ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক করা ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরাইলি বাহিনী জোরপূর্বক ৪৪৩ জনকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে দক্ষিণ ইসরায়েলের রামন বিমানবন্দর থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাদের ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, ১৩৭ মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে ১০১ জন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, তিউনিসিয়ার এবং বাকি ৩৬ জন তুরস্কের নাগরিক।
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে গাজার উপকূলের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ অন্তর্ভুক্ত ৪৩টি নৌযান। জাহাজগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছেন সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা এবং তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, বেলজিয়ামের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিকসহ ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ জন নাগরিক।
কিন্তু বৃহস্পতিবার গাজার জলসীমায় কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই একটি ব্যতীত সবগুলো নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। নৌযান, ক্রু এবং আরোহীদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেতে তাদের ইউরোপে পাঠানো হবে বলে জানায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল এসব উস্কানিদাতা মানবাধিকারকর্মীদের নির্বাসন দ্রুততর করতে চাইছে। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আইনি নির্বাসন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে এবং ইসরায়েলে থাকতেই পছন্দ করছে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিদেশী সরকার এই উস্কানিদাতাদের ফিরিয়ে আনার জন্য ফ্লাইট গ্রহণে অনীহা দেখিয়েছে, তবুও এই প্রচারণার স্টান্টে অংশগ্রহণকারীদের যত দ্রুত সম্ভব বহিষ্কার করা হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক করা ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরাইলি বাহিনী জোরপূর্বক ৪৪৩ জনকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে দক্ষিণ ইসরায়েলের রামন বিমানবন্দর থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাদের ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছে।মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, ১৩৭ মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে ১০১ জন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, তিউনিসিয়ার এবং বাকি ৩৬ জন তুরস্কের নাগরিক।ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে গাজার উপকূলের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ অন্তর্ভুক্ত ৪৩টি নৌযান। জাহাজগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছেন সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা এবং তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, বেলজিয়ামের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিকসহ ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ জন নাগরিক।কিন্তু বৃহস্পতিবার গাজার জলসীমায় কাছাকাছি যাওয়ার পরপরই একটি ব্যতীত সবগুলো নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। নৌযান, ক্রু এবং আরোহীদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেতে তাদের ইউরোপে পাঠানো হবে বলে জানায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল এসব উস্কানিদাতা মানবাধিকারকর্মীদের নির্বাসন দ্রুততর করতে চাইছে। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আইনি নির্বাসন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে এবং ইসরায়েলে থাকতেই পছন্দ করছে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিদেশী সরকার এই উস্কানিদাতাদের ফিরিয়ে আনার জন্য ফ্লাইট গ্রহণে অনীহা দেখিয়েছে, তবুও এই প্রচারণার স্টান্টে অংশগ্রহণকারীদের যত দ্রুত সম্ভব বহিষ্কার করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় শক্তি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। যারমধ্যে রয়েছে মুম্বাই, রাইগাদ এবং রত্নগিরি। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এ সতর্কতা জারি করে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো শনিবার (৪ অক্টোবর) জানিয়েছে, আরব সাগরের ওপর ঘূর্ণিঝড় শক্তির তীব্রতা বাড়ার পর রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে মুম্বাই, রাইগাদ এবং রত্নগিরি। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এ সতর্কতা জারি করা হয়।দেশটির আবহাওয়া বিভাগ সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি। ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাটের দরকা উপকূল থেকে ৪২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এবং ১৮ কিলোমিটার গতিতে এটি পশ্চিমদিকে সরছে। আগামী ৬ অক্টোবর এটি পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে পুনরায় বাক নিয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।আবহাওয়া বিভাগ আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থেকে অতি উত্তাল থাকতে পারে। এ কারণে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালাতে পারে। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্র, পূর্ব বিধর্ব এবং উত্তর কোনকানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে করে সেখানকার নিম্নাঞ্চলগুলো বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হতে পারে।আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, আগামী ৬ অক্টোবরের পর ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে গেলেও এটির প্রভাবে সৃষ্ট বাতাস ও বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সেখানকার মানুষকে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর সবশেষ জাহাজটিও আটক করেছে ইসরাইলি কমান্ডোরা। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে লাইভস্ট্রিমে দেখা যায়, ইসরায়েলি কমান্ডোরা শক্তি প্রয়োগ করে পোল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজটিতে উঠে পড়েছে। খবর আল জাজিরার।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ফ্লোটিলার একমাত্র জাহাজ দ্য ম্যারিনেটকেও শুক্রবার সকালে ফিলিস্তিনি উপকূলের কাছে ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে।এছাড়া লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলি সেনারা জোরপূর্বক জাহাজটিতে প্রবেশ করছে।ছয়জন নাবিক নিয়ে যাত্রা করা পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেট ছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র শেষ কার্যকর জাহাজ। এর আগে বহরের ৪৩টি জাহাজ আটক করে দখলদার বাহিনী।ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরাইল।তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরাইলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ।গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টি বেশি নৌযান রয়েছে।এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরাইল। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ শত শত কর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে সেটিকে প্রতিহত করা হবে জানিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার (জিএসএফ) একটি নৌকা ছাড়া বাকি সব নৌকা আটক করা হয়েছে এবং যাত্রীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে আসা হচ্ছে।ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসির অনুমান অনুযায়ী, আটক হওয়া লোকজনের সংখ্যা প্রায় ৪৪৩। নৌযান দখলের সময় অনেকের ওপর জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।যদিও দখলদার ইসরায়েল জানিয়েছে, আটককৃত সবাই নিরাপদে আছেন এবং কারও কোনো সমস্যা হয়নি।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়, নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে যাত্রীদের আটক করার পর কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হয়নি। আটক কর্মীদের আশোদ বন্দরে আনা হচ্ছে এবং দ্রুতই তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।বৃহস্পতিবার বিকেলে আরও এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ‘উস্কানি’ শেষ হয়েছে। হামাস-সুমুদের কোনো উস্কানিমূলক নৌকা সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেনি বা ‘বৈধ নৌ অবরোধ’ ভাঙার প্রচেষ্টা সফল হয়নি।মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সব যাত্রীকে নিরাপদে ইসরায়েলে আনা হচ্ছে এবং সেখান থেকে তাদের ইউরোপে পাঠানো হবে। তবে একটি জাহাজ, যেটিতে যান্ত্রিক সমস্যা থাকতে পারে, তা গাজা থেকে কিছুটা দূরে সমুদ্রে অবস্থান করছে। যদি সেটি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে, তবে সেটিকেও প্রতিহত করা হবে।সূত্র: বিবিসিভোরের আকাশ/মো.আ.