মাসুদ রানা , বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫ ০৫:০৩ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই খুন, ধর্ষন, ডাকাতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই সফলতা অর্জন করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং র্যাব-৮ বরিশাল, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-৯, সিপিসি-৩, হবিগঞ্জ ক্যাম্প এর একটি যৌথ আভিযানিক দল (২৭ জুলাই) আনুমানিক দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানাধীন বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার হবিগঞ্জের মাধবপুরে চতুর্থ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী (১২) ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আকাশ মিয়া (২৪), পিতা- মোঃ নুর মিয়া, সাং- হবিবপুর, থানা- মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায় যে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ সকাল ৮ টায় ভিকটিম শিশু প্রতিবেশী ‘হবিগঞ্জের মাধবপুর থানাধীন হাবিবপুর গ্রামে’ অভিযুক্তের বসতঘরের সামনে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিকটিমকে জোর পূর্বক মুখ চেপে ধরে বসত ঘরে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি প্রদান করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময় ভিকটিমকে তার বসত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিম অভিযুক্তের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে।
গত ২৬/০৫/২০২৫ ইং তারিখে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে ভিকটিমকে ‘তানিয়া ডায়াগনস্টিক এন্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, মাধবপুরে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তার জানায় ভিকটিম ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। তখন ভিকটিম তার পরিবারের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। উল্লিখিত ঘটনায়, ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এমতাবস্থায়, র্যাব ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৮ ও র্যাব-৯ এর একটি যৌথ অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
ভোরের আকাশ/জাআ