পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৫৫ পিএম
পিরোজপুরে দুর্নীতির অভিযোগে ৪ কর্মকর্তাসহ ৫ জন গ্রেপ্তার
পিরোজপুর এলজিইডি’র দুর্নীতিকান্ডে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডি অফিসের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে দুদক। বুধবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট এ্যাকাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার মোঃ মোহাসীন, এসএএস সুপার মোঃ মাসুম হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট এ্যাকাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার মোঃ আলমগীর হাসান এবং পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান।
জানা যায়, মঙ্গলবার পিরোজপুরে দুদক এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৮টি মামলা দায়ের করে। এদের মধ্য থেকে বুধবার ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। এসব দুর্নীতির অভিযোগে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্য থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে পিরোজপুর এলজিইডি অফিস। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডি’র প্রধান কার্যালয় থেকে অনেকগুলো তদন্ত টিম পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমান পায়। কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা এবং এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে গরমিল পায় তদন্ত কমিটি। সর্বশেষ দুদক বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়ে দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই সীমাহীন এ দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১ দিন আগে
আপডেট : ১ দিন আগে
পিরোজপুরে দুর্নীতির অভিযোগে ৪ কর্মকর্তাসহ ৫ জন গ্রেপ্তার
পিরোজপুর এলজিইডি’র দুর্নীতিকান্ডে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডি অফিসের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে দুদক। বুধবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট এ্যাকাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার মোঃ মোহাসীন, এসএএস সুপার মোঃ মাসুম হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট এ্যাকাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার মোঃ আলমগীর হাসান এবং পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান।
জানা যায়, মঙ্গলবার পিরোজপুরে দুদক এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৮টি মামলা দায়ের করে। এদের মধ্য থেকে বুধবার ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। এসব দুর্নীতির অভিযোগে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্য থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে পিরোজপুর এলজিইডি অফিস। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডি’র প্রধান কার্যালয় থেকে অনেকগুলো তদন্ত টিম পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে সীমাহীন দুর্নীতির প্রমান পায়। কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা এবং এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে গরমিল পায় তদন্ত কমিটি। সর্বশেষ দুদক বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়ে দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই সীমাহীন এ দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ