ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫ ০৫:৫৫ পিএম
সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেন চিকিৎসকরা
সিগারেট সস্তা থাকলে তরুণেরা সহজেই ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে সিগারেট সস্তা ও সহজলভ্য। এ কারণেই তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে দিন দিন বাড়ছে। এমন অভিমত ব্যক্ত করে দেশের তরুণ চিকিৎসকরা বলেন সিগারেটকে সবার নাগালের বাইরে নিতে হবে। সিগারেটের দাম বাড়ানো ছাড়া এটা সম্ভব নয়।
শনিবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রাখেন তরুণ চিকিৎসকরা।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে সিগারেটের দামের চারটি ক্যাটাগরি রয়েছে। এর নিম্ন ও মধ্যম ক্যাটাগরির দামের তেমন ফারাক নেই।
চিকিৎসকরা নিম্ন ও মধ্যম ক্যাটাগরিকে এক করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের দাম কমপক্ষে ৯০ টাকা করার সুপারিশ করেন। পাশাপাশি উচ্চ ক্যাটাগরির দাম ১৪০ টাকা অপরিবর্তিত এবং প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির দাম ১৯০ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল জানান, বর্তমানে তামাক থেকে যত রাজস্ব আসে, কার্যকর কর নীতি চালু করলে রাজস্ব আগের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি আসতে পারে।
প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের ফারজানা রহমান মুন সিগারেটের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাজস্বেও প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ট্যাক্সের কাঠামো ঠিক করে দাম বাড়ালে ২৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে ফিরে আসতে পারেন। শুধু তাই নয় প্রায় ১৭ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু ঠেকানো সম্ভব।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত অসংক্রামক রোগে মারা যাচ্ছেন ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ । সিগারেটের দাম নাগালের বাইরে নিলে এই মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব।
চিকিৎসকরা সিগারেটের খুচরা মূল্যের ওপর ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরামর্শক মো. নাইমুল আজম খান, সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার, প্রজ্ঞার হেড অব প্রোগ্রামস মো. হাসান শাহরিয়ার এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রাশেদ রাব্বি।
ভোরের আকাশ/আমর