ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও অনেক মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। ভোগান্তি এড়াতে তারা ঢাকা ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন।
রোববার (৮ জুন) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
রাজধানীতে ঈদ উদ্যাপন শেষে এবার স্বজনদের সান্নিধ্য পেতে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকে।
কেউ বলছেন, টিকিট বিড়ম্বনা আর ভোগান্তি এড়ানোসহ বিভিন্ন কারণে রাজধানীতে ঈদ উদ্যাপন শেষে দীর্ঘ ছুটি থাকায় এবার প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে স্বস্তির সঙ্গে গ্রামে যাচ্ছেন।
এদিকে, স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে আগেভাগেই কোলাহলের নগরীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। কর্মস্থলে যোগ দেওয়াসহ জরুরি কাজ থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান কেউ কেউ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে একদিন বন্ধ থাকার পর মেট্রোরেল চালু হয়েছে।রোববার (৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে প্রতি ৩০ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলছে।আজ হেডওয়ে অনুযায়ী চললেও সোমবার (৯ জুন) থেকে সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচী অনুযায়ী চলাচল করবে মেট্রোরেল।তবে যাত্রীদের জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলমের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সুরক্ষা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, স্টেশনের প্রবেশপথে যাত্রীদের তল্লাশি করা হবে। কারও কাছে কাঁচা বা রান্না মাংস পাওয়া গেলে তাকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না।এছাড়া মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে নিরাপত্তা কর্মীদের এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে। যাত্রীদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে এবং সহযোগিতা করারও অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।ভোরের আকাশ/জাআ
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুদিন পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। অনেকেই পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণে ঈদের দিন কোরবানি না করে দ্বিতীয় দিন তা সম্পন্ন করছেন। রোববার (৮ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে।জানা গেছে, কসাইয়ের সংকট, ও হাট থেকে গরু বাড়িতে পৌঁছাতে দেরি হওয়াসহ নানা ব্যস্ততায় অনেকেই গতকাল শনিবার ঈদের দিন পশু কোরবানি করতে পারেননি। তারা আজ রোববার কোরবানি করছেন।রামপুরার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ ঈদের দিন কোরবানি দেন। এতে কসাইদের অনেক ব্যস্ততা থাকে। দেখা দেয় কসাই সংকট। তাই আমরা আগে থেকেই ঠিক করেছি দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করবো। আজ খুব নিরিবিলি পরিবেশে কোরবানি দিতে পারছি। ফজরের নামাজের পরে হুজুর এসে গরু জবাই দিয়ে গেছেন। কসাইরা মাংস বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন।খিলগাঁওয়ে বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, ঈদের দিন এবং পরের দুদিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়। কোরবানি দেওয়া জন্য এই তিনদিনই সমান। কোনদিন সওয়াব বেশি কম হওয়ায় সুযোগ নেই। গতকাল শনিবার যারা কোরবানি দিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য ছিলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, আজ আমরা যারা কোরবানি দিচ্ছি তাদের উদ্দেশ্যও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।তিনি বলেন, কোরবানির মাংস তিনভাগ করতে হয়। আমরা ধর্মীয় বিধান মেনে মাংস তিনভাগ করে, যার যা অংশ বুঝিয়ে দেবো। এখন কবুল করার মালিক আল্লাহ।দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন ৭৫টি ওয়ার্ডে এক লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে নাগরিকদের কোরবানির বর্জ্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে তা মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ফেলা হচ্ছে।এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার টন বর্জ্য মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে ডাম্প করা হয়েছে। এ কাজে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০ হাজারের বেশি জনবল অংশ নিয়েছে। মাঠে আছে ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ মোট ২০৭৯টি যানবাহন। ৭৫টি ওয়ার্ডেই এসব যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও অনেক মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। ভোগান্তি এড়াতে তারা ঢাকা ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন।রোববার (৮ জুন) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা গেছে।রাজধানীতে ঈদ উদ্যাপন শেষে এবার স্বজনদের সান্নিধ্য পেতে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকে। কেউ বলছেন, টিকিট বিড়ম্বনা আর ভোগান্তি এড়ানোসহ বিভিন্ন কারণে রাজধানীতে ঈদ উদ্যাপন শেষে দীর্ঘ ছুটি থাকায় এবার প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে স্বস্তির সঙ্গে গ্রামে যাচ্ছেন।এদিকে, স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে আগেভাগেই কোলাহলের নগরীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। কর্মস্থলে যোগ দেওয়াসহ জরুরি কাজ থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান কেউ কেউ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদুল আজহার ছুটিতে রাজধানী ঢাকা এখন ফাঁকা। লাখো মানুষ শহর ছেড়ে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। তবে লোকসমাগম কমলেও বদলায়নি ঢাকার বাতাসের মান। বরং বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকায় রোববার (৮ জুন) সকালে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার-এর তথ্য অনুযায়ী, ৮ জুন (রোববার) সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ১৬০, যা 'অস্বাস্থ্যকর' পর্যায়ে পড়ে।এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চিলির সান্টিয়াগো শহর, যার স্কোর ১৬৭। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি, স্কোর ১৬১। ঢাকার পর চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, যাদের স্কোর ১৫৫।আইকিউএয়ার-এর মানদণ্ড অনুযায়ী, AQI স্কোর:-০–৫০: ভালো-৫১–১০০: মাঝারি বা সহনীয়-১০১–১৫০: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর-১৫১–২০০: অস্বাস্থ্যকর-২০১–৩০০: খুবই অস্বাস্থ্যকর-৩০১+: দুর্যোগপূর্ণবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে যানবাহনের সংখ্যা কমলেও শহরের চারপাশে চলমান নির্মাণকাজ, শিল্প কারখানার নির্গমন এবং বাতাস চলাচলের সীমাবদ্ধতার কারণে দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি।সরকার ইতোমধ্যে ঢাকার ৫০টি জায়গায় এয়ার পিউরিফায়ার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে টেকসই নগর ব্যবস্থাপনা ও দূষণ রোধে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা।ভোরের আকাশ/আজাসা