× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সর্ববৃহত উপকূলউপকূলে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আলো ছড়াচ্ছে বরগুনার পাবলিক লাইব্রেরি

কাশেম হাওলাদার, বরগুনা

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫ ০৫:৪৮ পিএম

সর্ববৃহত উপকূলউপকূলে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আলো ছড়াচ্ছে বরগুনার পাবলিক লাইব্রেরি

সর্ববৃহত উপকূলউপকূলে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আলো ছড়াচ্ছে বরগুনার পাবলিক লাইব্রেরি

দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা উপকূলীয় বরগুনার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার। ঐতিহ্যবাহী এই গ্রন্থাগারটি দীর্ঘ সময় ধরেই জেলার মানুষের জ্ঞান আহরণ ও শিক্ষা সম্প্রসারণে অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এখানে বইপাঠের পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারছেন।

স্থানীয়দের মাঝে বইয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮২ সালের দিকে বরগুনা জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রতিষ্ঠিত হয় বরগুনা পাবলিক লাইব্রেরি। শুরুতে অল্প কিছু পুরনো বই ও অল্প কিছু পাঠক থাকলেও বর্তমানে এটি একটি আধুনিক পাঠাগারে পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বই, পত্রিকা, সাময়িকী, জার্নাল এবং গবেষণামূলক প্রকাশনা। শুরু থেকেই এই লাইব্রেরিটি জনকল্যাণ মূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে আজও অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বরগুনা পাবলিক লাইব্রেরিটির নকশা এবং অবকাঠামো আধুনিক ও ব্যবহার উপযোগী। এখানে সুপরিসরে এবং শান্ত পরিবেশে বই পড়ার জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন জায়গা। পাঠকরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে বই খুঁজে নিতে পারছেন। লাইব্রেরিটিতে রয়েছে বিশেষ রেফারেন্স কর্নার। যেখান থেকে গবেষকরা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। আর শিশুদের জন্য রয়েছে পৃথক একটি শিশু কর্নার। যেখানে তারা নিজেদের বয়স উপযোগী বই পড়ার পাশাপাশি চিত্রাঙ্কন সহ বুদ্ধিবৃত্তিক বিভিন্ন খেলারও সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার এবং চাকরির পরিক্ষার পস্তুতির জন্য রয়েছে জব কর্নার। লাইব্রেরির সদস্যদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগও রয়েছে এখানে। যা তাদের পড়াশোনা এবং গবেষণা কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

আত্মোন্নয়ন মঞ্চ বরগুনার সভাপতি মহিউদ্দিন অপু বললেন, বরগুনার পাবলিক লাইব্রেরি আগের তুলনায় মনোরম পরিবেশ থাকলেও  পাঠকদের আরও আকর্ষন করতে লাইব্রেরীতে বিভিন্ন প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা দরকার বলে একজন পঠক হিসেবে আমি মনে করি। কারণ পাঠক লাইব্রেরিতে বই পড়লেও যেনো অনুভব করেন তারা বই ও প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে আছেন। এক্ষেত্রে লাইব্রেরীতে বিভিন্ন ওয়ালপেইন্টিংসহ বিখ্যাত মনিষিদের পেইন্টিং রাখা উচিত। এতে বইয়ের জগতে তারা নিজেদের মধ্যে জ্ঞান ও সাহিত্যের ভুবন তৈরি করতে পারবেন। এভাবে শিশু-তরুণ সকলেই নিয়মিত পাঠে আগ্রহ প্রকাশ করবে।

আরেক পাঠক বরগুনার বেদে শিশুদের আশার আলো পাঠশালার সভাপতি ইফরাত ইমা বলেন, পুস্তকের সম্ভার বিস্তার করা পাঠক আকৃষ্টকরণের অন্তরায় হলেও বরগুনার পাবলিক লাইব্রেরীকে আরো অবকাঠামোগত উন্নয়নে এবং পাঠক আকৃষ্টতার জন্য কাজ করে যেতে হবে। পাশাপাশি লাইব্রেরীটি সম্পর্কে জেলার সকল স্কুল কলেজে এবং অধ্যায়নরত শিক্ষার্থদের কাছে এর প্রচার ও অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। এছাড়াও বেদে শিশুদের মতো বরগুনার পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য লাইব্রেরীটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।  লাইব্রেরীতে পিছিয়ে পড়া শিশুদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে শিশুতোষ গল্প, উপন্যাস, রম্যরচনার সংযোজন আরও বৃদ্ধি করার মাধ্যমে শিশুদের জন্য আলাদা পাঠকপরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে শুধু পিছিয়ে পড়া শিশুরাই না, সকল শিশুর জন্যই এটি উপকার হবে।

বরগুনা আত্মোন্নয়ন মঞ্চের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সুবাহ্ তাবাসসুম বলেন, জীবনে জ্ঞানের গভীরতা আনতে অবিরত কাজ করে যাওয়া বরগুনা পাবলিক লাইব্রেরিটি শুধুমাত্র একটি পাঠাগারই নয়। এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে বরগুনার মানুষের শিক্ষার পরিধি বৃদ্ধি করছে এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি একটি অনুপ্রেরণার উৎস। পাঠ আগ্রহী তরুনদের একবার হলেও এখানে আসা উচিত।

বরগুনা পাবলিক লাইব্রেরির নিয়মিত পাঠক ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মী আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের পাবলিক লাইব্রেরিটি শুধু পড়াশোনার জায়গাই নয়। এটি একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এ লাইব্রেরীর পক্ষ থেকে প্রতিবছর নানা ধরনের সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষনীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয়ে স্থানীয়দের চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত হচ্ছে। তবে এখনে ক্যান্টিন সুবিধা নেই। এটি চালু হলে দীর্ঘ সময় পাঠকরা এখানে থাকতে পারবে।

বরগুনা পাবলিক লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান মো. দেলুয়ার হোসেন বলেন, বরগুনা পাবলিক লাইব্রেরিতে বর্তমানে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি এবং পরিষেবা যুক্ত করার জন্য কাজ চলছে। ভবিষ্যতে লাইব্রেরিটিতে আরও অনেক নতুন বই, গবেষণা গ্রন্থ এবং মাল্টিমিডিয়া রিসোর্স যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। স্থানীয়রা শুধু বই পড়া নয়, অন্যান্য সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডেও এখানে অংশ নিতে পারবে। পাঠকদের সুবিধার জন্য এখানে একটি ক্যান্টিন দরকার। এটির বিষয়ও ভাবছি আমরা। এছাড়াও কিছু জনবল সংকটও রয়েছে। এ বিষয় দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা করছি । 

ভোরের আকাশ/এসআই

  • শেয়ার করুন-
 সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল

 স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

 চরফ্যাশনে রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত

চরফ্যাশনে রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত

সংশ্লিষ্ট

১৭ ও ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ

১৭ ও ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ

মে মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নতুন নির্দেশনা

মে মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নতুন নির্দেশনা

সর্ববৃহত উপকূলউপকূলে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আলো ছড়াচ্ছে বরগুনার পাবলিক লাইব্রেরি

সর্ববৃহত উপকূলউপকূলে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আলো ছড়াচ্ছে বরগুনার পাবলিক লাইব্রেরি

৭ দফা দাবিতে কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৭ দফা দাবিতে কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ