মো. রেজাউর রহিম
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০১ এএম
ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশে এখন চলছে নির্বাচনী উত্তাপ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গণে এর পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা বিতর্ক। বিশেষ করে একইদিনে দুই ধরনের ভোট করা নিয়েই বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে উত্তেজনা। আর জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনে দফায় দফায় পরিবর্তন আনছে সরকার। চলতি নভেম্বর মাসের অর্ধেক সময়ের মধ্যেই ৫০টি জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) পরিবর্তন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে চলছে নানা পরিবর্তন ও পুনর্বিন্যাসের কাজ।
আর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের লক্ষ্য, যেকোনো মূল্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু এবং সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। মূলত এজন্য মাঠ প্রশাসনসহ কেন্দ্রীয় প্রশাসনে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন ও পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
গত সপ্তাহে মাঠ প্রশাসনে ২০ জন ডিসিকে রদবদল ও পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় প্রশাসনেও শিগগির আরো ‘বড় পরিবর্তন’ করা হবে বলে ঐসব সূত্রে জানা গেছে। এসব পরিবর্তনের মূল কারণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন ও সম্পন্ন করা। তবে কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের নিয়োগ না দিয়ে অপেক্ষাকৃত অনভিজ্ঞদের মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপুর্ণ ডিসি, ইউএনও পদে নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরণের অসন্তোষ বিরাজ করছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ড. ইউনূসের সরকারের মূল লক্ষ্য ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ এবং গণভোট সূষ্ঠুভাবে আয়োজন ও সম্পন্ন করা। এজন্য মাঠ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিতর্কিত এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলে সুবিধাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে কোনো পদে না রাখার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা।
এর জন্য পরিবর্তন ও নিয়োগ, পদায়নের কাজ চলছে। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন হলে প্রশাসনে আরো বড় পরিবর্তন প্রয়োজন হলে সেটাও করা হবে। বিশেষ করে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একইদিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে সময়স্বল্পতার কারণে প্রশাসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় রদবদল ও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সময় এখনও প্রায় তিন মাস বাকি থাকলেও চলতি নভেম্বর মাসে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পদায়ন নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের বঞ্চিত অনেক কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের আকাশ’কে জানান, ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট সুষ্ঠু ও সম্পুর্ণ নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে নিয়মিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে।
তিনি জানান, মাঠ পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিবর্তন এবং পুনবিন্যাসের কাজ শেষ করে কেন্দ্রীয় প্রশাসনে সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব এবং উপসচিব পদের পাশাপাশি বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পর্যায়েও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পুনর্বিন্যাসের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এদিকে মাঠ প্রশাসনে বড় ধরনের পরিবর্তনের পর গত সপ্তাহের শেষে জেলাগুলো থেকে প্রত্যাহারকৃত ২০ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে উপসচিব হিসেবে পদায়নও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ জন্য নির্বাচনের আগে এই পদকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সূত্র জানায়, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পদে না দেওয়ার বিষয়টিকে প্রধান্য দিতে গিয়ে অনেকক্ষেত্রে মাঠ প্রশাসনের কাজে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকা কর্মকর্তাদেরও ডিসি নিয়োগ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অনেককে ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে না রাখা কিংবা রাখলেও নিয়োগ না দেওয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার পর কয়েকজনের নিয়োগ বাতিল, কয়েক জেলায় একাধিকবার বদল এবং প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত ইকোনমিক ক্যাডারের কয়েকজনকে ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়ায় প্রশাসনে কিছুটা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আর প্রশাসন ক্যাডারের ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা নিজেদের বেশি বঞ্চিত মনে করছেন।
এদিকে, জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটির অনুমোদন নিয়ে ডিসি নিয়োগের বাধ্যবাধকতা থাকায় কয়েকটি জেলা থেকে ডিসি প্রত্যাহার করার কয়েক দিন পরও নতুন ডিসি দিতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই জটিলতা এড়াতে গত ৩০ অক্টোবর জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল করে সরকার। ফলে ডিসি নিয়োগের পুরো কর্তৃত্ব এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে।
জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৮ নভেম্বর ১৫ জেলায়, ৯ নভেম্বর ১৪ জেলায় এবং সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর পৃথক প্রজ্ঞাপনে ২৩ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর মধ্যে ৮ নভেম্বর নিয়োগপ্রাপ্ত দুজনের নিয়োগ ১৩ নভেম্বর বাতিলও করা হয়েছে। আর এবার ডিসি নিয়োগে বিসিএসের ২৫, ২৭, ২৮ ও ২৯তম ব্যাচ এবং প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নবনিযুক্ত ডিসিদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ১৭ জন ২৫তম ব্যাচের, ২৬ জন ২৭তম ব্যাচের, ৬ জন ২৮তম ব্যাচের, ৯ জন ২৯তম ব্যাচের এবং ৬ জন প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তা। এছাড়া নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকের মাঠ প্রশাসনে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা নেই বলে কর্মকর্তাদের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে। ২৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা চারদলীয় জোট সরকারের আমলে হলেও নিয়োগ সম্পন্ন হয় এক/এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। ২৮তম ব্যাচের পরীক্ষা এক/এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হলেও নিয়োগ সম্পন্ন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। তবে ২৯তম ব্যাচের পরীক্ষা ও নিয়োগ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।
জানা গেছে, ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকায় এই ব্যাচের অনেকে ডিসি নিয়োগের ‘ফিট লিস্টে’ জায়গা পাননি। আবার কেউ কেউ ফিট লিস্টে থাকলেও ডিসি পদে নিয়োগ পাননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই ব্যাচের একজন কর্মকর্তা ভোরের আকাশ’কে জানান, ইউএনওর পদে থাকায় ২০১৮ সালে পদাধিকারবলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। এটি তো দোষের নয়। তারা ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম করেছেন কি না, সরকার চাইলেই তদন্ত করে তা বের করতে পারে। তা না করে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া বিগত তিন সংসদ নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসনে দায়িত্বে থাকা বেশির ভাগ কর্মকর্তাকে ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে রাখা হয়নি।
উল্লেখ্য, ডিসি পদে নিয়োগের অন্যতম শর্ত হিসেবে মাঠ পর্যায়ে বিশেষ কওে ইউএনও হিসেবে অভিজ্ঞতার বিষয়টিকে প্রধান্য দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এর আগে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। পরে ওই সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা সরে এসে গত ৮ আগস্ট ওই কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া থেকে যতটাসম্ভব দুরে রাখা হবে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জুলাই থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৪ জন কর্মকর্তাকে ৬৪ জেলায় ডিসি পদে পদায়ন করা হয়। আপত্তি ওঠায় কয়েকজনের নিয়োগ বাতিলও করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর নওগাঁর ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালকে চট্টগ্রামের ডিসি হিসেবে বদলি করা হলেও ১৫ অক্টোবর সেই নিয়োগ বাতিল করে ফেনীর ডিসি সাইফুল ইসলামকে চট্টগ্রামের ডিসি পদে বদলি করা হয়। পরে ১৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইমলাম মিঞাকে চট্টগ্রামের ডিসি পদে বদলি করা হয়। পরে এই নিয়োগ বাতিল করে চট্টগ্রামের ডিসি পদে সাইফুল ইসলামের নিয়োগ বহাল রাখা হয়েছে।
এছাড়া গত ৮ নভেম্বর সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহকে বরগুনার ডিসি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লুৎফুন নাহারকে মেহেরপুরের ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ১৩ নভেম্বর তাদের নিয়োগ বাতিল করে ওই দুই জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৮ নভেম্বর বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমকে ঢাকার ডিসি পদে বদলি করা হলেও পরে বাতিল করা হয়। ১৩ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. রেজাউল করিমকে ঢাকার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, গত তিন নির্বাচনে ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ডিসি পদে নিয়োগ না দেওয়া হলেও এখন ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্টে থাকা কর্মকর্তাদেরও কেউ কেউ অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে উপর মহলে পৌঁছে দিচ্ছেন। এ ছাড়া নিজেদের পছন্দের কর্মকর্তাদের ডিসি নিয়োগ দিতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর চাপও রয়েছে।
এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের নিয়োগ না দেওয়াই ভালো। তবে ডিসি হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে মাঠে কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। যেহেতু প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসাররা নির্বাচনে বেশ প্রভাব রাখেন, এজন্য সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ, সৎ এবং মেধাবীদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনওসহ ক্যাডার কর্মকর্তাদের বদলি, পদায়ন ও পদোন্নতির কার্যক্রম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অণুবিভাগের মাধ্যমে করা হয়। এই অনুবিভাগের প্রধানের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হককে ৯ অক্টোবর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পদে বদলি করার পর থেকে এডিপি অণুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবের পদটি ফাঁকা রয়েছে। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি ডিসি নিয়োগের ফিট লিস্ট তৈরি করে। এরপর এপিডি অনুবিভাগ ডিসি পদে নিয়োগের সুপারিশ করে। পরে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ডিসি নিয়োগ হয়। তবে কর্মকর্তা বাছাইয়ের মূল কাজটি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ভোরের্ আকাশ/এসএইচ