ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয় সরকারবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইস্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি। বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ এবং পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দেওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘তবে এভাবে ক্ষমতা প্রদর্শন করে নগর ভবন দখল করে দক্ষিণ ঢাকার দৈনন্দিন নাগরিক সেবায় বিঘ্ন ঘটানো দায়িত্বহীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর।’
সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
বিজ্ঞপ্তিতে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের একজন নেতার থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ প্রত্যাশা করিনি। অবরোধের কারণে বিগত মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩০-৪০ শতাংশ নাগরিক সেবা হ্রাস পেয়েছে। আমাদের অফিসাররা ওয়াসা অফিসে বসে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত না হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অংশীজনদের থেকে আমরা আরো দায়িত্বশীল এবং পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জাতির উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বার্তায় তিনি সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সবার অংশগ্রহণ ও আগ্রহ কামনা করেন।বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন গণমাধ্যমকে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের প্রতিটি মানুষ—যেখানেই থাকুন না কেন, ঘরে বা পথে, দোকানে, কারখানায়, মাঠে কিংবা খেলাধুলার প্রাঙ্গণে—এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হোন।”তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা জাতিগত ভিন্নতা সত্ত্বেও আমরা সবাই একই জাতি। এখনই সময় একসঙ্গে উদ্যাপনের, ঐক্যের শক্তি অনুভবের, গর্ব ও আশার এই ঐতিহাসিক দিন থেকে নতুন প্রেরণা নেওয়ার।”উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। এতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দুজন করে প্রতিনিধি সনদে স্বাক্ষর করবেন।গত বছর আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ—এই ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্বক্রমে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।দুই দফা আলোচনায় মোট ৬৩টি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য গঠিত হয়। এরপর গত ১৬ আগস্ট রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়া পাঠানো হয়। ত্রুটি সংশোধন শেষে ২০ আগস্টের মধ্যে মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় দলগুলোর। পরবর্তী সময়ে কমিশন বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করে সনদের চূড়ান্ত রূপ দেয়।মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জুলাই সনদের চূড়ান্ত কপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।ভোরের আকাশ//হ.র
বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জাতীয় জুলাই সনদ, ২০২৫’ এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আগামীকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এদিন বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আয়োজনে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেইসঙ্গে এ আয়োজনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা ও উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার। জুলাই সনদ স্বাক্ষর ঘিরে ঐতিহাসিক এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে এ সময় কোনোপ্রকার ড্রোন না ওড়ানোর জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে। প্রেস উইং বলছে, আগামীকাল (শুক্রবার) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ সই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ এলাকায় এ সময় কোনোপ্রকার ড্রোন ওড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া না দেখে সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তরুণদের দিয়ে গড়া দলটির এমন সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে স্থাপিত কমিশনের কার্যালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারি, এটা তাদের একটি রাজনৈতিক অবস্থান। তবে এখনো আমরা আশাবাদী, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা (এনসিপি) সনদে স্বাক্ষর করবে।’এর আগে এনসিপির পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদের বিষয়ে তিনটি দাবি তুলে ধরেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সেগুলো হলো—জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ‘টেক্সট’ এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে আগেই জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে; জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জারি করবেন; গণভোটের মাধ্যমে জনগণ যদি জুলাই সনদে রায় দেয়, তবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’-এর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের রায় অনুযায়ী আগামী নির্বাচিত সংসদ তাদের ওপর প্রদত্ত সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে সংবিধান সংস্কার করবে। সংস্কার সংবিধানের নাম হবে ‘বাংলাদেশ সংবিধান-২০২৬’।আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন আগেই বলেছে সনদ স্বাক্ষরের পর বাস্তবায়নের সুপারিশ যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে দেবে। আমরা আশা করি, তারা সনদে স্বাক্ষর করবে।’জুলাই জাতীয় সনদের ৮৪টি প্রস্তাবের মধ্যে মাত্র একটিতে এনসিপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রয়েছে। তাদের এই অবস্থানকে ইতিবাচক বলে মনে করে কমিশন। কারণ, দলটি চায় আগামী নির্বাচনে ১৫ শতাংশ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচন, যেখানে কমিশনের প্রস্তাবে ৫ শতাংশ আসনে সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব করা হয়েছে।আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে তাদের ভিন্নমত নেই। এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা একটা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) জন্য নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে ইউএনওদের এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত আজমেরী হকের সই করা চিঠি নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়।চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করা হবে, যা চলবে আগামী ১১ নভেম্বর (সম্ভাব্য) পর্যন্ত। প্রশিক্ষণটি হবে ১২টি সেশনে দুই দিনব্যাপী। ২টি করে ব্যাচে মোট ৫০ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (প্রতি ব্যাচে ২৫ জন) অংশগ্রহণ করবেন।চিঠিতে সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঢাকায় ব্যাচভিত্তিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশক্রমে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মকর্তারা নির্বাচন ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ