ছবি : ভোরের আকাশ
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ও সবুজ পরিবেশ গড়ে তুলতে গাজীপুরের কালীগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে কালীগঞ্জ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে উপজেলার সামনে থেকে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় পর্যন্ত শ্মশানঘাট এলাকা জুড়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
“পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই” স্লোগানকে সামনে রেখে এবং “সঠিক নিয়মে বৃক্ষ রোপণ, যত্ন ও পরিচর্যার মাধ্যমে হোক পরিবেশ ও জলবায়ুর পরিবর্তন” প্রতিপাদ্যে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ কল্যাণ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. মু. আতিকুর রহমান ভুঞা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম, সমাজসেবা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম, কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ। পুরো কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাশহুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন নিয়মিত পরিচর্যা। বৃক্ষ শুধু অক্সিজেন দেয় না, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
কর্মসূচিতে অংশ নেন সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং স্থানীয় সাধারণ জনগণ। দিনব্যাপী আয়োজনে রোপণ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ভেষজ গাছের চারা।
আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ আরও বিস্তৃত পরিসরে গ্রহণ করা হবে, যাতে পরিবেশ সচেতনতা ও কার্যকর ভূমিকা আরও প্রসারিত হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় একটি পুকুর থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাঁটিহাতা এলাকার বোরহান হুজুরের মাদ্রাসার পাশের একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম জানান, বিকেলে স্থানীয়রা পুকুরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে। নিহতের পরিচয় শনাক্তের জন্য তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চিতলমারী প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে অসহায় মানুষের হাতে এ বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এ মহৎ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছে দুর্বার উন্নয়ন সংস্থা।অসহায়দের মুখে হাসিচিতলমারীর বিভিন্ন গ্রামের অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হলে তাদের মুখে ফুটে ওঠে আনন্দের হাসি। উৎসবের এ সময়ে নতুন কাপড় পেয়ে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আয়োজকদের জন্য দোয়া করেন। সুবিধাভোগীরা জানান, এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে তারা শুধু কাপড়ই পাননি, বরং ভালোবাসা ও সামাজিক বন্ধনের প্রতিফলন পেয়েছেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিতলমারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক মুন্সি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন (প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দুর্বার উন্নয়ন সংস্থা), সহ-সভাপতি এসএম শহীদুল হক টিপু, সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স মন্ডল অলিফসহ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন সদস্যবৃন্দ।বিতরণ শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রেস ক্লাবের সভাপতি একরামুল হক মুন্সি বলেন, চিতলমারী প্রেসক্লাব শুধু সংবাদ সংগ্রহ বা প্রচারেই সীমাবদ্ধ নয়। আমরা সবসময় চেষ্টা করি সমাজের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে। শারদীয় দুর্গাপূজার আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ভবিষ্যতেও প্রেসক্লাব সমাজের কল্যাণে সবসময় কাজ করে যাবে।দুর্বার উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, মানবতার সেবাই আমাদের মূল লক্ষ্য। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারাটাই আমার জীবনের আনন্দ। প্রেসক্লাবের এই মহৎ উদ্যোগে পাশে থাকতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি, এমন কার্যক্রম সমাজে মানবিকতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়াসুবিধাভোগীরা বলেন, আমাদের কথা খুব কম মানুষ ভাবে। উৎসবের আগে নতুন কাপড় পেয়ে আমরা সত্যিই খুশি। চিতলমারী প্রেসক্লাব ও দুর্বার উন্নয়ন সংস্থার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুন।শুধু সংবাদ প্রচারে সীমাবদ্ধ না থেকে মানবিক কাজেও চিতলমারী প্রেসক্লাব এগিয়ে আসায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। সমাজের অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোও এ ধরনের মানবিক কাজে এগিয়ে আসবে বলে স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন সহ ৫ দফা গণদাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখা।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১০টায় শহরের শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে অবকাশ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে শহীদ মিনার চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রব এর সভাপতিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য পিরোজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ।জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক এর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, পৌর আমির ইসহাক আলী খান সহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।এ সময় বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে আরেকটি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার জন্ম নিবে। অনেক রক্তের বিনিময়ে ৫ ই আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। কোন দলের ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ-লালসায় জুলাই বিপ্লবের স্বাধীনতা নষ্ট করা যাবে না। ৩০ থেকে ৩৫ পার্সেন্ট মানুষের ভোট নিয়ে শতভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার কোন সুযোগ নেই।একমাত্র পিআর পদ্ধতির মাধ্যমেই নির্বাচন হলে শতভাগ মানুষের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হবে। সকলের মতামত দেয়ার স্বাধীনতা থাকবে। মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে লুটপাট দুর্নীতি বন্ধ হবে। আর কোন স্বৈরাচার তৈরি হবে না।ভোরের আকাশ/মো.আ.
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন কর্নেল হারুনুর রশিদ খান (অব.), বিএনপির মনোনীত প্রার্থী।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি উপজেলার বিভিন্ন বাজার, হাট, জনবহুল স্থান ও গ্রামীণ অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের অভাব-অভিযোগ শোনেন।গণসংযোগের সময় তার সঙ্গে বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয়রা তাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অভ্যর্থনা জানায়। ব্যবসায়ী, কৃষক, দিনমজুর ও তরুণ ভোটাররা কর্নেল হারুনুর রশিদ খানের হাত ধরে সমর্থন প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং শিক্ষিত প্রার্থী চাই। কর্নেল হারুনুর রশিদ খান অত্যন্ত সৎ ও দেশপ্রেমিক মানুষ। আমরা তার পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”কর্নেল হারুনুর রশিদ খান গণসংযোগকালে বলেন, “আমি বেতাগী উপজেলা থেকে গণসংযোগ শুরু করেছি। প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং তাদের সমস্যার কথা শুনেছি। আজ আমি বামনা উপজেলায় এসেছি। এখানেও প্রতিটি ইউনিয়নের হাট-বাজারে গিয়ে মানুষের সুখ-দুঃখ জানবো এবং চেষ্টা করব তাদের পাশে থাকার।”তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে রাজনীতি মানে মানুষের সেবা। জনগণের কল্যাণ ছাড়া রাজনীতির কোনো মূল্য নেই। আমি অতীতে যেমন জনগণের পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও তেমনি থেকে যাব। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ শুধু একটি রাজনৈতিক প্রতীক নয়, এটি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার প্রতীক। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।”গণসংযোগ চলাকালে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী ও নারীরাও তাকে অভ্যর্থনা জানান। অনেকেই জানান, কর্নেল হারুনুর রশিদ খান এলাকায় একজন গ্রহণযোগ্য, শিক্ষিত ও নির্লোভ নেতা। তার প্রার্থিতা এলাকায় নতুন আশার আলো জাগিয়েছে।বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কর্নেল হারুনুর রশিদ খানের নেতৃত্বে ধানের শীষ বিজয়ী হবে। তারা বলেন, জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। আর সেই পরিবর্তনের জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব দরকার।বামনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নজুড়ে দিনব্যাপী এই গণসংযোগে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, কৃষক, শিক্ষক, ছাত্র-যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ কর্নেল হারুনুর রশিদ খানের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.