান বেডে কৃষকের চারা তৈরির আসল সময়। আবার দেখা যায়, শীতের মৌসুমে বিলের পানি অনেকটা নিচে নেমে গেলে সবজি চারা বিক্রি করার পরে এখানেই রোপণ করা হবে বোরো ধান। মুগারঝোর গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম সেখ (৬০) বলেন, এলাকার অধিকাংশ জমিতে এক ফসল হয়। বছরের প্রায় ৬ মাস পানিতে তলিয়ে থাকে এসব অঞ্চল। আগে অভাব অনাটন লেগেই থাকত, পরে ভাসমান সবজি চাষ শুরু করার পরে আর আমাদের পেছনে ফিরে তাকাতে হয় না। এই সবজি চারা বিক্রয় ও সবজি তোলা শেষ হলেই একই বেডে বিরি ধান রোপণ করা হবে। তিনি বলেন, এবার ২০টি বেডে সবজি চারা চাষ করেছি। বেডপ্রতি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১১ হাজার টাকা। গেল বছরের তুলনায় এ বছর দাম কিছু বৃদ্ধি থাকায় আশা করি, বেডপ্রতি ২০ হাজার টাকার চারা বিক্রি করতে পারব।সংগৃহীত ছবিদেউলবাড়ী গ্রামের রাজেস আলী বলেন, সপ্তাহে দুদিন গাওখালী ভাসমান বাজারে নৌকার হাটে এবং গাওখালী বাজারে সবজি নিয়ে বিক্রি করি। কখনো কখনো ব্যবসায়ীরা এসে বাড়ি থেকেই সবজি কিনে নিয়ে যান। বিষমুক্ত হওয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে এসব সবজির। এখান থেকে সবজি এবং চারা ট্রাকে এবং নদীপথে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়, ঢাকায়ও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। মুগারঝোড় গ্রামের কৃষক মো. ফেরদাউস (৫০) বলেন, ছোটবেলা থেকেই ভাসমান সবজি চাষ করে আসছি। আমাদের বাবা-দাদারা এভাবে চাষ করতেন।সংগৃহীত ছবিএ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাতুন্নেছা এশা বলেন, উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে ২ হাজার ১৭৫টি ভাসমান বেড রয়েছে। পরিবেশবান্ধব ও জৈব পদ্ধতিতে এ ফসল আবাদ করা হয়। চাষের খরচ তুলনামূলকভাবে খুবই কম। সেচের প্রয়োজন খুব একটা পড়ে না। খুব কম সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করা যায়।ভোরের আকাশ/তা.কা 

২ দিন আগে

শীতকালীন সবজির উপকারিতা

শীতকালীন সবজির উপকারিতা


শীতকালে এসব মৌসুমি শাক-সবজি বা ফল গ্রহণের মাধ্যমে সহজেই শরীরের চাহিদা মোতাবেক পুষ্টি উপাদান, বিশেষ করে ভিটামিন ও মিনারেলসের চাহিদা পূরণ সম্ভব। খাদ্যের উপাদানের মধ্যে ভিটামিন ও মিনারেলসের অন্যতম উৎস হল শাক-সবজি ও ফলমূল।মূলত ভিটামিন ও মিনারেলস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং আমাদের শরীরকে খাদ্যের শর্করা, আমিষ ও চর্বির ব্যবহারে সাহায্য করে। অর্থাৎ আমাদের শরীর রক্ষায় শাক-সবজি ও ফলমূলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। চলুন পাঁচটি শীতকালীন সবজির উপকারিতা দেখে নেওয়া যাক।মটরশুঁটিমটরশুঁটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। প্রতি ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ১২৫ কিলোক্যালরি। উদ্ভিজ আমিষের বড় ভাণ্ডার হল শিম। শিমে আমিষ ছাড়াও স্নেহ ও ফাইবারজাতীয় খাবার অংশ থাকে। শিমের আঁশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর করে। রক্তে কোলেস্টরোলের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস করে পাকস্থলী ও প্লিহার শক্তি বাড়ায়। লিউকোরিয়াসহ মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, শিশুদের অপুষ্টি দূর করে এবং পুষ্টি প্রদান করে থাকে।ফুলকপিফুলকপিতে আছে ভিটামিন-এ, বি, ও সি। এছাড়াও আছে আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সালফার। গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশু এবং যারা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করে তাদের জন্য ফুলকপি বেশ উপকারি। ফুলকপি পাকস্থলির ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শীতকালীন বিভিন্ন রোগ যেমন- জ্বর, কাশি, সর্দি প্রতিরোধ করে। ফুলকপিতে বিদ্যমান ‘সালফোরাফোন’ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই সবজিতে খুব ভালো পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যসহ পেটের নানা সমস্যা দূর করে। এই খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর।গাজরগাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি। তরকারি বা সালাদ হিসেবে এই সবজি খাওয়া যায়। গাজরের পুষ্টির উপাদান গুলি হলো— ক্যালোরি: ৩৩ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার: ২ গ্রাম, চিনি: ৫ গ্রাম, প্রোটিন: ১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট: ৭ গ্রাম, সোডিয়াম: ৬০ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম: ২৫০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম: ২% ডিভি, আইরন: ২% ডিভি, ভিটামিন-এ: ১১০% ডিভি, ভিটামিন-সি: ১০% ডিভি। গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। গাজরে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয় ও ত্বক উজ্জ্বল হয়।টমেটোটমেটো প্রচুর উপকারি একটি সবজি। এর প্রচুর ঔষধি গুণ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে আছে ০.৯ গ্রাম আমিষ, ৩.৬ গ্রাম শর্করা, ০.৮ মি. গ্রাম আঁশ, ০.২ মি. গ্রাম চর্বি, ২০ কিলোক্যালরি শক্তি, ৪৮ মি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২০ মি. গ্রাম ফসফরাস, ০.৬৪ মি. গ্রাম লৌহ, ৩৫১ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ২৭ মি. গ্রাম ভিটামিন ‘সি’। টমেটোর লাইকোপেন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও হৃদরোগে কার্যকর। নিয়মিত টমেটো খেলে পাকস্থলী ও অন্ত্র সুস্থ ও সবল থাকে।ব্রোকলিব্রোকলি বা সবুজ ফুলকপি একটি কপিজাতীয় সবজি। শীতকালীন সবজি হিসেবে ব্রোকলি বর্তমানে আমাদের দেশে চাষ করা হচ্ছে। ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। ব্রোকলি অত্যন্ত উপাদেয়, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি সবজি। এটি চোখের রোগ, রাতকানা, অস্থি বিকৃতি প্রভৃতির উপসর্গ দূর করে ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।ভোরের আকাশ/তা.কা  

৩ সপ্তাহ আগে

ভাদ্র মাসে লাউ চাষ করবেন যেভাবে

ভাদ্র মাসে লাউ চাষ করবেন যেভাবে


শুরু হতে যাচ্ছে ভাদ্র মাস। ঋতুবৈচিত্র্যে আসছে শরৎকাল। চারিদিকে রয়েছে পানিও। এ সময়ে একটু উঁচু স্থানে চাষ করতে পারেন লাউ। এটি শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারাবছরই চাষ করা যায়। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে ফলন কমে যেতে পারে।ভাদ্র মাসে লাউ চাষ করার জন্য কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। উঁচু স্থান নির্বাচন করা, সঠিক সময়ে বীজ বপন করা, এবং পর্যাপ্ত সার ও পরিচর্যা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।ভাদ্র মাসে লাউ চাষের জন্য যা যা করতে পারেন:১. জমি নির্বাচন ও প্রস্তুতি: লাউ চাষের জন্য উঁচু স্থান নির্বাচন করুন, যেখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকার সম্ভবনা কম।জমি ভালভাবে চাষ করে মাদা বা গর্ত তৈরি করুন। মাদাগুলোর মধ্যে ৪-৫ মিটার দূরত্ব রাখুন এবং প্রতিটি মাদার আকার ৭৫ সেন্টিমিটার চওড়া এবং ৬০ সেন্টিমিটার গভীর হওয়া উচিত।২. সার প্রয়োগ: প্রতি মাদায় ২০ কেজি গোবর সার, ২৫-৩০ গ্রাম টিএসপি সার, এবং ২৫-৩০ গ্রাম এমওপি সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন।৩. বীজ বপন: লাউয়ের ভালো ফলনের জন্য উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করুন।একটি গর্তে ২-৩ টি বীজ বপন করুন।বীজ বপনের পর প্রয়োজন মতো পানি দিন।৪. পরিচর্যা: চারা গজানোর পর চারার গোঁড়ার মাটি আলগা করে দিন।নিয়মিত সেচ দিন, তবে খেয়াল রাখবেন জমিতে যেন পানি জমে না থাকে।প্রয়োজন অনুযায়ী কীটনাশক স্প্রে করে পোকা ও রোগ দমন করুন।৫. অন্যান্য: লাউ গাছের বৃদ্ধির জন্য লাউ মাচান তৈরি করে দিন।নিয়মিত সার দিন এবং গাছের গোঁড়ার আগাছা পরিষ্কার করুন।সঠিক পরিচর্যা ও যত্নের মাধ্যমে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।বীজ গজানোর পর সারির মাঝখানের মাটি আলগা করে দিতে হবে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এভাবে ভাদ্র মাসে লাউ চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। তাতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন।ভোরের আকাশ/তা.কা

৩ মাস আগে

ঝিনাইদহে ১৬০০ কৃষক পেলেন আউশ ধানের বীজ ও সার

ঝিনাইদহে ১৬০০ কৃষক পেলেন আউশ ধানের বীজ ও সার


ঝিনাইদহে ১৬০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ শুরু হয়েছে।সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টায় সদর উপজেলা কৃষি অফিসে দুইদিন ব্যাপী বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর এ নবী'র সভাপতিত্বে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জুনাইদ হাবীব ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মীর রাকিবুল ইসলাম।দুই দিনে প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হবে। সদর উপজেলায় ১৬০০ কৃষকের মধ্যে মোট ৮ মেট্রিক টন বীজ ও ৩২ মেট্রিক টন সার বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ 

৮ মাস আগে