ছবি: ভোরের আকাশ
কুড়িগ্রাম জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকল্প সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বেসরকারি সংস্থা এ্যাসোশিয়েন ফর অল্টারনেটিভ ডেভলপমেন্ট এর আয়োজনে শহরের আলমাস মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আফাদ এর চেয়ারম্যান মোর্শেদা পারভীন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক এএম মনিরুজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন, সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: কামরুল ইসলাম, পাঁচগাছী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার, ঘোগাদহ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, এসিল্যান্ড আরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মশিউর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা নাহিদা আফরিন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহীন মিয়া, সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সরকার, আফাদ এর সমন্বয়কারী রেশমা সুলতানা, প্রজেক্ট কো- অর্ডিনেটর রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মাল্টেসার ইন্টারন্যাশনাল বিএমজেড-পিটি এর সহযোগিতায় বিএমজেড-পি আফাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষক, কৃষক, কৃষাণী, জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি, দলিত সম্প্রদায়, তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি এবং ঘোগাদহ ইউনিয়নে রেজিলেন্স স্ট্রেন্দেনিং অফ ভার্নারেবল পপুলেশন ইন নর্দান ওয়েস্টার্ন এন্ড ইস্টার্ন বাংলাদেশ থ্রো এ নেটওয়ার্ক এপ্রোচ অফ ফাইভ পার্টনার অর্গানাইজেসন, বিএম জেড পিটি প্রজেক্টটি ২০২২ সালের ১ নভেম্বর শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
প্রকল্পের মোট সুবিধাভোগী ৯হাজার ৬৯জন। এরমধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ১২ জন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ৪৬ জন, দলিত সদস্য ৩০ জন, ট্রান্সজেন্ডার ২২ জন, নারী প্রধান পরিবার ২৭ জন, ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার ৩৪৩ জন, ৪৮০ জন প্রত্যক্ষ সদস্য এবং পরোক্ষ সদস্য ৮৫৮৯ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৫ শতাধিক প্রত্যক্ষ সদস্যদের নিয়ে প্রজেক্টের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। তাদেরকে আম, মাল্টা, পেয়ারা গাছ বিতরণ করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
"প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের সাথে সম্মিলিত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত করবে এসডিজি অর্জন" এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পালিত হয়েছে ২৭তম জাতীয় ও ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস।দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হোটেল নীলাজ্ঞনা প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পতিত সরকারের সময় প্রতিবন্ধীদের টাকা লুটেপুটে খেয়েছে। প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা ভাতা পায়নি। যারা প্রতিবন্ধী নয় তারা পেয়েছে। যার কারণে তাদের পালিয়ে যেতে হয়েছে। এখন সুষম বণ্টন করা হবে। প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা প্রতিবন্ধী ভাতা পাবে।সূর্যোদয় প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি আবু তাহের ভূইয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আঃ আজিজ মুসুল্লী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামী, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেছার উদ্দিন হাওলাদার প্রমুখ। সভায় দেড় শতাধিক প্রতিবন্ধী উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীরা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) থেকে সারাদেশের ন্যায় হোসেনপুরেও এসব কর্মসূচি শুরু করেছেন। মাঠ পর্যায়ে কর্মবিরতি দিয়ে তারা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে। জানা গেছে, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ সহকারীদের প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি সংশোধন ও দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে হোসেনপুরে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন- বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা কর্মচারী সমিতি হোসেনপুর শাখার সদস্যরা। আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা এ কর্মসূচি পালন করবেন। পাশাপাশি আগামী ৬-১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা সপ্তাহও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।হোসেনপুর পরিবার পরিকল্পনা কর্মচারী সমিতির সভাপতি অপু কুমার মোদক ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিনেও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীরা চরম হতাশ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এসময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে কেন্দ্রীয় যে সিদ্ধান্ত আসবে তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শিবলী সারোয়ার, আব্দুল্লাহ আল ফারুক,পরিবার কল্যাণ সহকারী তামান্না, ফাতেমা তুজ তোহরা ও পারভীন বেগম।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজে স্কুলিং মডেল বাতিল ও ঢাকা সরকারি সাত কলেজের স্বতন্ত কাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় গফরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকরা ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।স্কুলিং মডেল বাতিল করে ও ঢাকা সরকারি সাত কলেজের স্বতন্ত কাঠামো অক্ষুণ্ণ রেখে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারকে স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবীতে অনুষ্ঠিত হয় এই মানববন্ধন।মানববন্ধন শেষে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু ইউসুফ মোঃ শহীদুল্লাহ জানান, সাত কলেজ স্বাতন্ত্র রক্ষা পরিষদ গফরগাঁও সরকারি কলেজ ইউনিট কেন্দ্রীয় দাবির সাথে একমত পোষণ করে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি।এতে আরো বক্তব্য রাখেন কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাকিয়া ফেরদৌসী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রমূখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
হঠাৎ করেই বাড়তে থাকা শীত যেন সবচেয়ে বেশি আঘাত করছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের ওপর। রাতের কনকনে ঠান্ডায় কাপড়ে জড়সড় হয়ে থাকা এই মানুষগুলোর কষ্ট লাঘবে মানবিক হাত বাড়ালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত বাড়ার পাশাপাশি বাড়তে থাকে কনকনে শীত। এসময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে শীতার্তদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার।শহরের কালীবাড়ি মোড়স্থ রেলওয়ে প্লাটফর্ম, লঞ্চঘাট, বড় স্টেশন মোলহেডসহ বিভিন্ন থানে ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ অসহায় মানুষদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়ার হৃদয়ছোঁয়া দৃশ্য। হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বাড়ায় তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নেওয়া হয় এ মানবিক উদ্যোগ।শীতবস্ত্র বিতরণের সময় ডিসি মো. নাজমুল ইসলাম সরকার বেশ কয়েকজন শীতার্তের খোঁজখবর নেন, কথা বলেন তাদের সাথে। একজন বৃদ্ধা তাঁর হাত বুলিয়ে দোয়া করেন, কেউ কেউ আবেগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।গণমাধ্যমকে জেলা প্রশাসক বলেন, সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। খেটে খাওয়া মানুষ, বিশেষ করে যাঁরা রাস্তায় থাকেন, তাঁদের কষ্টও বেড়ে যায়। তাদের কষ্টের কথা ভেবেই আজকের এই কর্মসূচি।তিনি আরও বলেন, জেলার প্রতিটি উপজেলায়ও শীতবস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাদের প্রকৃত প্রয়োজন, সবাইকে এ সহায়তার আওতায় আনা হবে। খেয়াল রাখা হবে-যাদের দরকার তারাই পাবে এবং একজন একটি করেই পাবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একরামুল ছিদ্দিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস. এম. এন. জামিউল হিকমা, প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।শীতের রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে জেলা প্রশাসনের এমন মানবিক উপস্থিতি অসহায় মানুষের মুখে এনে দিয়েছে উষ্ণতার হাসি।ভোরের আকাশ/এসএইচ