চাঁবিপ্রবি’র আবাসিক হল ভাড়ার অনুমোদন দিয়েছে ইউজিসি
স্থায়ী ক্যাম্পাসের বন্দোবস্ত না হওয়ায় শুরু থেকেই আবাসন সংকটে ভুগছে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গেলো বছর ৪ ডিসেম্বর (২০২৪) আবাসন সংকট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করে হল বরাদ্দের আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৪ এপ্রিল আবাসিক হল ভাড়ার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ২৪ এপ্রিল ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় অস্থায়ী ক্যাম্পাসের আশেপাশে অথবা শহরের সুবিধাজনক স্থানে একটি ছাত্র হল এবং একটি ছাত্রী হল ভাড়া নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি বিভাগ—সিএসই, আইসিটি এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে মোট ২৭০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা ৩০ জন।
ইউজিসির এ অনুমোদনের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি “হল ভাড়া গ্রহণ কমিটি” গঠন করেছে। উক্ত কমিটিকে আসন্ন ঈদের পূর্বে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথকভাবে দুটি হল ভাড়া গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. পেয়ার আহমেদ এই প্রতিবেদককে জানান, শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং আগামী ঈদের পূর্বে নতুন আবাসন সুবিধা চালু হবে। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলমান। এটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হতে পারবে।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেট ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আরও ৬০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী-বিএসএফ। এদিকে ঠাকুরগাঁও সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে।বুধবার (১৪ মে) সকালে মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন এবং সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পাঠায়। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করেছে। তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে বিজিবি নিশ্চিত হয়েছে। তারা এখন বিজিবির অধীনে রয়েছে।এর আগে ৬ ও ৭ মে শতাধিক মানুষকে বিএসএফ ঠেলে পাঠালেও বিজিবি ৫৯ জনকে আটক করে।বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, আটকদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু রয়েছে। আটকরা জানিয়েছেন, তারা কাজের জন্য অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। তারা জানান, সীমান্তের ওপারে আরও মানুষকে আটক করে রেখেছে বিএসএফ। তাদেরও অবৈধভাবে পাঠানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তারা।এ ছাড়া সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আটগ্রাম সীমান্তে ১৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। এদিন সকালে তাদের আটক করেছে বিজিবি। নাগরিকত্বের বিষয়টি যাচাই-বাছাই চলছে। প্রাথমিকভাবে তারা চুয়াডাঙ্গা ও নীলফামারীর বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আটকদের মধ্যে আট পুরুষ, ছয় নারী ও দুই শিশু রয়েছেন। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল।এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল সীমান্তে ঘাস কাটতে গিয়ে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এদিন দুপুরে ধর্মগড় বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৭৩/১-এস-এর বিপরীতে এ ঘটনা ঘটে।বিজিবি সূত্রে জানা যায়, শাহানাবাদ গ্রামের চার বাংলাদেশি সীমান্তে ঘাস কাটছিলেন। বিষয়টি ভারতের ১৮৪ আমবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের নজরে এলে তারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। তিনজন দ্রুত পালিয়ে আসে। একজনকে আটক করে বিএসএফ। আটক আজিজুর রহমান শাহানাবাদ গ্রামের মরতুজার ছেলে।ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজীর আহমেদ বলেন, আমাদের নাগরিককে নিরাপদে ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
লালমনিরহাটে সম্মান শ্রেণির পরীক্ষা দিতে এসে সন্তান প্রসব করেছেন হাজেরা খাতুন নামে এক পরীক্ষার্থী। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেলে সন্তান প্রসব করেন হাজেরা। হাজেরা খাতুন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়ানের চর বজরা গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী।জানা যায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের (মাস্টার্স) শিক্ষার্থী হাজেরা খাতুন (২৭) ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে শুরু হয় মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা। বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা ভালোভাবে শেষ করেন হাজেরা। আজ বুধবার ছিল মৌখিক পরীক্ষা। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। এই মৌখিক পরীক্ষা দিতে কুড়িগ্রামের উলিপুর থেকে আজ সকালে মাইক্রোবাস ভাড়া করে হাতীবান্ধা আসেন। সঙ্গে তাঁর স্বামী, শিশুকন্যা এবং দুই নারী স্বজন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা শুরুর আগেই শুরু হয় প্রসববেদনা।পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে হাজেরাকে দ্রুত হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সকাল সাড়ে আটটার দিকে হাজেরা এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। এখানেই থামেননি ওই পরীক্ষার্থী। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দুপুর সাড়ে ১২টায় মাইক্রোবাসে করে কলেজে উপস্থিত হন। কলেজের তৃতীয় তলার পরিবর্তে কলেজ কর্তৃপক্ষ মাইক্রোবাসের ভেতরেই হাজেরার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর প্রশংসায় ভাসছেন এই পরীক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঘটনাটি ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে। হাজেরা খাতুনের মনোবল অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর বিভাগীয় প্রধান মোজাম্মেল হক।হাজেরা খাতুনের স্বামী আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের বিয়ের ৫ বছরের সংসারে একজন মেয়ে সন্তান রয়েছে। আজকে একজন ছেলে সন্তান পেয়েছি। কেন্দ্রে পৌঁছার পূর্বে প্রসব বেদনা শুরু করে পরীক্ষা কেন্দ্রে অবগত করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে হাজেরা ও সন্তান সুস্থ রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।সরকারি আলীমুদ্দিন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোজাম্মেল হক বলেন, কেন্দ্রে পৌঁছার পূর্বে প্রসব বেদনা উঠলে তারা আমাদের ফোনে অবগত করে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছি।হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনারুল হক বলেন, নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে হাজেরা খাতুন ছেলে সন্তান প্রসব করেন। বর্তমানে নবজাতক ও প্রসূতি দুজনে সুস্থ রয়েছেন। তাদেরকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে যৌতুকের টাকার দাবিতে মারধর করে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করায় তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে মারধর করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে বলে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।বুধবার (১৪ মে) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজারঘোনা এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।নিহত লুলুয়ান মরজান হিরা টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারপাড়ার মাস্টার মীর কাশেমের মেয়ে।নিহতের বোন আফরোজা আক্তার জানান, হ্নীলার মৌলভীবাজারের রোজারঘোনা এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে আব্বাস উদ্দিনের (২২) সঙ্গে একই ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারপাড়ার মাস্টার মীর কাশেমের মেয়ে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে পরিবারের অজান্তে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি তারা দুইজন পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্ত্রীর কাছে যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন আব্বাস। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়। এর জেরে মঙ্গলবার রাতেই স্বামী আব্বাস মরজানকে মারধর করেন। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।তিনি বলেন, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও মারধর করে মরজানকে হত্যা করেছে। এখন তারা বাঁচার জন্য আত্মহত্যা করেছে বলে গুজব ছড়াচ্ছে। এ ঘটনায় মামলায় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।মরজানের বোনের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে আব্বাসের বড় ভাই আমাকে ফোন দেয়। সে জানায় আমার শ্যালিকা আত্মহত্যা করেছেন। এরপর বুধবার ভোররাতে নিহতের শ্বশুরবাড়ি থেকে মরজানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বুধবার ভোররাতে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। এরপর শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি। ভোরের আকাশ/এসআই
কোন ধরণের তদবির ও ঘুষ ছাড়া কেবল শারীরিক ও মেধার যোগ্যতা ভিত্তিতে মাত্র ১২০ টাকা খরচে মাদারীপুরে ১৬জন চাকরি প্রার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন। বুধবার (১৪) মৌখিক পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যায় পুলিশে নবাগত পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মাদারীপুর পুলিশ সুপার।মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে আয়োজিত এ ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল আবেদন পরে ২৭০ টি (টিআরসি)/কনস্টেবল’ পদে। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪৫জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে ভাইবায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৫ জন। পরে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মধ্য থেকে ১৯জন উত্তীর্ণ হয়। আপেক্ষামান রয়েছে ৩জন। উত্তীর্ণদের ১৫ জন সাধারণ কোঠায় এবং একজন মেয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় নিয়োগ পেয়েছেন। ১৬ জনই দিন মজুর ও অটো চালক ও তাদের ছেলেমেয়ে বলে জানা গেছে।ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশিদ, গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সরোয়ার হোসেনসহ মাদারীপুর জেলার পুলিশের সকল কর্মকর্তাগণ।নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অভিনন্দন ও তাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান বলেন, শারীরিক ও মেধার যোগ্যতার ভিত্তিতে আপনারা সকলে আজ এই জায়গায় এসেছেন। আপনারা সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন। এতে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। নিয়োগ প্রাপ্তদেরকে পুলিশ সুপার ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় প্রতিক্রিয়া জানাতে কয়েকজন নবাগত পুলিশ সদস্য আনন্দে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। ভোরের আকাশ/এসআই