টাঙ্গাইলে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবসে আলোচনা সভা
মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আহবানে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের ৫০তম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১১ টায় টাঙ্গাইল নিরালা মোড় সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ‘আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি’ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক শানুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিমউদ্দিন, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সদস্য এডভোকেট আল রুহী, মাওলানা ভাসানী ছাত্র ফাউন্ডেশনের নেতা নুরুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক এডভোকেট আজিম উদ্দিন বিপ্লব ও হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্থ করে একতরফাভাবে নিজেদের অনুকূলে পানি প্রত্যাহার করেছেন যা বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে। আলোচনা সভায় অবিলম্বে বাংলাদেশে ভারত কর্তৃক অবৈধ বাঁধ প্রত্যাহার এবং ফারাক্কা সমস্যা সমাধান চান বক্তারা।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
কক্সবাজারের টেকনাফে ৪৬ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে কোস্ট গার্ড। এসব মাদকের মধ্যে রয়েছে ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৯০টি ইয়াবা এবং ৬০ কেজি ২২৫ গ্রাম গাঁজা।শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর পৌনে ১২টায় ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্ট গার্ড, বিজিবি, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এসব মাদক ধ্বংসের কার্যক্রম শুরু করা হয়।গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের অধীন বিসিজি স্টেশন কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও দলআউটপোস্ট শাহপরী সমুদ্র উপকূল থেকে কোস্ট গার্ডের একক এবং র্যাবের সমন্বয়ে ১২টি মাদকবিরোধী অভিযানে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল।কোস্ট গার্ডের টেকনাফের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর এ কথা জানান। তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এবং মাদক পাচার রোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। মাদক পাচার রোধে কোস্ট গার্ডের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহীন মজিদ, কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মোঃ আসিফ, শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সিফাত উল্লাহ তাসনিম আলম, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ভোরের আকাশ/এসআই
টাঙ্গাইলে গর্ভের বাচ্চাসহ গরু জবাই করায় এক মাংস বিক্রেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল শুক্রবার (১৬মে) সকালে শহরের জেলা সদরের বটতলা বাজারে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এ জরিমানা করেছেন।স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চিলাবাড়ির পাইকপাড়া গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মো সুবেল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে জেলা সদর রোডের বটতলায় সোহেল মাংসের দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। শুক্রবার বটতলা বাজারে পৌরসভার কসাইখানা পরিদর্শক সিল মারতে গিয়ে একটি গর্ভবতী গরুটি শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পান গর্ভবতী ওই গরুটি দুই মাসের বাচ্চা গর্ভধারণ করা ছিল ।টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. শাহিন আলম জানান, শহরের বটতলা বাজারে সোহেল মাংসের ঘরে একটি গর্ভবতী গরু জবাই করা হয়েছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ওই গর্ভবতী গরুটি পরীক্ষা করে দেখা যায় গর্ভবতী গরুটির প্রায় দুই মাসের বাচ্চা ছিল। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, শুক্রবার সকালে সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক বটতলা বাজারে গিয়ে মাংস। বিক্রেতা সুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায় তিনি সব দোষ স্বীকার করেন। এ ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত প্রায় ৭০ কেজি মাংস জব্দ করে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মাটিতে পুতে ফেলা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার সেনেটারী ইন্সপেক্টর সাহিদা আক্তার, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জল ও এএস আই মিলন প্রমূখ। ভোরের আকাশ/এসআই
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জুলাই গনঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধে (ক্যাটাগরী-সি) মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টায় গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে চেক বিতরণ করা হয়।গোয়াইনঘাট উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ৬ জন জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত ৫ জনের হাতে চেক বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রতন কুমার অধিকারী।এসময় উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সিএ লুৎফুর রহমান। ২০২৪ এ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত (ক্যাটাগরি "সি") গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬ জনের মধ্যে উপস্থিত ৫ জন আহত যোদ্ধার মাঝে চেক বিতরণ করা হয়।গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৬ জন জুলাই যোদ্ধারা হলেন- এডভোকেট ফয়েজ আহমদ,আব্দুর রহিম,জসিম উদ্দিন,আব্দুল কাদির জিলানী, আশরাফুল আমিন ও শেখ আরিফুল ইসলাম। আব্দুর রহিম উনার চেকে ভুলবশত নাম আব্দুর রহমান চলে আসার কারণে চেক দেওয়া হয়নি।পরবর্তীতে চেকের নাম সংশোধন করে চেক দেওয়া হবে। আরিফ বিদেশে থাকায় উনার বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন চেক গ্রহণ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তখন রাত আড়াইটার মতো হবে, হঠাৎই সাইরেন এর শব্দে ঘুম ভাঙে! মসজিদের মাইকে ঘোষণা হচ্ছে... প্রিয় সিংগারবিল ইউনিয়নবাসী, সবাই ঘুম থেকে উঠুন এবং যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ভারত সীমান্তে চলে আসুন। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে সহায়তা করুন। অনুরোধক্রমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মাইকিং শুনেই কোনরকম বিলম্ব না করে পরিবারের ছেলেরা বেরিয়ে যায় সীমান্তের দিকে, আর আমরা মেয়েরা মনে অজানা ভয়-অস্থিরতা নিয়ে সময় গুনছিলাম! একবার ঘর থেকে বের হয়ে ভারত সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকি, আবার ঘরে আসি। এমন করতে করতে ভোর হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্ম পাওয়ার এন্ড মেশিনারি বিভাগের প্রভাষক মোছা: সাবিনা আলীম ভোরের আকাশের প্রতিবেদক আশরাফুল ইসলাম সুমনের কাছে এভাবেই গভীর রাতে সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দেন।বিজিবি ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্তবর্তী সিংগারবিল ইউনিয়নের নোয়াবাদী-নলগড়িয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে (১৬ মে) পুশইনের খবরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় মানুষদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় ভারতীয় বিএসএফ। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে মসজিদে মাইকিং ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বানের মাধ্যমে সিঙ্গারবিল, নোয়াবাদী, নলগড়িয়া, কাশিনগর, মেরাশানী, বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, ভাগলপুর, কাশিমপুর গ্রামের মানুষজ সীমান্তে জড়ো হয়। ঘন্টাখানেকে মধ্যে শতশত মানুষ সীমান্তে অবস্থান নিলে বিএসএফ পিছু হটে এবং কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।সূত্রে জানা গেছে, বিএসএফ বৃহস্পতিবার রাতে আগরতলা বিমানবন্দরের পাশের গেটের কাছে কয়েকশত ভারতীয় নাগরিককে জড়ো করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর বিজিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে সীমান্তে টহল জোরদার করে বিজিবি। ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাস্থলের ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে, যা আরও আতঙ্ক বাড়িয়ে দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকাগুলোতে নিরবচ্ছিন্নভাবে টহল দেওয়া হচ্ছে, বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো অবস্থাতেই বাসিন্দাদের সীমান্তের দেড়শ গজের মধ্যে চলাফেরা না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে সরেজমিনে বিজয়নগর উপজেলার নোয়াবাদী ও নলগড়িয়া সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিজিবির সদস্যরা সীমান্তে টহল দিচ্ছেন। অবৈধভাবে যেন কোনো ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছেন সীমান্তে।সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বাচ্চু মিয়া জানান, বিজিবির কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই আমরা এলাকায় মাইকিং করি। গ্রামবাসী জড়ো হয়ে গেলে বিএসএফ পিছিয়ে যায়। ইউনিয়ন পরিষদের আরেক সদস্য মামুন চৌধুরী বলেন, বিএসএফ গোপনে পুশ-ইন করতে এসেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতি ও বিজিবির কড়া অবস্থানের কারণে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়।’বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে বিজিবির পাশাপাশি প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।বিষ্ণুপুর বিজিবি ক্যম্পের (সুবেদার) শরিফ মাহাবুব বলেন, গোপন তথ্যে জানতে পারি বিএসএফ ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করাবে। এই খবরে সীমান্ত এলাকার সবাইকে নিয়ে মাইকিং করিয়ে বিএসএফের অপতৎপরতা রুখে দিয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।বিজয়নগর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুশইন চেষ্টার খবরে জনগণ বিজিবির সঙ্গে থেকে প্রতিহত করেছে।তবে কতজন পুশইন করবে এই ধরণের সংখ্যার ব্যাপারে জানেন না বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় নাগরিকদের পুশইনের আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে ওই এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। এখনও (শুক্রবার বিকাল ৪টা) পর্যন্ত কোনো অনুপ্রবেশ ঘটেনি। পুশইন ও মাদক কোনোভাবেই বাংলাদেশে আসতে পারবে না। এ ব্যাপরে বিজিবি সবসময়ই সতর্ক অবস্থায় আছে। এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোতে ঘুরে স্থানীয়দের সচেতন করছেন বিজিবি সদস্যরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একটি বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।পুশইনের ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও স্থানীয়দের মাঝে সীমান্তের নিরাপত্তা। ভোরের আকাশ/এসআই