চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রো সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে দুটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে সাতজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজন মারা যান।
বুধবার (০২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন নারী, ৭ বছরের ১ জন কন্যা রয়েছেন। এ ঘটনার গুরুতর তিনজন আহত হয়েছেন। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান দুর্ঘটনায় হতাহতের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে একই স্থানে ঈদের দিন সোমবার দুই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার একই স্থানে দুইটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৮ জন আহত হন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নেত্রকোনার আটপাড়ার পাহাড়পুর গ্রামের আবদুল লতিফ হত্যা মামলার বাদী ও স্বজনদের হত্যার হুমকি দেওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শনিবার নেত্রকোনা জেলা শহরের শাহ সুলতান রোডের উপজেলা মসজিদ মার্কেটের তৃতীয় তলায় এক চেম্বারে ভুক্তভোগীর পরিবারের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হত্যা মামলার বাদী, নিহতের ভাতিজা আটপাড়ার পাহাড়পুর গ্রামের মৃত আবদুল গণির ছেলে মো. শামীম জাহান মিঠু।তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমার চাচা আবদুল লতিফের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে আসামিদের পূর্ব বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে গত বছরের ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় একই গ্রামের হাসমত উল্লাহ, মো. আলম মিয়া ও তাদের লোকজন গ্রামের জলাশয় থেকে মাছ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমার ছোট ভাই মো. সজীব জাহানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে।বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমার চাচা আবদুল লতিফ এগিয়ে গেলে এলাকার তালুকদারের মোড়ে তাকে মারপিট শুরু করে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। তার চিৎকারে সজীব এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় একই বছরের ১৫ আগস্ট আটপাড়া থানায় আমি, মো. শামীম জাহান মিঠু বাদী হয়ে একই গ্রামের মো. হাসমত উল্লাহ, মো. আলম মিয়াসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করি।এর মধ্যে কয়েকজন আদালত থেকে জামিনে বাড়ি ফিরে এসেছে। কিন্তু মামলার অন্য আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে।তিনি আরও বলেন, হত্যা মামলার আসামিরা আমাকে, আমার ভাই, চাচা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশালের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুজিবুর রহমান সরোয়ার বলেছেন, একাত্তর ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে যারা বিতর্ক তুলবে, তাদের বরদাশত করা হবে না। দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। ২০২৪ সালে কোনো বিপ্লব হয়নি, বরং একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে মাত্র। একাত্তরের ভিত্তি ঠিক রেখে, প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।সরোয়ার বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন। গত ১৬ বছর ধরে আমরা এই দাবিতে আন্দোলন করেছি। এখন দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে হলে, অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। একটি নির্বাচিত সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে এবং সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে সরোয়ার বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদান আমরা অস্বীকার করি না। তবে এটা সত্য, তিনি সরাসরি সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নেননি। স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল একটি সশস্ত্র সংগ্রাম, যেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।সরোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল হলেও, তাদের মাঝে অহংকার প্রবল। শেখ মুজিব প্রতিদ্বন্দ্বী সহ্য করতে পারতেন না, আর শেখ হাসিনাও একই পথে হাঁটছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগের আজকের রাজনৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হক তারিন, বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মানবেন্দ্র ব্যাটবল ও নুরুল আলম ফরিদ, সাংবাদিক নাছিমুল আলম, এটিএন বাংলার বূরো প্রধানহুমায়ুন কবীর এবং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. জাকির হোসেন প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পোল্ট্রি খামারগুলোতে ব্যাপক হারে মড়কের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় সর্বস্ব হারাচ্ছেন খামারিরা। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগি। খামারিরা অভিযোগ করছেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে তারা প্রয়োজনীয় কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।খামারিদের ভাষ্য মতে, দীর্ঘদিন ধরেই ডিম ও মুরগির দাম কম থাকলেও খাদ্য, ভ্যাকসিন ও ওষুধের দাম বেড়েই চলেছে। এতে ব্যাঙ্ক ঋণ বা ধারদেনায় খামার করা উদ্যোক্তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তার ওপর নতুন করে মড়ক দেখা দেওয়ায় অনেক খামারি সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে উপজেলায় মোট মুরগির সংখ্যা ৭৪ হাজার ১২০টি এবং হাসের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৫৬টি। এর মধ্যে লেয়ার মুরগির খামার ৩৭০টি, ব্রয়লার খামার ১৬৬টি এবং সোনালি মুরগির খামার রয়েছে ২৪টি। নিবন্ধনকৃত খামারের সংখ্যা মাত্র ১৬টি। গোপালপুরের নগদাশিমলা ইউনিয়নের মাকুল্লা গ্রামের শামীম হোসেন ও চর শিমলা গ্রামের রুবেল হোসেনের খামারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১ হাজার ২০০টি করে মুরগি মারা গেছে। রোগাক্রান্ত মুরগিগুলো প্রথমে ঝিমিয়ে পড়ে, পরে দ্রুত মারা যায়।রুবেল হোসেন বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ভালো চিকিৎসা দেয় না, সন্দেহজনক কোম্পানির ওষুধ দেয়। তাই আমি মধুপুর উপজেলা অফিসের সহযোগিতা নিই। এক সপ্তাহে পোড়াবাড়ী, চন্দবাড়ী ও আভুঙ্গি গ্রামের বেশ কয়েকটি খামারে কয়েক হাজার মুরগির মৃত্যু হয়েছে।ভূক্তভোগী খামারিরা অভিযোগ করেছেন, প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্জন কিংবা মাঠকর্মীরা খামার পরিদর্শনে যান না, সময়মতো পরামর্শও দেন না।গোপালপুর বাজারের ফিড ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে দুইটি খামারে সাড়ে তিন হাজার মুরগির মৃত্যু হয়েছে।পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ ও একমি ওষুধ কোম্পানির আঞ্চলিক কর্মকর্তা নাসির আহমেদ বলেন, ঘাটাইল ও গোপালপুরে পানিবাহিত ফাউল কলেরা, টাইফয়েড ও রাণীক্ষেত রোগ ছড়িয়েছে। মৃত মুরগি নিরাপদে মাটিচাপা দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. গোলাম মোরশেদ বলেন, পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যায় না, তবে প্রাথমিকভাবে এটি রাণীক্ষেত বলেই মনে হচ্ছে। ঠিক কত খামারে মুরগি মারা গেছে, তা আমার জানা নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফেনীতে গত এক মাসে ৩১ জন কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১৭ জন কিশোরী ও ৭ জন কিশোর রয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে অধিকাংশের পেছনে রয়েছে প্রেমঘটিত সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব।ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শামসুজ্জামান জানান, রমজান মাসে থানায় নিখোঁজ হওয়া ৩১ জন কিশোর-কিশোরীর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের বয়স ১৫ থেকে ২১ বছরের মধ্যে এবং অধিকাংশই প্রেমঘটিত কারণে ঘর ছেড়েছিল। অপরদিকে, কিশোরদের কেউ কেউ বিভিন্ন মাদরাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে শহরের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৩০ মার্চ হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। থানায় জিডির পর দুদিনের মধ্যে পুলিশ তাকে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে। পরে জানা যায়, পাশের বাসার এক কিশোরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।এক কিশোরের অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে আমরা থানায় জিডি করি। পরে উদ্ধার করে জানতে পারি সে প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণে বাড়ি ছেড়েছিল।ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ধার হওয়া দুটি ঘটনায় টিকটক ও ফ্রি-ফায়ার গেমের মাধ্যমে ছেলে-মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তারা ঘর ছাড়ে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।ওসি শামসুজ্জামান বলেন, এই বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশ ও চলাফেরার ওপর অভিভাবকদের নিয়মিত নজরদারি জরুরি। প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি এবং অভিভাবকদের উদাসীনতা এমন ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রো সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে দুটি হাইয়েস মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে সাতজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজন মারা যান।
বুধবার (০২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন নারী, ৭ বছরের ১ জন কন্যা রয়েছেন। এ ঘটনার গুরুতর তিনজন আহত হয়েছেন। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান দুর্ঘটনায় হতাহতের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে একই স্থানে ঈদের দিন সোমবার দুই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার একই স্থানে দুইটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৮ জন আহত হন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নেত্রকোনার আটপাড়ার পাহাড়পুর গ্রামের আবদুল লতিফ হত্যা মামলার বাদী ও স্বজনদের হত্যার হুমকি দেওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শনিবার নেত্রকোনা জেলা শহরের শাহ সুলতান রোডের উপজেলা মসজিদ মার্কেটের তৃতীয় তলায় এক চেম্বারে ভুক্তভোগীর পরিবারের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হত্যা মামলার বাদী, নিহতের ভাতিজা আটপাড়ার পাহাড়পুর গ্রামের মৃত আবদুল গণির ছেলে মো. শামীম জাহান মিঠু।তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমার চাচা আবদুল লতিফের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে আসামিদের পূর্ব বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে গত বছরের ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় একই গ্রামের হাসমত উল্লাহ, মো. আলম মিয়া ও তাদের লোকজন গ্রামের জলাশয় থেকে মাছ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমার ছোট ভাই মো. সজীব জাহানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে।বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমার চাচা আবদুল লতিফ এগিয়ে গেলে এলাকার তালুকদারের মোড়ে তাকে মারপিট শুরু করে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। তার চিৎকারে সজীব এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় একই বছরের ১৫ আগস্ট আটপাড়া থানায় আমি, মো. শামীম জাহান মিঠু বাদী হয়ে একই গ্রামের মো. হাসমত উল্লাহ, মো. আলম মিয়াসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করি।এর মধ্যে কয়েকজন আদালত থেকে জামিনে বাড়ি ফিরে এসেছে। কিন্তু মামলার অন্য আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে।তিনি আরও বলেন, হত্যা মামলার আসামিরা আমাকে, আমার ভাই, চাচা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশালের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুজিবুর রহমান সরোয়ার বলেছেন, একাত্তর ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে যারা বিতর্ক তুলবে, তাদের বরদাশত করা হবে না। দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। ২০২৪ সালে কোনো বিপ্লব হয়নি, বরং একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে মাত্র। একাত্তরের ভিত্তি ঠিক রেখে, প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।সরোয়ার বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন। গত ১৬ বছর ধরে আমরা এই দাবিতে আন্দোলন করেছি। এখন দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে হলে, অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। একটি নির্বাচিত সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে এবং সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে সরোয়ার বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদান আমরা অস্বীকার করি না। তবে এটা সত্য, তিনি সরাসরি সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নেননি। স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল একটি সশস্ত্র সংগ্রাম, যেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।সরোয়ার বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল হলেও, তাদের মাঝে অহংকার প্রবল। শেখ মুজিব প্রতিদ্বন্দ্বী সহ্য করতে পারতেন না, আর শেখ হাসিনাও একই পথে হাঁটছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগের আজকের রাজনৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হক তারিন, বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মানবেন্দ্র ব্যাটবল ও নুরুল আলম ফরিদ, সাংবাদিক নাছিমুল আলম, এটিএন বাংলার বূরো প্রধানহুমায়ুন কবীর এবং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. জাকির হোসেন প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পোল্ট্রি খামারগুলোতে ব্যাপক হারে মড়কের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় সর্বস্ব হারাচ্ছেন খামারিরা। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগি। খামারিরা অভিযোগ করছেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে তারা প্রয়োজনীয় কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।খামারিদের ভাষ্য মতে, দীর্ঘদিন ধরেই ডিম ও মুরগির দাম কম থাকলেও খাদ্য, ভ্যাকসিন ও ওষুধের দাম বেড়েই চলেছে। এতে ব্যাঙ্ক ঋণ বা ধারদেনায় খামার করা উদ্যোক্তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তার ওপর নতুন করে মড়ক দেখা দেওয়ায় অনেক খামারি সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে উপজেলায় মোট মুরগির সংখ্যা ৭৪ হাজার ১২০টি এবং হাসের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৫৬টি। এর মধ্যে লেয়ার মুরগির খামার ৩৭০টি, ব্রয়লার খামার ১৬৬টি এবং সোনালি মুরগির খামার রয়েছে ২৪টি। নিবন্ধনকৃত খামারের সংখ্যা মাত্র ১৬টি। গোপালপুরের নগদাশিমলা ইউনিয়নের মাকুল্লা গ্রামের শামীম হোসেন ও চর শিমলা গ্রামের রুবেল হোসেনের খামারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১ হাজার ২০০টি করে মুরগি মারা গেছে। রোগাক্রান্ত মুরগিগুলো প্রথমে ঝিমিয়ে পড়ে, পরে দ্রুত মারা যায়।রুবেল হোসেন বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ভালো চিকিৎসা দেয় না, সন্দেহজনক কোম্পানির ওষুধ দেয়। তাই আমি মধুপুর উপজেলা অফিসের সহযোগিতা নিই। এক সপ্তাহে পোড়াবাড়ী, চন্দবাড়ী ও আভুঙ্গি গ্রামের বেশ কয়েকটি খামারে কয়েক হাজার মুরগির মৃত্যু হয়েছে।ভূক্তভোগী খামারিরা অভিযোগ করেছেন, প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্জন কিংবা মাঠকর্মীরা খামার পরিদর্শনে যান না, সময়মতো পরামর্শও দেন না।গোপালপুর বাজারের ফিড ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে দুইটি খামারে সাড়ে তিন হাজার মুরগির মৃত্যু হয়েছে।পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ ও একমি ওষুধ কোম্পানির আঞ্চলিক কর্মকর্তা নাসির আহমেদ বলেন, ঘাটাইল ও গোপালপুরে পানিবাহিত ফাউল কলেরা, টাইফয়েড ও রাণীক্ষেত রোগ ছড়িয়েছে। মৃত মুরগি নিরাপদে মাটিচাপা দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. গোলাম মোরশেদ বলেন, পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যায় না, তবে প্রাথমিকভাবে এটি রাণীক্ষেত বলেই মনে হচ্ছে। ঠিক কত খামারে মুরগি মারা গেছে, তা আমার জানা নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফেনীতে গত এক মাসে ৩১ জন কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১৭ জন কিশোরী ও ৭ জন কিশোর রয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে অধিকাংশের পেছনে রয়েছে প্রেমঘটিত সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব।ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শামসুজ্জামান জানান, রমজান মাসে থানায় নিখোঁজ হওয়া ৩১ জন কিশোর-কিশোরীর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের বয়স ১৫ থেকে ২১ বছরের মধ্যে এবং অধিকাংশই প্রেমঘটিত কারণে ঘর ছেড়েছিল। অপরদিকে, কিশোরদের কেউ কেউ বিভিন্ন মাদরাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে শহরের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৩০ মার্চ হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। থানায় জিডির পর দুদিনের মধ্যে পুলিশ তাকে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে। পরে জানা যায়, পাশের বাসার এক কিশোরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।এক কিশোরের অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে আমরা থানায় জিডি করি। পরে উদ্ধার করে জানতে পারি সে প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণে বাড়ি ছেড়েছিল।ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ধার হওয়া দুটি ঘটনায় টিকটক ও ফ্রি-ফায়ার গেমের মাধ্যমে ছেলে-মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তারা ঘর ছাড়ে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।ওসি শামসুজ্জামান বলেন, এই বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশ ও চলাফেরার ওপর অভিভাবকদের নিয়মিত নজরদারি জরুরি। প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি এবং অভিভাবকদের উদাসীনতা এমন ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন