ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:২৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪০ জনের বেশি।কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভেঙে পড়া ভবনে উদ্ধারকাজ চালিয়ে গেলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার কিছু আগে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৮টা), ভিসায়াস অঞ্চলের সেবু প্রদেশের বোগো সিটির উপকূলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে এবং বেশ কিছু ভবন ধসে পড়ে, এর মধ্যে শত বছরেরও বেশি পুরোনো একটি গির্জাও রয়েছে।
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় সেবু প্রদেশে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। দেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সচল রয়েছে। তবে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সেবু। সেখানকার সান রেমিজিও শহরকে জরুরি সহায়তা কার্যক্রম চালাতে ‘দুর্যোগ এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে।
সান রেমিজিও শহরের সহকারী মেয়র আলফি রেইনেস জানিয়েছেন, বন্যার মধ্যে বিদ্যুৎ নেই, পানির সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। তিনি খাদ্য, পানি ও ভারী যন্ত্রপাতি পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি বোগো সিটিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাসপাতালের রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয় এবং আফটারশকের কারণে অনেক মানুষ এখনো রাস্তায় বা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য বলছে, ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। এরপর বেশ কয়েকটি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটির মাত্রা ছিল ৬। তবে ভূমিকম্পের পর সুনামির হুমকি ছিল না।
ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। এ বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে দুটি বড় ভূমিকম্প হলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। আর ২০২৩ সালে ৬.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে আটজন নিহত হয়েছিলেন।
ভোরের আকাশ/মো.আ.