ফাইল ছবি
সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস তথা ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার।
রোববার (১৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তার ঊর্ধ্বতন কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবির প্রেষণে নিযুক্ত কর্মকর্তাসহ) ফৌজদারি কার্যবিধির ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষমতা ১৪ জুলাই থেকে ৬০ দিন কার্যকর থাকবে। সারাদেশে তারা এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
সেনাবাহিনীর এ ম্যাজিস্ট্রেট কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধ বিচার করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম সশস্ত্র বাহিনীকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপর থেকে নিয়মিত ২ মাস পরপর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এখন আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক। আজ রবিবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্বব্যাংকের মন্তব্য হচ্ছে—বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা এখন খুবই ভালো। প্রায় এক বছর আগে যেসব চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।”তিনি আরও জানান, “বর্তমান সরকার অর্থনীতি, প্রশাসন ও নীতিগত নানা সংস্কার বাস্তবায়ন করছে। আমরা এখন বিশ্বাস করি, আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি।”জোহানেস জুট দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম তদারক করবেন এবং তার নতুন অফিস থাকবে নয়াদিল্লিতে। বাংলাদেশে তার সফরকালে বিশ্বব্যাংকের চলমান প্রকল্প ও বাজেট সহায়তা, আর্থিক খাত, পেমেন্ট ব্যালান্স, এবং বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের আর্থিক খাত ও বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বেসরকারি খাতের বিকাশ এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণের ওপর জোর দিয়েছেন।”ড. সালেহউদ্দিন জানান, বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে সরকারের চাওয়া অনুযায়ী সহায়তা দিয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বার্ষিক সভায় পরবর্তী ধাপের সহায়তা নিয়ে আলোচনা হবে।তিনি আরও বলেন, “বিশ্বব্যাংক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) সংস্কার, সংস্থাটিকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা, ব্যাংক খাতে পুনর্গঠনসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। যদিও কিছু কাজ সম্পূর্ণ হতে সময় লাগবে।”বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর ও লালদিয়ার কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়। বিশ্বব্যাংক অবকাঠামো খাতে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে, যার বেশিরভাগই ছিল অনুদান বা স্বল্প সুদের ঋণ।মার্কিন শুল্ক সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বাণিজ্য উপদেষ্টা ও প্রতিনিধি দল প্রধানের দেশে ফেরার পর।”ভোরের আকাশ//হ.র
প্রবাসী আয়ের রেকর্ড প্রবাহ ও রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির ফলে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান দৃঢ় হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মাত্র ১১ মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে এই ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ দিনে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কমেছে। আজ দেশের বেশিরভাগ ব্যাংক প্রতি ডলার ১২০.৩০ টাকা থেকে ১২১.২০ টাকায় বিক্রি করেছে। অথচ গত সপ্তাহের শুরুতে এই দর ছিল ১২২.৮০ থেকে ১২২.৯০ টাকা।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন রেকর্ড ৩০.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২৬.৮০ শতাংশ বেশি।চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসের প্রথম ১২ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ১,০৭১ মিলিয়ন ডলার, যেখানে গত বছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৯৪৮ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রবাহেও দেখা যাচ্ছে ইতিবাচক ধারাবাহিকতা।এই সময়কালে গড়ে প্রতিদিন ৮৯.২৫ মিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে রেমিট্যান্স হিসেবে।২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় ৮.৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.২৮ বিলিয়ন ডলারে। যা দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করলেও ডলারের দাম কমছে এবং টাকার মান শক্তিশালী হচ্ছে, যা আমাদের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত।”তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনীতি, প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠান সংস্কারে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে জনগণের মধ্যে আস্থা বাড়ছে এবং বাজারে স্থিতি ফিরেছে।”ডলারের দরপতনের মূল কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন সরবরাহ বৃদ্ধি। তার ভাষায়, “গত দুই বছরের মধ্যে বর্তমানে ডলারের সরবরাহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।”তিনি আরও বলেন, “হঠাৎ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ, যেমন—মূলধনী বাজারে কারসাজি রোধে কঠোর ব্যবস্থা ও রপ্তানিমুখী খাতকে প্রণোদনা দেওয়া। এর ফলেই রপ্তানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাজারে ডলার সরবরাহে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।”ভোরের আকাশ//হ.র
আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্যে কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে কোনো দল যদি জ্যেষ্ঠতম দু’জন বিচারপতি থেকে একজনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ওই দল বিজয়ী হয়, তাহলে তা করতে পারবে। বিধানটি যুক্ত করার বিষয়েও একমত হয়েছে দলগুলো।রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনের দুপুরের বিরতির পরে আলোচনা শুরু হলে দলগুলো ঐকমত্য প্রকাশ করে।এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় দফার দ্বাদশ দিনের মত আনুষ্ঠানিকভাবে এ আলোচনা শুরু হয়।কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের আলোচনার সূচিতে প্রাধান্য পেয়েছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা, প্রধান বিচারপতি নিয়োগবিধি ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা।এর আগেও উল্লেখ্য তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পূর্বের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আজ অধিকতর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।বরাবরের মতো রোববারও আলোচনায় সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।এছাড়া, কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।ভোরের আকাশ/আজাসা
সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস তথা ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার।রোববার (১৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তার ঊর্ধ্বতন কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবির প্রেষণে নিযুক্ত কর্মকর্তাসহ) ফৌজদারি কার্যবিধির ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষমতা ১৪ জুলাই থেকে ৬০ দিন কার্যকর থাকবে। সারাদেশে তারা এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।সেনাবাহিনীর এ ম্যাজিস্ট্রেট কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধ বিচার করতে পারবেন।উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম সশস্ত্র বাহিনীকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপর থেকে নিয়মিত ২ মাস পরপর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।ভোরের আকাশ/আজাসা