নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০১:২৫ এএম
হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করলেন ধর্ম উপদেষ্টা
হজ ফ্লাইট-২০২৫ উদ্বোধন করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এদিকে রাত সোয়া ২টায় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে হজের প্রথম ফ্লাইটটি ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীক জানান, হজযাত্রীদের ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি শেষ করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমান এবং বাকি অর্ধেক বহন করবে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স।
এ বছর হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ৮৭ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাচ্ছেন ৫ হাজার ২০০ জন, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন ৮১ হাজার ৯০০ জন। এরইমধ্যে ৭৩ শতাংশ যাত্রীর ভিসা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের (১৪৪৬ হিজরি) হজ ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্যান্যবারের মত এবারো সব হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন হবে শাহজালাল বিমানবন্দরে। আগামী ৩১মে পর্যন্ত ফ্লাইট চলবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১১৮টি, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ৮০টি, আর ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইট চালাবে।
ফ্লাইটের প্রস্তুতি নিয়ে বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এবারের হজযাত্রায় বিমানের প্রথম ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে। আমরা সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছি। এদিন সব মিলিয়ে পরিচালনা করা হবে চারটি ফ্লাইট।
হজ ফ্লাইটের কারণে অন্য রুটে বিমানের ফ্লাইট চলাচলে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হজ ফ্লাইটের জন্য আমরা কিছু ফ্লাইট সমন্বয় করব। কিছু রুট সমন্বয় করবো। ফলে কোনো কোনো রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা কমে আসতে পারে।
এ বছরও বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া যাত্রীরা ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের’ অধীনে সেবা পাবেন বলে জানিয়েছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার। সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অন্যতম কর্মসূচি ‘পিলগ্রিম এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রামের’ অংশ হিসেবে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন করছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই উদ্যোগে বাংলাদেশ, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও আইভরি কোস্ট- এই ৭টি দেশের ১১টি বিমানবন্দরে ডেডিকেটেড লাউঞ্জ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের লক্ষ্য সুবিধাভোগী দেশগুলো থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের জন্য উচ্চমানের পরিবহন পরিষেবা দেওয়া।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮জন হজযাত্রী নেওয়ার কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। তবে আগের বছরের মত এবারও প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটা পূরণ হয়নি। ২০২৪ সালে হজে যান ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এবার তা কিছুটা বেড়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৬ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করলেন ধর্ম উপদেষ্টা
হজ ফ্লাইট-২০২৫ উদ্বোধন করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এদিকে রাত সোয়া ২টায় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে হজের প্রথম ফ্লাইটটি ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীক জানান, হজযাত্রীদের ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি শেষ করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমান এবং বাকি অর্ধেক বহন করবে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স।
এ বছর হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ৮৭ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাচ্ছেন ৫ হাজার ২০০ জন, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন ৮১ হাজার ৯০০ জন। এরইমধ্যে ৭৩ শতাংশ যাত্রীর ভিসা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের (১৪৪৬ হিজরি) হজ ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্যান্যবারের মত এবারো সব হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন হবে শাহজালাল বিমানবন্দরে। আগামী ৩১মে পর্যন্ত ফ্লাইট চলবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১১৮টি, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ৮০টি, আর ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইট চালাবে।
ফ্লাইটের প্রস্তুতি নিয়ে বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এবারের হজযাত্রায় বিমানের প্রথম ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে। আমরা সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছি। এদিন সব মিলিয়ে পরিচালনা করা হবে চারটি ফ্লাইট।
হজ ফ্লাইটের কারণে অন্য রুটে বিমানের ফ্লাইট চলাচলে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হজ ফ্লাইটের জন্য আমরা কিছু ফ্লাইট সমন্বয় করব। কিছু রুট সমন্বয় করবো। ফলে কোনো কোনো রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা কমে আসতে পারে।
এ বছরও বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া যাত্রীরা ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের’ অধীনে সেবা পাবেন বলে জানিয়েছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার। সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অন্যতম কর্মসূচি ‘পিলগ্রিম এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রামের’ অংশ হিসেবে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন করছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই উদ্যোগে বাংলাদেশ, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও আইভরি কোস্ট- এই ৭টি দেশের ১১টি বিমানবন্দরে ডেডিকেটেড লাউঞ্জ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের লক্ষ্য সুবিধাভোগী দেশগুলো থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের জন্য উচ্চমানের পরিবহন পরিষেবা দেওয়া।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮জন হজযাত্রী নেওয়ার কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। তবে আগের বছরের মত এবারও প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটা পূরণ হয়নি। ২০২৪ সালে হজে যান ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। এবার তা কিছুটা বেড়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ