কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫ ০৯:৩৪ পিএম
টেকনাফে যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে যৌতুকের টাকার দাবিতে মারধর করে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করায় তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে মারধর করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে বলে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বুধবার (১৪ মে) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজারঘোনা এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
নিহত লুলুয়ান মরজান হিরা টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারপাড়ার মাস্টার মীর কাশেমের মেয়ে।
নিহতের বোন আফরোজা আক্তার জানান, হ্নীলার মৌলভীবাজারের রোজারঘোনা এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে আব্বাস উদ্দিনের (২২) সঙ্গে একই ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারপাড়ার মাস্টার মীর কাশেমের মেয়ে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে পরিবারের অজান্তে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি তারা দুইজন পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্ত্রীর কাছে যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন আব্বাস। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়। এর জেরে মঙ্গলবার রাতেই স্বামী আব্বাস মরজানকে মারধর করেন। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও মারধর করে মরজানকে হত্যা করেছে। এখন তারা বাঁচার জন্য আত্মহত্যা করেছে বলে গুজব ছড়াচ্ছে। এ ঘটনায় মামলায় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
মরজানের বোনের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে আব্বাসের বড় ভাই আমাকে ফোন দেয়। সে জানায় আমার শ্যালিকা আত্মহত্যা করেছেন। এরপর বুধবার ভোররাতে নিহতের শ্বশুরবাড়ি থেকে মরজানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বুধবার ভোররাতে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। এরপর শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
ভোরের আকাশ/এসআই