সংগৃহীত ছবি
টানা ২ দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম ফের বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৮ নভেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ১৯ নভেম্বর থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৪ বার, আর কমেছে মাত্র ২৫ বার।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
টানা ২ দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম ফের বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।বুধবার (১৯ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ১৮ নভেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ১৯ নভেম্বর থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৪ বার, আর কমেছে মাত্র ২৫ বার।সোনার দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।ভোরের আকাশ/জাআ
দেশের বাজারে সর্বশেষ পাঁচবার দাম সমন্বয়ের মধ্যে ২ বার স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। তবে ৫ দফা দাম সমন্বয়ে ৩ বারই বেড়েছে স্বর্ণের দাম। তবে সর্বশেষ টানা ২ দফায় কমানো হয়েছে মোট ৬ হাজার ৮১১ টাকা।এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে স্বর্ণ বিক্রি হবে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা।মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।সবশেষ গত ১৫ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ৫ হাজার ৪৪৭ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৭১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা ১৬ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৮ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৩ বার, আর কমেছে মাত্র ২৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।ভোরের আকাশ/মো.আ.
বাংলাদেশের মানুষের জন্য বড় ‘আশীর্বাদ’ হয়ে উঠতে পারে ‘বঙ্গোপসাগর’। মূল্যবান নানাধরনের খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দেশের সমুদ্র জলসীমা। আর সঠিকভাবে বঙ্গোপসাগরের সম্পদ কাজে লাগাতে পারলে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক ও জীবনমানের উন্নয়নে এই সাগর হয়ে উঠতে পারে ‘উন্নয়নের বড় সোপান’।বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগরের তলদেশে থাকা খনিজ সম্পদের মতো মূল্যবান সম্পদ পৃথিবীর অন্য কোনো সাগর বা উপসাগরে দেখা যায় না। বঙ্গোপসাগর থেকে বছরে আড়াই লাখ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণে পরিকল্পনা নেওয়া এবং সমুদ্রনির্ভর ‘ব্লু-ইকোনোমি’ যথাযথ কাজে লাগানো সম্ভব হলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর হতে পারে। তবে এজন্য প্রয়োজন কার্যকর স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন। আর বর্তমান সরকার দেশের সমুদ্র জলসীমাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা হতে নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।এছাড়া সমুদ্রসম্পদ আহরণে গবেষণার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বলেছেন, বঙ্গোপসাগর আমাদের দেশের মূল্যবান অংশ, এ কথা সবসময় মাথায় রেখে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের একটা অংশও আমাদের দেশ। এর পরিমাণ আমাদের মোট স্থলভাগের জমির পরিমাণের চেয়ে বেশি।দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বঙ্গোপসাগরকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরিকল্পনাবিদ এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমার পানির ওপর দিয়ে আমরা দেশ-বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করব। এর মাধ্যমে আমরা পুরো পৃথিবীকে আমাদের প্রতিবেশী বানাব। উপকূল অঞ্চলকে ‘অফুরন্ত সম্ভাবনার আধার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুমিরা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত নানা বন্দরের কর্মচাঞ্চল্যে সমগ্র উপকূল অঞ্চলকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদের বড় ভাণ্ডার। পাশাপাশি এই বঙ্গোপসাগরে রয়েছে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রজাতির বিশাল ‘মৎস্য ভাণ্ডার’। আর বিশাল সুযোগ ও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমুদ্র সম্পদের অবদান মাত্র ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৬ শতাংশ।জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে ইলমেনাইট, টাইটেনিয়াম অক্সাইড, রুটাইল, জিরকন, গার্নেট, ম্যাগনেটাইট, মোনাজাইট, কোবাল্টসহ অত্যন্ত মূল্যবান ভারী খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব মূল্যবান সম্পদ সঠিক উপায়ে উত্তোলন সম্ভব হলে হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।এছাড়া বিশ্বের অনেক দেশ সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বা ঢেউকে ব্যবহার করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। কিন্তু ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চল থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনো এই উৎসের সদ্বব্যবহার করতে পারছে না।সূত্র জানায়, বাংলাদেশের অগভীর ও গভীর সমুদ্রের তলদেশে ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যমানের খনিজ সম্পদ ইউরেনিয়াম ও থোরিয়ামের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। অগভীর সমুদ্রে মিলেছে বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ‘ক্লে’র সন্ধান। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের ১৩টি স্থানে পাওয়া গেছে ইলমেনাইট, গার্নেট সিলিমানাইট, জিরকন, রুটাইল ও ম্যাগনেটাইট সমৃদ্ধ ভারি খনিজ বালু। এছাড়া বাংলাদেশের সমুদ্র পরিসীমায় রয়েছে বড় ধরনের গ্যাসের মজুদ।বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগর থেকে বছরে আড়াই লাখ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণ করা সম্ভব। কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় দেশ বর্তমানে আহরণ করছে মাত্র ৯৬০ কোটি ডলারের সম্পদ।বিশেষজ্ঞরা জানান, বঙ্গোপসাগরে সম্ভাবনাময় অপ্রাণিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, চুনাপাথর প্রভৃতি। রয়েছে আরও ১৭ ধরনের খনিজ বালু। এর মধ্যে ইলমেনাইট, জিরকন, রুটাইল, ম্যাগনেটাইট, গ্যানেট মোনাজাইট, কায়ানাইট, লিকোক্সিন উল্লেখযোগ্য। এগুলোর দামও অনেক বেশি। তাদের মতে, বঙ্গোপসাগরে অর্জিত সমুদ্রসীমা থেকে প্রায় ১০ লাখ টন এসব খনিজ বালু আহরণ সম্ভব।এছাড়াও সাগরের তলদেশে ক্লেসার ডেপোজিট, ফসফরাস ডেপোজিট, এডাপোরাইট, পলিমেটালিক সালফাইড, মাঙ্গানিজ নডিউল নামক খনিজ পদার্থ আকরিক অবস্থায় পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এসব ধাতু পরিশোধনের মাধ্যমে লেড, জিংক, কপার, কোবাল্ট, মলিব ডেনামের মতো দুর্লভ ধাতুগুলো আহরণ করা সম্ভব হবে। এ সব দুর্লভ ধাতু উড়োজাহাজ নির্মাণে, রাসায়নিক কারখানায় এবং বিভিন্ন কলকারখানায় উৎপাদন কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।এ ব্যাপারে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ভোরের আকাশ’কে বলেন, দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের সম্পদ ও পরিবেশের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত বিভিন্ন মেয়াদের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালায় থেকেও নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেন, সমুদ্রের সম্পদ আহরণ-বিশেষ করে সমুদ্র তলদেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদ আহরণের ওপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়টির জন্য কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং যন্ত্রপাতির জন্য ‘বন্ধুপ্রতীম’ উন্নত বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করা সম্ভব হলে বন্দরের সুযোগ-সুবিধা ও কর্মপরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের ফিডার পরিষেবা কার্যক্রম বাড়ানোর মাধ্যমে আমাদের বন্দরগুলো কলম্বো, সিঙ্গাপুর বন্দরের মতো আরও গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হয়ে উঠতে পারে।অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিশ্বে বর্তমানে বছরে তিন থেকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সমুদ্রসম্পদকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বের সাড়ে সাতশ’ কোটি মানুষের ১৫ ভাগ প্রোটিনের জোগান দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, উদ্ভিদ ও জীবজন্তু। আর পৃথিবীর ৩০ শতাংশ গ্যাস ও জ্বালানি তেল সরবরাহ হচ্ছে সমুদ্রতলের বিভিন্ন গ্যাস ও তেলক্ষেত্র থেকে।ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালে পৃথিবীর সম্ভাব্য জনসংখ্যা ৯০০ কোটি হবে। আর এই বিপুল জনগোষ্ঠীর খাবার জোগান দিতে বিশ্বের মানুষ সমুদ্রের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।উল্লেখ্য, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিজয়ের পর ২০১৪ সালে স্বল্প, মধ্য ও দীঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে সরকার। এ কর্মপরিকল্পনা জাতিসংঘঘোষিত এসডিজির সঙ্গে সমন্বয় করে ২০১৮ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হালনাগাদ করা হলেও বাস্তবে এর বাস্তবায়ন এখনও হতাশাজনক পর্যায়ে রয়েছে।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনায় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুদ নিরূপণ ও মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন ও ২০০ মিটার গভীরতার ঊর্ধ্বে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির বৃহৎ মৎস্য আহরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মৎস্য সম্পদ আহরণে মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে ১১টি লং-লাইনার এবং ৮টি পার্স সেইনার প্রকৃতির মোট ১৯টি ট্রলার কোম্পানিকে ফিশিং লাইসেন্সের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।জানা গেছে, ২০১৮ সালে ইন্ডিয়ান ওশেন টুনা কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করেছে বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় সামুদ্রিক মৎস্য নৌযান পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদারকরণ, অবৈধ ফিশিং নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উপকূলীয় জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন ও সুন্দরবন অঞ্চলের জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অধীনে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের ডাটাবেজ তৈরি ও মেরিকালচার ও কোস্টাল একুয়াকালচার সম্প্রসারণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এদিকে, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কর্তৃক পরিচালিত এ গবেষণার তথ্যে জানা গেছে, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেট ছাড়াও ২২০ প্রজাতির সি-উইড বা শ্যাওলা, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস রয়েছে।গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্যসম্পদ ও ইকোসিস্টেম জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। ৩২ দিনব্যাপী এ অভিযানে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন বিজ্ঞানীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ২৬ জন গবেষক অংশগ্রহণ করেন। জরিপে ছোট পেলাজিক ও মেসোপেলাজিক মাছের প্রাচুর্য ও মজুদ নিরূপণ, তলদেশীয় মৎস্যসম্পদের প্রজাতিগত বৈচিত্র্য মূল্যায়ন এবং সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়। পাশাপাশি সমুদ্রের তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, স্রোতের গতি, উৎপাদনশীলতা, গভীর সমুদ্র সঞ্চালন ব্যবস্থা ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, টেকসই আহরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন এবং সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষায় জাতীয় নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের আকাশ’কে বলেন, দেশের সমুদ্রসম্পদকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে ৯টি খাত সুনির্দিষ্ট করে কাজ চালাচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় দুবছর গবেষণার পর গতবছর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের নিজস্ব সমুদ্র এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির কিছু মূল্যবান উদ্ভিজ এবং প্রাণিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, টেকসই আহরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন এবং সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষায় জাতীয় নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশনোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন ভোরের আকাশ’কে বলেন, দেশের সমুদ্রসীমা ও সমুদ্রের তলদেশে থাকা সম্পদকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি জন্য ব্যবহারে যথাযথ পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন জরুরি। এজন্য সমন্বিত পরিকল্পনার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।এর মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে আরো এগিয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য রপ্তানির মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। এছাড়া সমুদ্রের তলদেশের মূল্যবান খনিজ ও গ্যাস সম্পদ আরোহণ ও উত্তোলনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি। এছাড়া বঙ্গোপসাগর থেকে কাঙ্খিত পরিমাণে মৎস্য সম্পদ আহরণে আধুনিক জাল ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ ‘সামুদ্রিক ট্রান্সপোর্টেশনের’ মাধ্যমেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। আর গত ১০ বছরে বাংলাদেশে অনেক মেরিন আর্কিটেক্ট, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার গড়ে উঠেছে এবং তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের মেরিন ইঞ্জিনিয়াররাই কাজ করছে। বাংলাদেশের শিপইয়ার্ডের ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তর করা সম্ভব হলে সেটিও দেশের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশের জন্য পরিকল্পিত ৪০ হাজার বডি–ওর্ন ক্যামেরা কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বডি ক্যামেরা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যাতে কেনা হয়, তা দেখা হবে। ৪০ হাজার বডি ক্যাম কেনার কথা আগে জানানো হলেও, সে সংখ্যা কমবে।তিনি বলেন, রোজার আগেই চাল, গম আনা হবে। এলসি খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক আগের চেয়ে নমনীয় হয়েছে। রোজায় পণ্যের দাম কম রাখতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। একইসঙ্গে কক্সবাজার দোহাজারি রেল প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ