ছবি: সংগৃহীত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও অবকাঠামো মন্ত্রী সুহালি মোহাম্মদ আল মাজরুইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুবাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদিসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও বন্দর সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ইউএইর জ্বালানি ও অবকাঠামো মন্ত্রী এডি পোর্টস এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা সমর্থন কামনা করেন।
এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য ইউএই সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি বৈঠকে বাংলাদেশি নাবিকদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে ইউএই মন্ত্রী আশ্বাস দেন যে, বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে বিবেচনা করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশের মেরিন একাডেমির প্রশিক্ষকদের উন্নত ও আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ইউএই সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা আসন্ন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে (২০২৬-২৭ মেয়াদে) সি ক্যাটাগরিতে সদস্য পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে আইএমও এবং এর আওতাভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
বৈঠকের শেষে উভয় পক্ষ বন্ধুপ্রতিম এ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান মার্কিন সরকারের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারেক এম. আরিফুল ইসলাম।প্রথম বৈঠকটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালিসন হুকারের সঙ্গে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের পাশাপাশি আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়।রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে আন্ডার সেক্রেটারি হুকার বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। এর জবাবে ড. খলিলুর রহমান সম্প্রতি জাতিসংঘ আয়োজিত আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলনে ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা ঘোষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।পরে প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিক ও ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু হেরাপের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তৃত নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গেও বৈঠক করেন। আলোচনায় সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনা-সংক্রান্ত অগ্রগতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপের দিকগুলো তুলে ধরা হয়। ড. রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ঘাটতি আরও হ্রাস পেলে শুল্ক কমানোর আহ্বান জানান। জবাবে ব্রেন্ডান লিঞ্চ বলেন, শুল্ক চুক্তি কার্যকর হলে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমতে থাকলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।ভোরের আকাশ//হর
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দেওয়া বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমসহ অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আমরা শহিদুল আলম ও গাজার মানুষের পাশে আছি, থাকবও।”শনিবার (৪ অক্টোবর) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।ড. ইউনূস বলেন, “২০১৮ সালে হাসিনা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কারণে শহিদুল আলমকে টানা ১০৭ দিন কারাবরণ করতে হয়েছিল। তখন যেমন সাহস, দৃঢ়তা ও অবিচল মানসিকতা তিনি দেখিয়েছিলেন, গাজার উদ্দেশে এই অভিযানে অংশ নিয়েও সেই একই অদম্য মনোবল প্রকাশ করেছেন। আজ তিনি বাংলাদেশের সংগ্রামী চেতনার প্রতীক।”জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া নিজের বক্তব্যের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “মানবজাতির দীর্ঘ সংগ্রামে অর্জিত অগ্রগতি আজ ধ্বংসের মুখে। গাজায় যা ঘটছে, তার চেয়ে ভয়াবহ উদাহরণ আর কোথাও নেই।”তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গাজায় ক্ষুধার্ত শিশুরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ মানুষদের। হাসপাতাল, স্কুল, এমনকি সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকা পর্যন্ত মুছে দেওয়া হচ্ছে মানচিত্র থেকে।”ভোরের আকাশ//হর
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও অবকাঠামো মন্ত্রী সুহালি মোহাম্মদ আল মাজরুইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।শনিবার (৪ অক্টোবর) নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুবাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদিসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও বন্দর সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।বৈঠকে ইউএইর জ্বালানি ও অবকাঠামো মন্ত্রী এডি পোর্টস এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা সমর্থন কামনা করেন।এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য ইউএই সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি বৈঠকে বাংলাদেশি নাবিকদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ জানান।এ বিষয়ে ইউএই মন্ত্রী আশ্বাস দেন যে, বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে বিবেচনা করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশের মেরিন একাডেমির প্রশিক্ষকদের উন্নত ও আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ইউএই সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।এ সময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা আসন্ন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে (২০২৬-২৭ মেয়াদে) সি ক্যাটাগরিতে সদস্য পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে আইএমও এবং এর আওতাভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।বৈঠকের শেষে উভয় পক্ষ বন্ধুপ্রতিম এ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেছেন।শনিবার (৪ অক্টোবর) দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে তারা এ অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেন।অভিনন্দন বার্তায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর ধরে দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বিকশিত হয়েছে এবং সহযোগিতায় ফলপ্রসূ সাফল্য এসেছে- যা উদযাপনের যোগ্য।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে নতুন সাফল্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।এছাড়া চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় চীন এবং ৫০তম বার্ষিকীকে একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম এবং চীন-বাংলাদেশ সামগ্রিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের ধারাবাহিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে প্রস্তুত রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ