ছবি: সংগৃহীত
দুই বছর প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর বিচ্ছেদ হয় অভিনেতা বিজয় ভার্মা ও অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার। শোনা যায়, বিয়ে করে সংসার পাততে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী, কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না বিজয়। সম্পর্ক ভাঙার পেছনে সেটাই বড় কারণ বলে মনে করা হয়।
তবে শুধু বিজয় নন, অতীতে একাধিকবার তামান্নার প্রেম নিয়ে চর্চা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম বিরাট কোহলি এবং পাকিস্তানি ক্রিকেটার আবদুল রজ্জাক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাট কোহলির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেন তামান্না। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার খুব খারাপ লাগে। কারণ, আমার সঙ্গে ওর আক্ষরিক অর্থে একবারই দেখা হয়েছিল।
তিনি জানান, ২০১০ সালে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে প্রথম ও শেষবার বিরাট কোহলির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। শুটিংয়ের একটি ছবি সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
তামান্নার কথায়, ওই শুটিংয়ের পরে আর কখনও ওর সঙ্গে দেখা হয়নি। না আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি, না ও আমার সঙ্গে কথা বলেছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আবদুল রাজ্জাকের সঙ্গে বিয়ের গুজব নিয়েও মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। কয়েক বছর আগে তাদের একটি গয়নার দোকানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল, যা থেকে গুজব ছড়ায়—তামান্না নাকি গোপনে রাজ্জাককে বিয়ে করেছেন!
এই প্রসঙ্গে তামান্না বলেন, সত্যিই নেটপাড়া খুব মজার। দাবি উঠেছিল, আমি নাকি আবদুল রাজ্জাককে বিয়েও করে ফেলেছি।
এসময় রাজ্জাকের উদ্দেশে হাতজোড় করে অভিনেত্রী বলেন, আমি সত্যিই দুঃখিত স্যার (আবদুল রজ্জাক)। আপনার দু-তিনজন সন্তান আছে। এসবের প্রভাব আপনার জীবনে কতটা পড়েছে। তবে এটি খুবই অস্বস্তিকর বিষয়।
এই ধরনের গুঞ্জন নিয়ে আক্ষেপ করে তামান্না বলেন, সত্যিই খুব অদ্ভুত লাগে। কোনও সত্যতা ছাড়াই মানুষ এসব সম্পর্কের গল্প তৈরি করে দেয়। কিন্তু এখানে সত্যিই কিছু করার নেই। মানুষের যা ভাবার, তাই ভাববে। সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
ভোরের আকাশ/মো. আ.
সংশ্লিষ্ট
গ্লোবাল স্টার প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বরাবরই তার আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী উপস্থিতির জন্য আলোচনায় থাকেন। তবে এবার তিনি এমন কিছু করেছেন যা দেখে হতবাক তার অনুরাগী থেকে শুরু করে স্বামী নিক জোনাস পর্যন্ত। সাদা টপ ও ডেনিম জিন্সে সেজে প্রিয়াঙ্কা এবার গলায় জড়ালেন একেবারে আস্ত জীবন্ত সাপ! আর সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতেই মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা টপ ও ডেনিমে সাধারণ সাজে উপস্থিত প্রিয়াঙ্কা হাতে নিয়েছেন এক জীবন্ত বিশাল সাপ! গলায় পেঁচিয়ে রেখেছেন সেই সাপকে, মুখে নির্ভীক হাসি যেন ভয় নয়, আত্মবিশ্বাসই তার অলংকার।দৃশ্যটি যতটা ভয়ংকর, ততটাই চমকপ্রদ। অনেকেই প্রশংসা করেছেন তার সাহস ও স্বাভাবিক ব্যবহারের, কেউ কেউ আবার অবাক হয়েছেন এমন ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্টে। পাশে ছিলেন স্বামী নিক জোনাস, যিনি অবিশ্বাসের চোখে দেখছিলেন স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার দুঃসাহসিক মুহূর্তটি।প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার এই নতুন রূপ যেন তার ব্যক্তিত্বেরই প্রতিচ্ছবিআত্মবিশ্বাসী, নির্ভীক ও সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কখনো রেড কার্পেটে স্টাইল, কখনো সামাজিক বার্তা প্রতিবারই নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে জানেন তিনি।এই সাপ-পর্বটিও তাই শুধু একটি মজার ঘটনা নয়, বরং সাহসের আরেকটি প্রতীক হয়ে উঠেছে প্রিয়াঙ্কার জীবনে। নিজের ভয়কে জয় করে যে হাসিমুখে তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন, তা যেন বলছে ভয় নয়, জীবনকে উপভোগ করো নিঃসংকোচে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ আর নেই। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে তিনি মারা যান। একাধিক ভাষায় গান গাওয়া এই শিল্পীর কণ্ঠে অনন্ত জলিলের ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ সিনেমার সুপারহিট গান ‘ঢাকার পোলা ভেরি ভেরি স্মার্ট’ আজও দর্শক-শ্রোতাদের মনে দাগ কেটে আছে।প্রিয় শিল্পীর মৃত্যুতে আবেগাপ্লুত হয়েছেন চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ঢাকার পোলা’ গানটি ভীষণ জনপ্রিয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানটি গায়, নাচে। দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের কাছে এটি যেন এক উন্মাদনা।”অনন্ত জলিল আরও জানান, তিনি যেখানেই গেছেন না কেন, দেশ-বিদেশের তরুণ-তরুণীরা তাকে এই গান গাইতে কিংবা নাচ করতে বলেছে। তার ভাষায়, “জুবিন গার্গের কণ্ঠে এই গান আমাকে বিশ্বপরিচিতি এনে দিয়েছে। সবাই জানে, আমার সিনেমার গান ‘ঢাকার পোলা ভেরি ভেরি স্মার্ট’, কিন্তু এর গায়ক জুবিন গার্গ—আজ তিনি আর নেই, এটা আমাকে ব্যথিত করছে।”অনন্ত জলিল অকপটে স্বীকার করেন, এই গানই তাকে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। আর সেই কৃতিত্ব তিনি দিতে চান প্রয়াত শিল্পী জুবিন গার্গকেই।ভোরের আকাশ//হ.র
বলিউডের ‘কিং খান’ শাহরুখ খান এবার বিশ্বের অন্যতম ধনী অভিনেতাদের তালিকায় জায়গা করে নিলেন। শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো তিনি প্রবেশ করেছেন মর্যাদাপূর্ণ ‘বিলিয়নিয়ার ক্লাব’-এ।সম্প্রতি প্রকাশিত ‘হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৫’ অনুযায়ী, শাহরুখ খানের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৪ বিলিয়ন ডলার—যা প্রায় ১৫ হাজার ৩২০ কোটি টাকা (১২ হাজার ৪৯০ কোটি রুপি)। ৩৩ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এ অর্জন তাকে ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা বানিয়েছে।হুরুন রিপোর্ট জানিয়েছে, সম্পদের দিক থেকে শাহরুখ খান এবার আন্তর্জাতিক অনেক তারকাকেও পেছনে ফেলেছেন। তালিকায় তার পরেই রয়েছেন পপ তারকা টেলর সুইফট (১.৩ বিলিয়ন ডলার), অ্যাকশন কিং আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার (১.২ বিলিয়ন ডলার), কৌতুকাভিনেতা জেরি সাইনফেল্ড (১.২ বিলিয়ন ডলার) এবং গায়িকা-অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ (৭২০ মিলিয়ন ডলার)।ভারতে অবশ্য এখনো তিনি শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন। অভিনেত্রী জুহি চাওলা ও তার পরিবারের মোট সম্পদ ৭ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে আছেন হৃতিক রোশন (২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা), চতুর্থ স্থানে কর্ণ জোহর এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন।শাহরুখ খানের আয়ের উৎস কেবল চলচ্চিত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি প্রযোজনা সংস্থা ‘রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট’, একটি ভিএফএক্স স্টুডিও এবং জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘নাইট রাইডার্স স্পোর্টস’-এর সহ-মালিক। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে তার বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, যা তার সম্পদের পরিধি আরও বিস্তৃত করেছে।প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে শাহরুখ খান শুধু ‘বলিউড বাদশা’ নন, বরং এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম ধনী অভিনেতার মর্যাদাও অর্জন করলেন।ভোরের আকাশ // হ.র
বাংলা সংগীতের ইতিহাসে কিংবদন্তি পপ তারকা মাহফুজ আনাম জেমস। ভক্তদের কাছে যিনি ‘গুরু’, ‘নগরবাউল’ ও ‘ঝাঁকড়া চুলের গিটারম্যান’ নামে পরিচিত। আজ বুধবার ৬১ বছরে পা রাখলেন তিনি।১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয় জন্ম নেওয়া জেমস শৈশব কাটান চট্টগ্রামে। বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলে লেখাপড়ায় মনোযোগী হবে, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই সংগীত ছিল তার নেশা। বাবার সঙ্গে অভিমান করে ঘর ছেড়ে চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে থাকাকালীন শুরু হয় তার সংগীতজীবন। সেখানেই বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘ফিলিংস’ ব্যান্ড, যা পরবর্তীতে ‘নগরবাউল’ নামে পরিচিতি পায়।১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয় ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’। যদিও সেটি শ্রোতাদের মধ্যে তেমন সাড়া ফেলেনি, তবে ১৯৮৮ সালে একক অ্যালবাম ‘অনন্যা’ দিয়ে রাতারাতি খ্যাতি পান জেমস। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।বাংলাদেশে প্রথম সাইকিডেলিক রক ধারার সূচনা করেন জেমস। গায়ক হিসেবে যেমন, তেমনি গিটার বাজানোয়ও ছিলেন দক্ষ। তার কণ্ঠে ‘পাগলা হাওয়া’, ‘মীরাবাঈ’, ‘মা’, ‘বাবা’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’, ‘ফুল নেবো না’, ‘এক নদী যমুনা’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান স্থান করে নেয় ভক্তদের হৃদয়ে। পাশাপাশি চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন- ‘আসবার কালে আসলাম একা’, ‘তোর প্রেমে অন্ধ হলাম’, ‘আমি জেল থেকে বলছি’ এখনো সমান জনপ্রিয়।দেশের বাইরে বলিউডেও জনপ্রিয়তা পান তিনি। ২০০৫ সালে গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রে তার গাওয়া ভিগি ভিগি গানটি টানা কয়েক মাস চার্টের শীর্ষে ছিল। এছাড়া লামহে সিনেমার ‘চল চলে’ ও লাইফ ইন এ মেট্রো’র ‘রিশতে’ এবং ‘আলবিদা’ গানগুলোও তাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত করে তোলে।শুধু সংগীতেই নয়, বিজ্ঞাপন ও প্রযোজনাতেও রেখেছেন পদচারণা। ২০০০ সালে পেপসির বিজ্ঞাপনে প্রথমবার মডেল হন তিনি। পরে এনার্জি ড্রিংক ‘ব্ল্যাক হর্স’-এর বিজ্ঞাপনেও দেখা যায় তাকে। প্রযোজক হিসেবেও সক্রিয় জেমস ‘রেড ডট এন্টারটেইনমেন্ট’-এর মাধ্যমে ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে তৈরি করেন বিখ্যাত ভিডিওচিত্র বিউটিফুল বাংলাদেশ।জেমসের ব্যক্তিজীবন অনেকটা আড়ালেই থেকেছে। স্ত্রী বেনজির সাজ্জাদ, দুই কন্যা জান্নাত ও জাহান এবং ছেলে দানেশকে নিয়ে বর্তমানে তিনি সংসার করছেন।তার ভক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই জন্মদিনে নানারকম আয়োজন করে আসছিলেন। তবে ২০১৮ সালে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও কিংবদন্তি গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর ভক্তদের এসব আয়োজন না করার অনুরোধ জানান জেমস। এরপর থেকে প্রতিবছর নীরবতায় কাটে তার জন্মদিন।বাংলা ব্যান্ড সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি জেমস আজও সমান জনপ্রিয়। জন্মদিনে নেই কোনো জমকালো আয়োজন, কিন্তু কোটি ভক্তের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাতেই উদযাপিত হচ্ছে নগরবাউলের জীবনের বিশেষ এই দিন।ভোরের আকাশ/তা.কা