নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫ ০৭:৫০ পিএম
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে দেশ ছাড়তে সহযোগিতা করেছেন এমন অভিযোগ তুলে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৮ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতাউর রহমান খানের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেয় গণ অধিকার পরিষদ ও এর অঙ্গসংগঠন যুব অধিকার পরিষদের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন গণ অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কদম ফোয়ারা হয়ে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁদের শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ থামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ওই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সচিবালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি তুলে দেন।
রাশেদ খান বলেন, ‘ডামি রাষ্ট্রপতিকে (আবদুল হামিদ) দেশ ছেড়ে পালাতে সহযোগিতা করায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। না করলে সারা দেশে আন্দোলন করা হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের তথ্যমতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহায়তায় ডামি রাষ্ট্রপতি, হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ তাঁর পুত্র ও শ্যালককে নিয়ে আজ ভোররাত তিনটায় দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কীভাবে তিনি পালালেন? তিনি একজন ফ্যাসিবাদের দোসর ও হত্যা মামলার আসামি। সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে যথাযথ জবাব, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ডামি রাষ্ট্রপতিকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সসম্মানে চেয়ার ছাড়তে হবে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘এই সরকার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সরকার। জুলাই গণহত্যার বিচার, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, রাষ্ট্র সংস্কার, আহতদের পুনর্বাসন ও শহিদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান ছিল আপনাদের ওপর জনগণের অর্পিত দায়িত্ব। কিন্তু আপনারা ধীরে ধীরে সেই দায়িত্ব থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছেন। তাই গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি ধিক্কার ও ঘৃণা প্রকাশ করছি।’
রাশেদ খানসহ ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম, আবদুজ্জাহের, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক আবু মনসুর সাজু চৌধুরী, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, দপ্তর সমন্বয়ক গণ অধিকার পরিষদ শাকিলুজ্জামান, সহসভাপতি রাহুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান।
ভোরের আকাশ/এসআই