রুনা লায়লা প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের সঙ্গে যে কথা হলো শাহবাজের
বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
সোমবার ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে শুভেচ্ছা জানান তিনি। বিষয়টি জানিয়েছেন শাহবাজ শরিফ নিজেই। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকেও পাকিস্তানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উভয় নেতার এই ফোনালাপে বাংলাদেশের খ্যাতনামা ও কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে একথা জানিয়েছেন শেহবাজ শরিফ।
এক্সে দেওয়া ওই পোস্টে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের জন্য আমার আন্তরিক আমন্ত্রণ পুনর্ব্যক্ত করেছি এবং কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লাকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে একটি সাংস্কৃতিক দলকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল।
এক্সে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে মনোরম কথোপকথন হয়েছে। ফোনালাপে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি এবং পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।
আগামী ২২ এপ্রিল একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উপ-প্রধানমন্ত্রী/পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জানিয়ে শাহবাজ বলেন, ড. ইউনূসকে তার সুবিধামত পাকিস্তান সফরের জন্য আমার আন্তরিক আমন্ত্রণ পুনর্ব্যক্ত করেছি এবং কিংবদন্তি মিসেস রুনা লায়লাকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে একটি সাংস্কৃতিক দলকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ঢাকাই চলচ্চিত্রের দুই আলোচিত নায়িকা শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ঠান্ডা লড়াই। সরাসরি কারও নাম উল্লেখ না করলেও, ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে তারা একে অপরকে খোঁচা দিচ্ছেন বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।শুক্রবার (৩০ মে) ফিরোজা রঙের শাড়ি পরা নিজের একটি ছবি পোস্ট করে বুবলী লেখেন, “যখন মানুষ তোমার কাজ নকল করতে শুরু করে, তখনই বুঝে নিও তারা তোমার প্রতিভায় ঈর্ষান্বিত।” পোস্টটি ঘিরে ধারণা করা হচ্ছে, এটি অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে লেখা।এর আগে বুবলী তার ছেলে বীর ও শাকিব খানের একটি ছবি পোস্ট করেন। তার কিছুক্ষণ পরই অপু বিশ্বাসও শাকিব খান ও তার ছেলে জয়ের একটি ছবি দিয়ে লেখেন, “বাবা এমন একটি শব্দ, যার সঙ্গে সন্তানের বন্ধন কথায় প্রমাণ দেওয়ার কিছুই নেই।”এই পোস্ট-পাল্টা পোস্ট ঘিরে নেট দুনিয়ায় চলছে আলোচনা। কেউ কেউ বিষয়টিকে মাতৃত্ব ও সন্তানদের ঘিরে ভালোবাসার প্রকাশ বললেও, অধিকাংশই এটিকে দুই নায়িকার ব্যক্তিগত ঠান্ডা যুদ্ধ বলেই মনে করছেন।প্রাক্তন এই দুই স্ত্রীকে সময় না দিলেও, শাকিব খান তার দুই ছেলেকে নিয়মিত সময় দেন বলে জানা যায়।ভোরের আকাশ//হ.র
৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিবারের মতো এবারও আলোচনার কেন্দ্রে বলিউড অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতেলা। তবে আলোচনার চেয়ে সমালোচনাই যেন তাকে ঘিরে বেশি। প্রথম দিনেই হাতে বহুমূল্য কাকাতুয়া আকৃতির ব্যাগ নিয়ে লাল গালিচায় পা রেখে ট্রোলের মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী।এরপর দ্বিতীয় দিনে ছেঁড়া ডিজাইনের একটি পোশাক পরে রেড কার্পেটে হাজির হয়ে সমালোচনার মাত্রা আরও বাড়ান তিনি। তৃতীয় দিনেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি—এবার ব্রা-সাইজের ব্যাগ হাতে নিয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন এবং অতিরিক্ত সময় ধরে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়ে পশ্চিমা তারকাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ান।পোশাক কিংবা পোজ—সবকিছুতেই যেন বিতর্কে থাকতেই পছন্দ করছেন ঊর্বশী। কখনও ওরির সঙ্গে ভিডিও পোস্ট, কখনও আবার ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে নিজের তুলনা করে নিজেই হয়েছেন ট্রলের শিকার।সবশেষ, নতুন করে আলোচনায় আসেন হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওকে নিয়ে মন্তব্য করে। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে লিওনার্দোর সঙ্গে দুটি সেলফি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, “যখন লিওনার্দো তোমায় কানের রানি বলে ডাকে! ধন্যবাদ, লিও... এটা হলো টাইটানিক কমপ্লিমেন্ট।”তবে ঊর্বশীর এই দাবি নিয়ে বেশ সন্দিহান নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলছেন, “এটা বোধ হয় শুধু আপনিই বলতে পারেন।” আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “অভিনেতা কিন্তু আপনার থেকে অনেক বড়, উনি এই ধরনের মন্তব্য করতেই পারেন না।”ছবি যতই ভাইরাল হোক, ঊর্বশীর বিতর্কিত উপস্থিতি যেন এবারও কানের রেড কার্পেটে ছাপ রেখে গেল—সমালোচনায়, না প্রশংসায়, তা নির্ধারণ করছে সোশ্যাল মিডিয়ার উত্তাল প্রতিক্রিয়া।ভোরের আকাশ//হ.র
প্রায় ৫ শ অভিনয়শিল্পী নিয়ে নির্মিত হলো ঈদের নাটক ‘যাত্রা বিরতি’। এ নাটকের লোকেশান ছিল বরিশালের বিলাসবহুল একটি লঞ্চ এবং বরিশালের প্রত্যন্ত অঞ্চল।সুবাতা রাহিক জারিফার রচনায়, আদিফ হাসানের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, সিনথিয়া ইয়াসমিন, সুমাইয়া অর্পা, বিনয় ভদ্র, হায়দার আলী, বাদল, কাঞ্চনসহ অনেকে। প্রযোজনা আকবর হায়দার মুন্না।ঈদ যাত্রার উত্তেজনা, আবেগ আর বাস্তবতা একসঙ্গে তুলে ধরতে তৈরি হয়েছে ঈদের বিশেষ নাটক ‘যাত্রা বিরতি’। ব্যতিক্রমধর্মী এই নাটকটির চিত্রায়ন হয়েছে বরিশালের বিলাসবহুল একটি লঞ্চ এবং জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়।অভিনয়ে রাশেদ সীমান্ত ছাড়াও রয়েছেন সিনথিয়া ইয়াসমিন, সুমাইয়া অর্পা, বিনয় ভদ্র, হায়দার আলী, বাদল, কাঞ্চনসহ আরও অনেকেই।গল্প শুরু হয় ঈদের আগের রাতে যখন ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায় শেষ লঞ্চটি। গাদাগাদি করে ওঠা শত শত যাত্রীর সঙ্গে রয়েছেন সুপারভাইজার দেলোয়ার। সে নিজেকে খুব জ্ঞানী ভাবলেও আদতে সে এক সরল-স্বভাবের মানুষ। লঞ্চের ভিআইপি কেবিনে থাকা যাত্রী আইরিন ও তার ছোট বোনের সঙ্গে এক পর্যায়ে তার মতবিরোধ দেখা দেয়। লঞ্চের বিশৃঙ্খলায় বিরক্ত আইরিন এক পর্যায়ে দেলোয়ারকে হুমকিও দেয়।নানা রকম যাত্রী এবং তাদের ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে নাটকে দেখা যাবে এক আবেগঘন সামাজিক চিত্র। কেউ ফিরছেন ১৪ বছর পর প্রবাস থেকে, কেউ সঙ্গে এনেছেন কোরবানির খাসি, কেউ ভাইয়ের বিয়ের জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন, কেউবা নতুন বউ হিসেবে জীবনের প্রথম ঈদ করতে যাচ্ছেন শ্বশুরবাড়িতে। এই ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রগুলো নিয়ে নানা উৎসবমুখর ঘটনায় নেমে আসে আতংক যখন লঞ্চটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।যাত্রীরা কি নিরাপদে পৌঁছতে পারবেন বাড়িতে? নাকি ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে যাবে দুর্ঘটনার ছায়ায়? নাটকের শেষ ভাগে মিলবে সেই প্রশ্নের উত্তর।অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত বলেন, ‘ঈদে আমি বেশ কয়েকটি নাটকে কাজ করেছি। তবে ‘যাত্রা বিরতি’ আমার কাছে বিশেষ। লাখো মানুষ ঈদের সময় প্রিয়জনের কাছে ফেরে। কিন্তু সেই পথ সব সময় সহজ হয় না। এ নাটক সেই বাস্তবতা তুলে ধরবে। অভিনয়ের বাইরে গিয়ে আমরা সবাই কষ্ট করেছি। কিন্তু দর্শকের ভালো লাগাই হবে আমাদের পরিশ্রমের সার্থকতা।’নাটকটি প্রকাশিত হবে ৫ জুন বিকেল ৫টায় ‘ক্লাব এলিভেন ইন্টারটেইনমেন্ট’-এর ইউটিউব চ্যানেলে।ভোরের আকাশ/এসআই
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বরাবরই স্পষ্টভাষী। সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা সাংস্কৃতিক ইস্যুতে নিজের মতামত প্রকাশে দ্বিধা করেন না তিনি। কখনও কখনও তার বক্তব্য বিতর্ক তৈরি করলেও সাহসী অবস্থান থেকে তিনি একচুলও সরেন না। এবারে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে মুখ খুলেছেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ খ্যাত এই অভিনেত্রী।শুক্রবার (৩০ মে) এক ফেসবুক পোস্টে বাঁধন লিখেছেন, “নতুন দলগুলো সেই পুরনো পথেই হাঁটছে, শুধু মুখগুলো বদলেছে।”তিনি আরও লেখেন, “দেশের আসল পরিবর্তনের জন্য শুধু নতুন নেতা নয়, প্রয়োজন নতুন চিন্তাধারার। নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থানে আমরা অনেকেই আশাবাদী হয়েছিলাম— ভেবেছিলাম, এবার বোধহয় কিছু বদলাবে, নতুন কিছু ভাবনা আসবে, দেশের জন্য হবে সুচিন্তিত পরিকল্পনা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সেই আশাগুলো ক্রমেই মিলিয়ে যাচ্ছে।”নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বাঁধন লেখেন, “নতুন দলগুলোর অনেকেই এখন পুরনো পথেই হাঁটছে— একই কৌশল, একই ক্ষমতার খেলা। বদলেছে কেবল চেহারা, কিন্তু ধারা থেকে গেছে আগের মতোই। এটাই কি আমরা চেয়েছিলাম? পরিবর্তনের অর্থ কেবল একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসানো নয়। সত্যিকারের পরিবর্তন তখনই আসে, যখন নেতৃত্বে থাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, সৎ মনোভাব ও কার্যকর পরিকল্পনা।”তিনি আরও যোগ করেন, “এটা কোনো নির্দিষ্ট দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়। এটা সবার জন্য, যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।”পোস্টের শেষাংশে বাঁধন লিখেন, “যদি আমরা সত্যিই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে আমাদের নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে। ক্ষমতা নয়, অগ্রগতিই হোক আমাদের মূল লক্ষ্য। আর এই অগ্রগতি আসবে বিচক্ষণ, দূরদর্শী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। পুরনো পথ ধরলে আমরা আগের মতো ফলই পাবো। আমরা চাই ভালো কিছু, আর তার শুরুটা হয় নতুন চিন্তা থেকে।”ভোরের আকাশ//হ.র