ছবি: ভোরের আকাশ
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। রোববার (১০ জুলাই) সকাল ১০টায় আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সামনে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন রেখে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সাংবাদিকরা নিরাপদ নয় ,সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা কবে হবে। সাংবাদিকরা কেন এরকম নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করা হয়েছে। কিন্তু এই কমিশন সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় বা সাংবাদিকদের সুরক্ষায় দৃশ্যমান কোন কিছু করেছে কি? সাংবাদিকরা কেন হত্যার শিকার হবে? কেন নির্যাতনের শিকার হবে? প্রশাসন কেন নিশ্চুপ থাকে? তাই অবিলম্বে সাংবাদিক তুহিন হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য দ্রুত শেষ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা।
আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোজাফফর হোসাইন জয়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মেহেদী হাসান মিঠু, অপু ওহাব, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক লাইজু আহম্মেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, প্রচার সম্পাদক আল মামুন ,,কামরুল হাসান রুবেল সহ সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদকর্মীরা।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো ধরনের আইনগত বাধা নেই।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইদহ শহরের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা বড় অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।বর্তমান প্রশাসন দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব কিনা—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। আমার বিশ্বাস, তারা নির্বাচন সামনে রেখে নিরপেক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।”তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ কখনোই ফ্যাসিবাদের কাছে নত হয়নি। যখনই তারা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে, তখনই রাষ্ট্রীয় কাঠামো বদলে দেয় এবং প্রয়োজনে দেশের জন্য জীবন দিতেও কুণ্ঠিত হয় না।”মতবিনিময় সভায় ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন—জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মেহেদী হাসান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ বেগম পলি, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, সিনিয়র সাংবাদিক বিমল সাহা, সাবেক সভাপতি এম সাইফুল মাবুদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা।ভোরের আকাশ//হ.র
মাদারীপুর -১ (শিবচর) আসন থেকে আগামী নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যবসায়ী এবং বিএনপির নবগঠিত কমিটির সম্মানিত সদস্য উপজেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য কামাল জামাল নুরুদ্দিন মোল্লার সাথে উপজেলার কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ২টায় তার নিজ বাসভবনে এই মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট,ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।সভায় বক্তৃতাকালে কামাল জামাল নুরুদ্দিন মোল্লা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন অবশ্যই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। এ জন্য দলীয়ভাবে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে মাঠে থাকার আহ্বান জানান তিনি।এছাড়াও তিনি শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, এ বছর শিবচরের পূজা মণ্ডপগুলোতে শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল মানুষ নির্ভয়ে উৎসব পালন করতে পেরেছেন।মতবিনিময় সভায় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি ধৈর্য সহকারে তার উত্তর দেন এবং আগামীতে জনগণের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আরিফুজ্জামন দিপ মন্ডলের ওপর দূবৃত্তদের হামলা ও ছুরিকাহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী–কুড়িগ্রাম সড়কের রায়গঞ্জ বাজারের অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়। এতে বক্তব্য রাখেন, নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগন্জ ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, রায়গন্জ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল ওয়াব, সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইমলামসহ অন্যান্যরা।মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, মাদক ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে রায়গঞ্জের চিহ্নিত একটি গ্রুপ চেয়ারম্যানের ওপর হামলা ও মারপিট করে এসময় তারা ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত চেযারম্যানকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয় স্থানীয়রা। এঘটনায় দূর্বুত্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান বক্তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাজীপুরের শ্রীপুর থানা পুলিশ সৌদী প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ বশত বাড়ির বারান্দা থেকে উদ্ধার করেছে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের বিন্দুবাড়ি গ্রামের আ.জলিলের বাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইতি আক্তার (২১) জেলার কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ঘিঘাট গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।পাঁচ বছর আগে উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বিন্দুবাড়ি গ্রামের আ.জলিলের ছেলে মো. আক্তার হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্যজীবনে আড়াই বছরের এক মেয়ে আফরিন রয়েছে। নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে ইতি কে শশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখের কথা ভেবে ইতির স্বামীকে শশুর বাড়ির টাকায় সৌদীতে পাঠানো হয়। তবু থামেনি শাশুড়ী ননদের নির্যাতন। একাধিক বার ইতি নির্যাতিত হয়ে বাবার বাড়িতে চলে গেছে। তাকে বুঝিয়ে ফের স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হতো। কিছুদিন পূর্বে এভাবে নির্যাতিত হয়ে ইতি বাবার বাড়ি চলে আসে। আক্তার দেশে ফিরে তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। এক মাস পূর্বে আক্তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে আবার সৌদীতে চলে যায়। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে ফোন করে জানায় ইতিকে দেখতে হলে দ্রুত ওই বাড়িতে যেতে। ও বাড়িতে গিয়ে স্বজনরা ইতির মরদেহ বাড়ান্দায় দেখতে পায়। নিহতের মা বিলকিছ অভিযোগ করে বলেন, আমাকে সকালে ফোন করে জানানো হয় ইতিকে দেখতে হলে দ্রুত ওই বাড়িতে যেতে। আমি ছোটে গিয়ে বাড়ান্দায় মেয়ের মরদেহ দেখতে পাই। সে আত্মহত্যা করলে ঝুলন্ত থাকতো। বাড়ির লোকজন লাশ নামালো কেন? আমার মেয়ে মরতে পারেনা। তাকে মেরে এখন বলছে সে আত্মহত্যা করেছে।নিহতের ভাবী শারমিন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে ইতির উপর শাশুড়ী ননদ নির্যাতন চালাতো। সে একাধিকবার বাবার বাড়িতে চলে এসেছে। আমরা বুঝিয়ে তাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠাতাম। সংসারের সুখের কথা ভেবে ইতির স্বামীকে শশুর বাড়ির টাকায় সৌদীতে পাঠিয়েছি। তবু শাশুরী ননদের নির্যাত বন্ধ হয়নি। কিছুদিন পূর্বেও সে আমাদের বাড়িতে চলে এসেছিলো। তার স্বামী দেশে ফিরে তাকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যান। স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে একমাস পূর্বে আক্তার সৌদী চলে যায়।আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইতির ননদ মিনারা ফোন করে বলেন, ইতিকে দেখতে হলে দ্রুত ওই বাড়িতে যেতে। অন্য কিছু বলেনি। আমরা ছোটে ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের বাড়ান্দায় ইতির মরদেহ দেখতে পাই। বাড়ির লোকজন বলে সে আত্মহত্যা করেছে। ঘরের আড়ায় উড়না ঝুলানো ছিলো। গলায় একটি চিকন দাগ রয়েছে। বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে। পরে এটিকে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। আমরা দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই। নিহতের ননদ মিনারা জানান, আমি কাজ করার সময় ভাবীকে ঘরে সোজা হয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখি। তখন বুঝিনি সে আত্মহত্যা করেছে। পরে দেখি সে ফাঁসিতে ঝুলে আছে।দেবর আফজাল জানান, আমি ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার সময় ভাবীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখি। কাছে গিয়ে দেখতে পাই সে ঝুলে আছে। আমরা দ্রুত তাকে ঝুুলন্ত অবস্থা থেকে নামাই। পরে দেখি সে মারা গেছে। ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই মো. আক্রাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে বশত ঘরের বারান্দায় ওই নারীর মরদেহ দেখেতে পাই। ঘরের আড়ায় একটি উড়না বাঁধা ছিলো। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনজার্জ মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তার ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.