ছবি: সংগৃহীত
পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় একটি গির্জার অস্থায়ী নির্মাণকাঠামো ভেঙে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। দেশটির আমহারা অঞ্চলে ভার্জিন মেরি উৎসব চলাকালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৪০ মাইল) পূর্বে আরের্তি শহরে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তখন একদল ধর্মপ্রাণ মানুষ বার্ষিক ভার্জিন মেরি উৎসবে অংশ নিচ্ছিলেন।
‘স্ক্যাফোল্ডি’ হলো অস্থায়ী কাঠামো। যা বাড়ি, ভবন অথবা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে বা ভবন রং করার ক্ষেত্রে তৈরি করেন শ্রমিকরা। এ ধরনের কাঠামো সাধারণত মাটি থেকে উচুঁ জায়গায় কাজ করতে কাঠ, বাঁশ বা রড দিয়ে তৈরি করা হয়।
দেশটির জেলা পুলিশ প্রধান আহমেদ গেবেয়েহু রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফানা নিউজকে জানান, মৃতের সংখ্যা ৩৬ জনে পৌঁছেছে এবং তা আরও বাড়তে পারে। আহতের সংখ্যা ২০০-এর বেশি, যাদের অনেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা আতনাফু আবাতে ‘থিওপিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (ইবিসি)’কে জানান, কিছু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন। তবে উদ্ধার কার্যক্রম বা আটকে পড়া ব্যক্তিদের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
তিনি আরও বলেন, গুরুতর আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে রাজধানী আদ্দিস আবাবার বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ইবিসি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কাঠের খুঁটির জঞ্জালের স্তূপে লোকজন ভিড় করে আছে। অন্য ছবিতে দেখা যায় গির্জার বাইরের অংশ, যেখানে অস্থায়ীভাবে কাঠামোটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
ইবিসি প্রকাশিত একটি সরকারি বিবৃতিতে ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ ইথিওপিয়ায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধির যথাযথ প্রয়োগ নেই বললেই চলে, যার ফলে নির্মাণ দুর্ঘটনা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটি প্রায় ৮০টি জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত এবং এটি বিশ্বের প্রাচীনতম খ্রিস্টান সম্প্রদায়গুলোর একটি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় একটি গির্জার অস্থায়ী নির্মাণকাঠামো ভেঙে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। দেশটির আমহারা অঞ্চলে ভার্জিন মেরি উৎসব চলাকালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৪০ মাইল) পূর্বে আরের্তি শহরে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তখন একদল ধর্মপ্রাণ মানুষ বার্ষিক ভার্জিন মেরি উৎসবে অংশ নিচ্ছিলেন।‘স্ক্যাফোল্ডি’ হলো অস্থায়ী কাঠামো। যা বাড়ি, ভবন অথবা বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে বা ভবন রং করার ক্ষেত্রে তৈরি করেন শ্রমিকরা। এ ধরনের কাঠামো সাধারণত মাটি থেকে উচুঁ জায়গায় কাজ করতে কাঠ, বাঁশ বা রড দিয়ে তৈরি করা হয়।দেশটির জেলা পুলিশ প্রধান আহমেদ গেবেয়েহু রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফানা নিউজকে জানান, মৃতের সংখ্যা ৩৬ জনে পৌঁছেছে এবং তা আরও বাড়তে পারে। আহতের সংখ্যা ২০০-এর বেশি, যাদের অনেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা আতনাফু আবাতে ‘থিওপিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (ইবিসি)’কে জানান, কিছু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারেন। তবে উদ্ধার কার্যক্রম বা আটকে পড়া ব্যক্তিদের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।তিনি আরও বলেন, গুরুতর আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে রাজধানী আদ্দিস আবাবার বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।ইবিসি’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কাঠের খুঁটির জঞ্জালের স্তূপে লোকজন ভিড় করে আছে। অন্য ছবিতে দেখা যায় গির্জার বাইরের অংশ, যেখানে অস্থায়ীভাবে কাঠামোটি নির্মাণ করা হয়েছিল।ইবিসি প্রকাশিত একটি সরকারি বিবৃতিতে ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ ইথিওপিয়ায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধির যথাযথ প্রয়োগ নেই বললেই চলে, যার ফলে নির্মাণ দুর্ঘটনা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটি প্রায় ৮০টি জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত এবং এটি বিশ্বের প্রাচীনতম খ্রিস্টান সম্প্রদায়গুলোর একটি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইসরায়েলের হস্তক্ষেপ ও ধরপাকড়ের পরও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ত্রাণবাহী ৩০টি নৌযান। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাতে গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে থাকা অবস্থায় ফ্লোটিলায় বাধা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের অন্তত আটটি নৌকা থামিয়ে দেওয়া হয়। সেগুলো হলো দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা, আলমা, সিরিয়াস, আরোরা ও গ্রান্ডি ব্লু। তবে প্রতিবেদনে ১৩টি নৌযান থামিয়ে দেওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। নৌযানগুলো থেকে বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মীকে আটক করেন ইসরায়েলি সেনারা। তাদের মধ্যে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদভাবে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর আরোহীদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। গ্রেটা ও তার বন্ধুরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।’গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে বিগত প্রায় দুই বছরে সেখানে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি গাজা অবরোধ করে উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্যসংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে অনাহার- অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের।গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টির বেশি নৌযান রয়েছে।এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরায়েল। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ সকালে পৌঁছানোর কথা ছিল গাজায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভূমধ্যসাগরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ১৩টি নৌযান আটক করেছে ইসরাইল। এছাড়া নৌযানগুলোতে থাকা ৩৭ দেশের ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে আটক করেছে দখলদার বাহিনী।ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে জানান, ১৩টি নৌযানে ছিলেন ২০১ জনের বেশি অধিকারকর্মী। তাঁদের মধ্যে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন রয়েছেন।তিনি আরও জানান, আটকের পরও অভিযান থেমে নেই। প্রায় ৩০টি নৌযান এখনো গাজার উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। “তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, অনুপ্রাণিত। ভোরের মধ্যে অবরোধ ভেঙে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে,” লিখেছেন সাইফ।ইসরায়েলি বাহিনী বুধবার রাতে গাজা থেকে প্রায় ১২৯ কিলোমিটার দূরে ফ্লোটিলাটিতে বাধা দেয়। আটকে দেওয়া নৌযানের মধ্যে রয়েছে—দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা, আলমা, সিরিয়াস, আরোরা ও গ্রান্ডি ব্লু। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মোট ১৩টি নৌযান থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “হামাস–সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদভাবে থামানো হয়েছে। আরোহীদের ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গ্রেটা ও তাঁর সঙ্গীরা নিরাপদ আছেন।”‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এতে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান ও ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ মানুষ। তাঁদের মধ্যে আছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা।ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে তিউনিসিয়া, ইতালির সিসিলি দ্বীপ ও গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এতে যুক্ত হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি জাহাজ ইসরায়েল আটকে দেওয়ার খবর প্রকাশের রাতেই ইতালির বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।এ ছাড়া, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্লোটিলায় হামলার প্রতিবাদে স্পেন, জার্মানির বার্লিন এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও রাজপথে নেমে এসেছেন হাজারো মানুষ।আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১ অক্টোবর) ইতালির দক্ষিণের শহর নেপলসে প্রতিবাদকারীরা প্রধান রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। আর রাজধানী রোমে টার্মিনি রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে জমায়েত হওয়া প্রতিবাদকারীদের চারপাশে পুলিশ ঘিরে রেখেছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সুমুদ ফ্লোটিলাতে প্রায় ৪৫টির বেশি জাহাজ রয়েছে, যেগুলোতে প্রায় ৫০০ জন সংসদ সদস্য, আইনজীবী এবং কর্মী রয়েছে, এবং এতে একটি ইতালীয় দলও রয়েছে। তারা ওষুধ এবং খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে গাজায় অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছে। ইসরায়েল অবশ্য তাদের বারবার ফিরে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ