চুয়াডাঙ্গায় পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পিকআপ ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইখলাস হোসেন (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের অপর দুই আরোহী মুসা (২৫) ও রাজু (১৮) গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিতলা-কয়রাডাঙ্গা সড়কের মাঝামাঝি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইখলাস হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে। সম্প্রতি চার মাসের ছুটিতে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলটি চিৎলার দিক থেকে ভাইলাইপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইখলাসের মৃত্যু হয়। রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেলের অপর দুই আরোহী। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে নিহতের লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদার রহমান বলেন, ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দু’জন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও পিকআপ থানা হেফাজতে রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
ফেনী শহরের মুক্ত বাজার এলাকায় জুলাই শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোররাতে ওই ঘটনায় সারা জেলায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই দুর্বৃত্তদের আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়- মুখে মাস্ক পরা কয়েকজন ব্যক্তি কেরোসিন ঢেলে স্মৃতিস্তম্ভে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, “ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজ হাতে পেলেই বোঝা যাবে কখন, কীভাবে এবং কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”জুলাই আন্দোলনে আহত এ ক্যাটাগরি যোদ্ধা নাহিদুর রহমান জানান, “জুলাই শহীদদের অসম্মান করতেই এভাবে আগুন দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ থাকায় পুলিশ চাইলে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করতে পারবে।”ঘটনাকে রাজনৈতিক নাশকতা দাবি করেছেন ফেনি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল। তিনি বলেন, “থানার নাকের ডগায় এমন ঘটনা প্রমাণ করে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা এখনও ফেনীতে সক্রিয়। সম্প্রতি তারা আরও কয়েকটি স্থানে নাশকতা করেছে। সামনে তারা বড় কোনো ঘটনা ঘটাতে পারে।”তিনি আরও বলেন, “আমরা যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম, তারা নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হচ্ছি। অথচ আমাদের উচিত ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।”আগুনে স্মৃতিস্তম্ভের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট মহল ঘটনাকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত জোরদার করেছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গাইবান্ধা জেলা কারাগারে আবু বক্কর সিদ্দিক মুন্না (৬৮) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে দ্রুত গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আবু বক্কর সিদ্দিক মুন্না ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।তিনি গাইবান্ধা শহরের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা এবং কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা কারাগারের জেলার মো. আতিকুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। চলতি মাসের ২ তারিখে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। রবিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পেশার, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তবে কারাগারে তার চিকিৎসার বিষয়ে কোনো অবহেলা ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।অন্যদিকে পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন নানা রোগে ভুগলেও তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। কারাগারে নেয়ার পর তার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেয়া হয়নি এবং সেখানে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।নিহতের ছেলে সৌমিক বলেন, 'বাবা দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবুও তাকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। কারাগারে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।'তিনি আরও জানান, প্রথমে তার বাবাকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন-ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘদিন জেল খাটার পর তিনি জামিন পান। পরে জামিনে মুক্তি পেলেও জেলগেটে আরেকটি মামলায় পুলিশ তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।এদিকে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গ্যাস পাইপলাইন মেরামত কাজের কারণে আজ শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ৮ ঘণ্টা কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস জানিয়েছে, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভাল্ভ স্টেশনগামী ১০ ইঞ্চি বা ১২ ইঞ্চি বা ১৪ ইঞ্চি মুখ্য বিতরণ পাইপ লাইনের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্নকরণ কাজে জরুরি মেরামতের কাজ চলবে।তাই শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মোক্তারপুর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া, এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।সেই সঙ্গে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস।ভোরের আকাশ/মো.আ.
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করেছে পুলিশ।বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কর্ণফুলী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এ মাইকিং করা হয়। পরে এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।এক মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি ও জার্সি পরা এক যুবক সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাইকিং করে ঘোষণা দিচ্ছেন, ‘কর্ণফুলী এলাকার সকল বাড়ির মালিকদের জানানো যাচ্ছে যে, এলাকায় নতুন কোনো ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে আগে তাদের আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস থানায় জমা দিতে হবে। কোনো নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়; তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।’একই সঙ্গে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘নির্দেশ অমান্য করে নিষিদ্ধ সংগঠন (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর কাউকে ভাড়া দিলে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, এখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটি পরে সংশোধন করা হয়েছে। মূলত সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।ভোরের আকাশ/মো.আ.