ছবি : ভোরের আকাশ
সাভারে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ফুলবাড়িয়া এলাকায় সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত, প্রায় ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয়দের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, সাভার উপজেলার রাজফুলবাড়িয়া, শোভাপুরসহ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে একটি জায়গা ভরাট করে ফেলা হয়। ওই জায়গা দিয়েই এসব এলাকার পানি নিষ্কাশন হতো। জায়গাটি ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গিয়ে এলাকাজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জোসনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আগে পানি যাওয়ার মতো সামান্য ব্যবস্থা ছিল, সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে পানি বেড়ে ঘরে ঢুকে গেছে। ড্রেনের নোংরা পানি আমাদের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে দিয়েছে। বাচ্চাদের পড়াশোনা, প্রাইভেট, রান্নাবান্না—সব কিছু কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে পানি যাওয়ার একমাত্র ব্যবস্থা ছিল, সেটিও আটকে দেওয়া হয়েছে। এখন ঘরের ভেতরে পানি জমে আছে। আমাদের শুধু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক, আমাদের আর কোনো দাবি নেই।”
ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুবকর সরকার।
তিনি বলেন, “যে জমি দিয়ে আগে পানি নেমে যেত, সেটি সম্প্রতি ভরাট করায় সংকট তৈরি হয়েছে। জমিটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।”
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, “এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ শুরু করে। প্রায় ১ ঘণ্টা পর তাঁদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ভোলার চরফ্যাশনের মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীসহ সাগরে শুরু হয়েছে টানা ২২ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সময়ে কোনোভাবেই নদী ও সাগরে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, পরিবহন, বাজারজাত বা মজুত করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং, পোস্টারিংসহ ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর চরফ্যাশনের সামরাজ, নতুন সুইজ, মাইনউদ্দিন, ৫ কপাট, ঢালচর, নুরাবাদ ও বকসী ঘাটে শত শত ফিশিংবোট ও ট্রলার নোঙর করেছে। জেলেরা মাছ ধরা সরঞ্জাম গুটিয়ে ঘাটে ফিরেছেন।জেলে বাবুলের ভাষায়, “প্রতিদিন নদীতে গিয়ে মাছ ধরে সংসার চালাই। এখন টানা ২২ দিন নদীতে নামা যাবে না। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। সরকার যদি খাদ্য সহায়তা দেয়, কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।”মাঝি জামাল উদ্দিন বলেন, “সাগরে মাছও নেই। শূন্য হাতে ফিরেছি। তবে মা ইলিশ বাঁচানো ছাড়া উপায় নেই। কষ্ট হলেও আইন মানতে হবে। কিন্তু সহায়তা ছাড়া টিকে থাকা দুঃসাধ্য।”নতুন স্লুইসগেট মাছঘাটের আড়ৎদার মোস্তফা বলেন,নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লেনদেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শুধু জেলেরা নয়, আড়ৎদার, শ্রমিক, বরফকল মালিক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। বাজার পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পরবে।সামরাজ মৎস্য ঘাটের সভাপতি তারেক আজিজ বলেন, জেলেদের সহায়তা দেওয়া হলেও আড়ৎদার ও পরিবহন শ্রমিকদেরও নজর দেওয়া জরুরি। কারণ মাছ ধরা বন্ধ মানেই পুরো ব্যবসা চেইন থেমে যাওয়া।চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান,নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে প্রতিদিন নদী ও সাগরে অভিযান চালানো হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত প্রতিজন জেলেকে সরকারিভাবে ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হবে, যাতে জেলেরা কিছুটা স্বস্তি পান।ভোরের আকাশ//হর
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মোছা. রৌশনারা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈরাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী। অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন (২১) ওই নারীর প্রতিবেশী নাতী। সে ওই এলাকার মোস্তুফার ছেলে। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত সাখাওয়াত পিতা মোস্তুফা (৪৮) ও বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেনকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত রৌশনারার পরিবারের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল মোস্তুফার পরিবারের। এই অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় রৌশনারা বেগমের একটি মুরগী মোস্তুফাদের ওখানে যায়। এরপর মুরগী আনতে গেলে মোস্তুফা ও তাঁর মা সালেমা বেগমসহ (৬৫) পরিবারের অন্য সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।একপর্যায়ে মোস্তুফার ছোট ছেলে সাখাওয়াত দা হাতে দৌঁড়ে এসে রৌশনারা বেগমের ঘাড়ে কুপ দেয়। এসময় চিৎকার দিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রৌশনারা বেগম। এরপর স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধারকরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ প্রসঙ্গে নিহত রৌশনারা বেগমের পুত্রবধূ হাফসা আক্তারের (৩০) ভাষ্য, সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমাদের একটি ঘরে উঠেনি। পরে আমার শাশুড়ি এদিকসেদিক খোঁজতে থাকলে প্রতিবেশী এক চাচি এসে জানায় মোস্তুফাদের ঘরের পেছনে কলাগাছের পাশে মুরগী বসে আছে। এরপর আমার শাশুড়ি মুরগী আনতে গেলে মোস্তফার ছেলে সাখাওয়াত আমার শাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমার শাশুড়ি হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।এ প্রসঙ্গে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্তসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি ও লাঠি আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।ভোরের আকাশ//হর
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গরু চুরির মামলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আলী আকবর(৪৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আজ(৩ অক্টোবর) বিকালে গ্রেপ্তার আলী আকবরকে আদালতে সোপর্দ করে থানা-পুলিশ। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়ন থেকে আলী আকবরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আলী আকবরের বাড়ি বড়হিত ইউনিয়নের বড় ডাংরী গ্রামে। সে একই গ্রামের প্রয়াত আছর উদ্দিনের ছেলে।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আলী আকবরের জবানবন্দি অনুযায়ী উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়ন থেকে এক চোর এবং ময়মনসিংহসদরের নিলক্ষীয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আরও এক চোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এনিয়ে গরু চুরি মামলায় মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মামলার অধিকতর তদন্ত ও চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারের স্বার্থে গ্রেপ্তার অপর দুই চোরের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।প্রসঙ্গত,গত বুধবার দিনগত রাতে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের চরনিখলা গ্রামের আবদিয়া এগ্রো ফার্ম থেকে খামারির ৮ টি গরু চুরি হয়। পরদিন খামারের মালিক মো. আরিফ হোসেন সায়মন(৩৭) থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন,'গরু চুরির মামলায় ইতোমধ্যে তিন চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার রহস্য উদঘাটন ও চুরাই গরু উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।ভোরের আকাশ//হর
মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শাসন ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল।তিনি বলেন, ‘‘জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে আগামীর বাংলাদেশ হবে একটি সুন্দও, সুশৃঙ্খল, সাজানো-গোছানো কল্যাণের।”আজ মহানগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের ভোটকেন্দ্র কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার সকালে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে নানা দিকনির্দেশনামূলক বিষয় নিয়ে এই সভা হয়।বরিশাল-৫ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতিকে বিদায় জানানো হবে। মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে পারবে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সকল ধর্মের মানুষেরা একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে থাকবে। এদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।”এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বরিশাল মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মতিউর রহমান, আইনজীবী বিভাগের সভাপতি আবুল খায়ের শহিদ, কোতয়ালী দক্ষিণ থানা জামায়াতের আমির তরিকুল ইসলাম, নায়েবে আমির সালাউদ্দিন মাসুম, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য শামীম কবির ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কোতয়ালী থানার সভাপতি মাহমুদুল হাসান কামাল আরও অনেকে।সভাপতিত্ব করেন ১০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি সৈয়দ ছিদ্দিকুর রহমান আজাদ। এছাড়াও কোতয়ালী থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি সেলিম হাওলাদার, সহসভাপতি আবু জাফর, কোতয়ালী দক্ষিণ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি আ. রউফ, ১০ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আকন, বরিশাল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্বাহী সদস্য প্রভাষক আবু জাফর শাহীন, এনামুল হক আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ//হর