বরিশালে জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালে পৃথক আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করেছে বিএনপি।
শুক্রবার সকালে নগরির অশ্বিনী কুমার হলে দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপি আলােচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করে। দুপুরের নগরির এবায়দুল্লাহ মসজিদে দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার। এতে মহানগর বিএনরপির সাবেক নেতারা অংশ নেন।
দোয়া অনুষ্ঠানের আগে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, দেশের মানুষ দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। ফ্যাসিবাদের পতনের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য অবশ্যই দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। আগামী ডিসেম্বরের আগেই এই নির্বাচন করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা দেশের জনগণ মানবে না বলেও হুঁশিয়ার করে তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুন, মহানগর যুব দলের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির,বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, আজিজুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকবর, সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হকসহ অনেকে।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
আলোচনা সভায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, সদস্য সচিব আবুল কালাম।
এ উপলক্ষে বরিশাল মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান, সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার।
এ উপলক্ষে অশ্বিনী কুমার হলে বই প্রদর্শনীর আয়োজন করে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার বরিশাল মহানগর কমিটি। প্রদর্শনীতে জিয়া কেন জনপ্রিয়, ১৯ দফা কর্মসূচি, রাজনীতির হালচাল, জিয়াউর রহমানের নির্বাচিত ভাষণ, একজন জিয়াসহ ২০ ধরনের বিভিন্ন বই প্রদর্শন করা হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
কোরবানির ঈদের দিন মৌলভীবাজারের পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই ভাইসহ চার জনের প্রাণ গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।শনিবার রাত ১০টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় দুটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।উপজেলার শ্যামের কোনার কাছারি বাজার এলাকায় মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে ওই দুর্ঘটনায় কমরুল মিয়া (৩০) ও জুবেদ মিয়া (২৮) নামে দুজন নিহত হন।মাহবুব মিয়া নামে আরো একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নিহত জুবেদ মিয়া শ্যামেরকোনা গ্রামের আনকার মিয়ার ছেলে। আর কামরুল কমলগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে।মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদ ফয়সাল জামান বলেন, তিনজনকেই এ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন আগেই মারা যায়। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়।আরেক ঘটনায় একই দিনে শনিবার বিকেলে বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাহেদ হোসেন সুমন (২৬) ও রুমন আহমদ (২২) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জনান, নিহত সুমন ও রুমন বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।জানা গেছে, বিকেলে কোরবানির গরুর মাংস শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিতে ছোট ভাই রুমনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দক্ষিণভাগের দিকে যাচ্ছিলেন সাহেদ। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে ঘটনাস্থলেই সাহেদ মারা যান। স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। ওসমানীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমনও মারা যান।দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওসি।ভোরের আকাশ/জাআ
ঈদের দিন সুখ-আনন্দে ভাসছিলো তারা, মন্ত্রমুগ্ধ সেই মুহূর্তে এসে আছড়ে পড়ল এক মর্মান্তিক ঘটনা, যা পরিবারে বয়ে আনলো শোক। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই সহোদর।শনিবার (৭ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজারের বড়লেখার কাঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই ভাই সাহেদ হোসেন (২৬) ও রুমন আহমদ (১৯)।সংশ্লিষ্টরা জানান, তারা বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেলে কোরবানি মাংস শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাহেদের মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন রুমন। তারা দক্ষিণভাগের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাস্থলে বিপরীত দিক থেকে আসা এক প্রাইভেট কারের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বড় ভাই সাহেদ। ছোট ভাই রুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখা গেলে তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে সিলেটে রুমনেরও মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হয়।বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম সরকার বলেন, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের এই মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।নিহতদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তারা লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত দাফনের আবেদন করেছেন বলে তিনি জানান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহতরা আপন ভাই। দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারটির চালক পালিয়ে গেছেন। তবে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ডোবার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মারা গেছে। ডোবার পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা স্বাধীন ও আশরাফুলের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।শনিবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার ৩নং কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- উপজেলার মলামারি এলাকার ইয়ানুর মিয়ার ছেলে স্বাধীন (৫) ও একই এলাকার শাহজালাল মিয়ার ছেলে আরশাফুল (৫)।নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে বাড়ির পাশে খেলতে যায় শিশু স্বাধীন ও আরশাফুল। খেলার একপর্যায়ে বাড়ির পাশে জমে থাকা ডোবার পানিতে পড়ে যায় তারা।এসময় পরিবারের লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং ডোবাতে তাদের মরদেহ ভাসতে দেখে সেখান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বিনাময়নাতদন্তে লাশ দাফন করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যশোরের বেনাপোলে ঈদের নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘষে জেরে ককটেল হামলায় আব্দুল হাই নামের এক ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য হত্যার শিকার হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আব্দুল হাইয়ের তিন সহকর্মী। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার রাত ৯ টার দিকে শার্শার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুপপাড়া বাজারে এই ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে।এদিকে এঘটনার পর থেকে এলাকায় টান টান উত্তজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে,অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে ঐ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ও হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।ডুবপাড়া ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আসাদুজ্জামান জানান, বেনাপোলের ডুবপাড়া ঈদগা ময়দানে ঈদের নামাজ পড়তে আসে পলাতক থাকা আ.লীগের কয়েক জন নেতা,কর্মী। এ নিয়ে বিএনপি কর্মী সাঈদের সাথে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান ও সদস্য আব্দুল হাইয়ের সাথে। বিষয়টি নিয়ে ঈদের পরে শালিশ বসার কথা ছিল। তবে তার আগেই এ দিন বাজার থেকে ভ্যান যোগে আব্দুল হাইসহ ৪ জন বাড়ি ফেরার পথে ডুবপাড়া বাজারে পৌছালে মটরসাইকেল যোগে সাইদসহ ৬ থেকে ৭ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তাদের লক্ষ্য করে পর পর ৬ টি কলটেল হামলা চালায়। এসময় ককটেলের আঘাতে আব্দুল হাইসহ ৪ জন জখম হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় আব্দুল হাই।নিহতের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী রাজনীতি করলেও কোনো অপরাধে জড়িত ছিলেন না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন শেখ বলেন, ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।এদিকে গত দুই দিনে শার্শা ও বেনাপোল এলাকায় দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ