গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৭৮ জন ফিলিস্তিনি। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা, খান ইউনিস, বুরেইজ ও গাজা শহরজুড়ে চালানো একাধিক হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলের এই সামরিক আগ্রাসনে নিহতের মোট সংখ্যা এরই মধ্যে ৫৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে দক্ষিণ গাজার রাফায় একটি সরকারি খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন। হতাহতরা সবাই ত্রাণ নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের পাশে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রের আশপাশে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৮৩৮ জনে পৌঁছেছে।এতে আরও জানানো হয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরে বাস্তুচ্যুতদের এক শিবিরে বিমান হামলায় ৯ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে এক বাণিজ্যিক ভবনে হামলায় নিহত হয়েছেন ৪ জন। এছাড়া, ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজা ও গাজা শহরে আবারও হামলা জোরদার করেছে। গাজা শহরে এক অ্যামবুশে একটি ট্যাংকে রকেট হামলা ও পরে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়, এমন তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম। এতে তিনজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হন।জাতিসংঘ সংস্থাগুলো ক্রমাগতভাবে গাজায় আরও ত্রাণ ঢোকানোর আবেদন জানাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, জ্বালানির ঘাটতিতে বহু ডেসালিনেশন প্লান্ট, পাম্প স্টেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েল চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে প্রায় সব ধরনের জ্বালানি ঢোকানো বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে পরিষ্কার পানি, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স সবই প্রায় অচল।ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ১০০ জনে পৌঁছেছে। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৫ জুলাই ২০২৫ ০৯:৪৫ এএম
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। শনিবার (স্থানীয় সময়) দিনভর চালানো হামলায় আরও অন্তত ১১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এই তথ্য নিশ্চিত করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, রাফাহের আল-শাকুশ এলাকায় জিএইচএফের একমাত্র সক্রিয় কেন্দ্রের সামনে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হঠাৎ গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অন্তত ৩৪ জন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজ্জুম জানান, কোনো ধরনে পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড় লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার পরপরই এলাকায় হাহাকার ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, জিএইচএফের সহায়তা কেন্দ্রগুলো এখন কার্যত ‘মানব হত্যা কেন্দ্রে’ পরিণত হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, মে মাসের শেষদিকে সংস্থাটি কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে এসব সহায়তা কেন্দ্রে নিহত হয়েছে অন্তত ৮০০ ফিলিস্তিনি, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ হাজার।এদিকে, গতকাল শনিবার গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় দুটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন ১৫ জন। গাজা সিটির তুফাহ এলাকার জাফা স্ট্রিটে এক পরিবারকে লক্ষ্য করে চালানো হামলায় প্রাণ হারান চারজন, আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। শাতি শরণার্থী ক্যাম্পেও সাতজন নিহত হন। বাইত হানুন উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একযোগে ৫০টির বেশি বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে পুরো এলাকা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপ।ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ২৫০ বার হামলা চালিয়েছে তারা। গাজা উপত্যকায় চলমান অবরোধে খাদ্য ও জরুরি সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। গাজা সরকারের তথ্য অনুযায়ী, অপুষ্টির কারণে এ পর্যন্ত ৬৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, পাঁচ বছরের কম বয়সী ৬ লক্ষাধিক শিশু মারাত্মক পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৩ জুলাই ২০২৫ ১০:১০ এএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭৪ ফিলিস্তিনি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসন চলছেই। দখলদার বাহিনীর এ হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে উপত্যকাটির নারী, শিশুসহ অসংখ্য ফিলিস্তিনি। এসব হামলার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কমপক্ষে ৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮ জন খাদ্য সহায়তা পেতে গিয়ে প্রাণ হারান। অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছে এবং বুধবারও কমপক্ষে ৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৮ জন গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) বিতরণ পয়েন্টে খাদ্য সহায়তা পেতে গিয়ে নিহত হন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এখন পর্যন্ত সহায়তা কেন্দ্রগুলোতে নিহতের সংখ্যা ৭৭০ ছাড়িয়েছে। আর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনির সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার ৬০০ জনে পৌঁছেছে।আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষ এখন খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিতে মারা যাচ্ছে। প্রতিদিনই ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে।গাজার দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান হাসপাতাল নাসের হাসপাতাল জানায়, তারা জ্বালানি সংকটে চরম সঙ্কটময় অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জ্বালানি প্রায় শেষ, চিকিৎসকেরা সময়ের সঙ্গে লড়ছেন। তাপ, ক্লান্তি, ক্ষুধা সত্ত্বেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ৬০০টিরও বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ৩৬টি সাধারণ হাসপাতালের মধ্যে কেবল ১৮টি আংশিকভাবে চালু রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১০ জুলাই ২০২৫ ০৩:২৬ পিএম
ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩২ জন
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে সেখানে আটকেপড়া আরও ৩২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) তারা ঢাকায় পৌঁছেছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ইরান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুটি আলাদা ফ্লাইটে ভোরে ২২ জন এবং সকালে ১০ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন।ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে জুলাইয়ের শুরুতে সরকার ইরান থেকে ২৮ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত এনেছে। তাদের স্থলপথে পাকিস্তান হয়ে ঢাকায় আনা হয়।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরান থেকে দেশে ফেরার জন্য ইতোমধ্যেই ২৫০ জন বাংলাদেশি তেহরান দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন। এসব বাংলাদেশিকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তবে সংঘাত থেমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আর ইরানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হলে নিজ উদ্যোগেই বাংলাদেশিরা ফিরতে পারবেন।ইরানে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। এরমধ্যে তেহরানে ৪০০ বাংলাদেশি আছেন। ইরানে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৬৭২ জন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী রয়েছেন ৬৬ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৮ জুলাই ২০২৫ ০৫:৩৯ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলের আগ্রাসনে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৭ হাজার ৫২০ ছাড়িয়ে গেছে। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও সাড়ে ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি। সোমবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৭ হাজার ৫২৩ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আরও ১০৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫৬ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৭ জনে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, অনেক মৃতদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা নিরাপত্তাজনিত কারণে সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে দিয়ে গত ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এই নতুন ধাপে ৬ হাজার ৯৬৪ জন নিহত ও আরও ২৪ হাজার ৫৭৬ জন আহত হয়েছেন।এই যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক আইনে জবাবদিহির মুখে পড়েছে ইসরায়েল। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৮ জুলাই ২০২৫ ০২:৩৬ পিএম
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক নিহত
ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের গাজার ইন্দোনেশীয় হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মারওয়ান সুলতান নিহত হয়েছেন।সুলতানের সঙ্গে তার পরিবারের আরো কয়েকজন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডা. সুলতান ছিলেন একজন নিবেদিত চিকিৎসক, যিনি যুদ্ধের কঠিন সময়ে মানবিকতার প্রতীক হিসেবে কাজ করেছেন। তার মৃত্যু চিকিৎসা খাতের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত অপরাধ বলেও উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়।অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে। এ হামলায় নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা তারা পর্যালোচনা করছে বলে জানানো হয়েছে।নিহত ডা. সুলতানের মেয়ে লুবনা আল-সুলতান বলেন, একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরাসরি তার ঘরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। বাড়ির অন্য সব ঘর অক্ষত থাকলেও কেবল তার ঘরটিই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি শুধু যুদ্ধকালে রোগীদের পাশে দাঁড়াতেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৩ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৫ এএম
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১০৯
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক হামলায় আরও কমপক্ষে ১০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।গাজার চিকিৎসা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১ জুলাই) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।নিহতদের মধ্যে ছিলেন ১৬ জন ক্ষুধার্ত ত্রাণ প্রত্যাশী, যারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সমবেত হয়েছিলেন। সেখানে ইসরায়েলি সেনারা ভিড় করা মানুষজনের ওপর গুলি চালালে তারা নিহত হন।এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির জন্য ‘প্রয়োজনীয় শর্ত’ মেনে নিতে সম্মত হয়েছে।নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষের সঙ্গে মিলে গাজা যুদ্ধ বন্ধে কাজ করবে এবং হামাসকেও এই প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।জিএইচএফ গত মে মাসের শেষ দিকে সীমিত ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদের কেন্দ্র গুলোতে প্রায় ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।গতকাল গাজা সিটির উত্তরে, যেখানে ইসরায়েল সম্প্রতি জোরপূর্বক নির্বাসন নির্দেশ জারি করেছে, সেই এলাকাতেও হামলা চালানো হয়েছে। ওই এলাকা ইতোমধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার অন্তত ৮২ শতাংশ এলাকা বর্তমানে ইসরায়েলি সেনা নিয়ন্ত্রিত বা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং মানুষের আর কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০২ জুলাই ২০২৫ ০২:৪৮ পিএম
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরাইল। এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।বুধবার (২ জুলাই) ভোরে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময়ে, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সব পক্ষের সাথে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করা কাতার ও মিশরীয় কর্মকর্তারা চূড়ান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করবে বলেও জানান ট্রাম্প।গাজার পরিস্থিতি কেবল খারাপই হতে থাকবে উল্লেখ করে হামাস চুক্তিটিতে রাজি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামলা বন্ধ করতে চান বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এতে ১২০০ জনের প্রাণহানি হয়। ওইদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণহানি ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০২ জুলাই ২০২৫ ০৯:৩৭ এএম
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীসহ আরও ৭২
অবরুদ্ধ গাজার উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক হামলায় আরও অন্তত ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এমন কিছু মানুষ, যারা খাদ্য সহায়তার জন্য বিভিন্ন বিতরণকেন্দ্রে অপেক্ষা করছিলেন। অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিদিনই মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।সোমবার আল জাজিরাকে গাজার মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, রোববার ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় শুধু গাজা শহর ও উত্তরের অংশেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৭ জন। গাজা শহর থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মুয়াত আল-কালহুত জানান, জেইতুন, সাবরা ও আল-জাওইয়া বাজার এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর আহতদের ঢল নামে উত্তর গাজার আল-আহলি হাসপাতালে।তিনি বলেন, এখানে প্রচুর আহত মানুষ এসেছেন, যাদের মধ্যে অনেক শিশু। পর্যাপ্ত বেড বা চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, অনেকেই মেঝেতে পড়ে আছেন। হাসপাতালটির চিকিৎসা সংকট চরম অবস্থায় পৌঁছেছে।ইসরায়েল পূর্ব গাজা শহরে লিফলেট ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে সরে যেতে বলছে। কিন্তু এসব সতর্কতার পরই শুরু হচ্ছে ভারী বোমা হামলা, যাতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।এদিকে রোববার নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি রয়েছেন, যারা দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহর উত্তরে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন। বিতরণ কেন্দ্রগুলো বর্তমানে পরিচালনা করছে ব্যাপক সমালোচিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ), যাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থন দিচ্ছে।গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, জিএইচএফ গাজায় আংশিক সহায়তা বিতরণ শুরু করার পর (মে মাসের শেষদিক থেকে) ইসরায়েলি সেনারা প্রায়শই এসব কেন্দ্রের আশপাশে অপেক্ষমাণ মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে, এতে এখন পর্যন্ত ৫৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং চার হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন।ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ একটি প্রতিবেদনে জানায়, কিছু ইসরায়েলি সেনা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন- তাদেরকে নিরস্ত্র সহায়তা প্রার্থীদের ওপর গুলি চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে গাজায় মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। পুষ্টির অভাবে শিশু ও নবজাতকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত।গাজা শহরের একটি হাসপাতালে কাজ করছেন অস্ট্রেলীয় স্বেচ্ছাসেবী নার্স ক্রিস্টি ব্ল্যাক। তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ ফর্মুলা খাবারও নেই, ফলে অনেক মা দুধ উৎপাদন করতে পারছেন না, আবার শিশুদের জন্য দুধের বিকল্পও নেই।ক্রিস্টি ব্ল্যাক জানান, শুধু গত কয়েকদিনেই গাজা শহরে কয়েকজন শিশু অপুষ্টির কারণে মারা গেছে। তিনি বলেন, আমরা এমন শিশুদের দেখছি; যারা নয় বা দশ বছর বয়সী; কিন্তু দেখতে দুই বছর বয়সীদের মতো।এছাড়া বোমা হামলার কারণে ধুলা ও বিষাক্ত গ্যাসে শিশুদের মধ্যে শ্বাসজনিত রোগও বাড়ছে বলেও জানান তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
৩০ জুন ২০২৫ ০৯:১৩ এএম
তেহরানে ফের বিস্ফোরণের শব্দ
ইরানের রাজধানী তেহরানের পশ্চিমে এসলামশাহর এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। অঞ্চলটিতে সঙ্গে সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়।ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে ফের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেল তেহরানে।শুক্রবার শেষ রাতে পশ্চিম তেহরানের এসলামশাহর, শাহরিয়ারসহ বিভিন্ন এলাকায় পর পর কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় নিহত ৬০ জন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তির রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে এ ঘটনা ঘটে।ইরান ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে জানা গেছে, তেহরানের ইসলামশহর এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে এবং সেখানকার আকাশে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট গান চালানো হয়। স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের পোস্ট থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলের বিদগানে এলাকাটি সামরিক ঘাঁটি ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনার জন্য পরিচিত। সম্প্রতি ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে একটি রকেট ছোড়া হয়েছে। বাতাসে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করে হুমকি প্রতিহত করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৮ জুন ২০২৫ ০৪:৪৩ পিএম
তেহরানে শহীদদের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানি শহীদদের জানাজায় অংশ নিতে তেহরানে হাজারো মানুষ শনিবার (২৮ জুন) জড়ো হয়েছেন। শহীদদের মধ্যে ছিলেন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বেসামরিক ও সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত। ইরানের সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।তেহরানের ঐতিহাসিক ইঙ্গেলাব স্কয়ার ও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাস্তাগুলো ছিল শোকাহত মানুষের ভিড়ে পরিপূর্ণ। জাতীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো শহীদদের কফিন বহনের সময় মানুষের চোখে ছিল অশ্রু, হৃদয়ে ছিল শ্রদ্ধা আর কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল ‘আল্লাহু আকবর’ ও ‘শহীদরা অমর’- এমন সব শোকাবহ স্লোগান।জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পর থেকে পুরো এলাকায় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শোকাহত জনগণ শুধু তাদের প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে আসেননি। তারা এসেছিলেন এই বার্তা দিতে- সরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরান একতাবদ্ধ, আর শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না।অনেকেই বলছেন, শহীদদের আত্মত্যাগ দেশের জন্য গৌরবের এবং এই ত্যাগ ইরানিদের মাঝে আরও সাহস ও প্রতিরোধের শক্তি জোগাবে। জানাজা শেষে শহীদদের মরদেহ বিভিন্ন শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাদের নিজ নিজ এলাকায় দাফনের জন্য।গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় সরাসরি আক্রমণ চালায়। টানা ১২ দিন চলা এ আগ্রাসনের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় তেহরান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অধীন এয়ারোস্পেস ফোর্স ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’র আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে।এই পাল্টা হামলায় অধিকৃত ফিলিস্তিনের একাধিক শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুতর ফাঁক স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ব্লুমবার্গ-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ইসরায়েল শুধু নিরাপত্তাহীনতাই নয়, বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখেও পড়ে।এরই মধ্যে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায়- নাতানজ, ফোরদো এবং ইসফাহানে বিমান হামলা চালায়। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়ে এবং উত্তেজনার মাত্রা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ