ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ-তুরস্ক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিন্চি। তিনি দুই দিনের সফরে সোমবার (৬ অক্টোবর) ঢাকায় আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। পাঁচ বছর পর এই উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সফরকালে তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এছাড়াও তিনি ঢাকায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গেও পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে জানা গেছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলামকে বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এ ঘটনায় জাজিরা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথুন ঢালী জাজিরা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি গোপন বৈঠক করেন।খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে বৈঠকে উপস্থিতরা কৌশলে পালিয়ে যান। পরে গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার ২ নম্বর আসামি মিথুন ঢালী শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিদেশি নম্বর থেকে ফোন করে ওসি মাইনুল ইসলামকে ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকি দেন।ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, মিথুন ঢালী নিষিদ্ধ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন। এরপর বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি এবং তাদের পরামর্শে জিডি করেছি।তিনি আরও জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে এবং হুমকির উৎস শনাক্তে প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। ঘটনার পর জাজিরা থানা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা রোধে কঠোর নজরদারি চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ-তুরস্ক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিন্চি। তিনি দুই দিনের সফরে সোমবার (৬ অক্টোবর) ঢাকায় আসছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। পাঁচ বছর পর এই উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সফরকালে তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।এছাড়াও তিনি ঢাকায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গেও পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জার্মান ঐক্য দিবস উপলক্ষে ফেডারেল রিপাবলিক জার্মানির সরকার ও জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।চিঠিতে লেখা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষ থেকে জার্মান ঐক্য দিবসের এই আনন্দময় উপলক্ষে আমি আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে ফেডারেল রিপাবলিক জার্মানির সরকার ও বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।এই ঐতিহাসিক দিনটি শুধু একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে জার্মানির ঐক্যকেই চিহ্নিত করে না, বরং এটি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের মতো সার্বজনীন মূল্যবোধের এক শক্তিশালী স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়েছে।চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ফেডারেল রিপাবলিক জার্মানির সঙ্গে তার সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব থাকে। যা গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারে গভীরভাবে নিহিত রয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত এই স্থায়ী সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও সুসংহত হবে। উভয় দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে। এই সুযোগে, আমি আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। জার্মানির জনগণের জন্য স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির শুভকামনা জানাচ্ছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গত সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৬৮২ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৬৩ জন ও শিশু ৪৭ জন রয়েছেন।শনিবার (৪ অক্টোবর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এই প্রাণহানির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেপ্টেম্বরে ১৫১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪.২৯ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ছিল ৩৩.৮৫ শতাংশ।এ ছাড়া, দুর্ঘটনায় ১১২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন যা মোট নিহতের ২৬.৮৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন ১৩.৪২ শতাংশ।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন ব্যবসায়ী, ৯ জন বিক্রয় প্রতিনিধি, ৭ জন শিক্ষক, ৬ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী-ইউপি সদস্য এবং ৩ জন সাংবাদিক ছিলেন।দুর্ঘটনাগুলোর ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩৮.৩৪ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ২৬.৬৮ শতাংশ পথচারীকে ধাক্কা বা চাপা দিয়ে এবং ২০.৬২ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে।মোট দুর্ঘটনার ৩৬.০৯ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে। ৩১.১৬ শতাংশ ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে।বিভাগ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা। এ বিভাগে ১২৮টি ঘটেছে, যেখানে নিহত হয়েছেন ১২৪ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগে ১৮.৮৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে বরিশাল বিভাগে ১৪ জন নিহত।সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি দেশে ১৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত এবং ৬ জন নিখোঁজ হয়েছেন। পাশাপাশি, ২৯টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হওয়ার তথ্যও দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার ১১টি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে– ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, খারাপ সড়ক, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা অনির্দিষ্ট থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন অমান্য, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, চালকদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও বেতন, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, মহাসড়কে সার্ভিস রোড তৈরি, রোড ডিভাইডার নির্মাণ, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ, রেল ও নৌপথ উন্নয়ন, টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন এবং ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করার সুপারিশ জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।ভোরের আকাশ/তা.কা