অভিযোগ নিয়ে দুদকে হাসনাত-সারজিস
অতি গোপনীয় অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎকার করেছেন এনসিপির উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। বুধবার (০৯ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে দুদক থেকে বের হয়ে তারা এ কথা বলেন।
কী ধরনের অভিযোগ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেরি কনফিডেনসিয়াল (অতি গোপনীয়)।’ কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ– এ প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দিয়ে হাসনাত বলেন, ‘এটিও ভেরি কনফিডেনসিয়াল। এখন কনফিডেনসিয়াল বিষয় বলে দিলে তো আর কনফিডেনসিয়াল থাকলো না। তাছাড়া অপরাধীরা তখন সতর্ক হয়ে যাবে।
এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে দুদককে ব্যবহার করে অনেকে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। অনেক সাধারণ মানুষকে আবার বিনা অপরাধে হয়রানি করা হয়েছে। এই সময়ে এসেও এখন আমরা সেটি প্রত্যাশা করি না। আমাদের কিছু অভিযোগ ছিল সেটি আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। সেটি জানাতেই আমরা এখানে এসেছি। এর বেশিকিছু এখন বলছি না।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী দলের সদস্য সংখ্যা নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কর্তৃক প্রদত্ত বিবৃতিকে ‘ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বার্তায় তিনি এই বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরেন।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বর্তমান প্রতিনিধিদল অতীতের হাসিনা আমলের তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে ছোট এবং অনেক বেশি মনোযোগী, কর্মঠ ও ফলাফলমুখী।শফিকুল আলম বলেন, টিআইবি দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছতার পক্ষে কাজ করছে এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক সমাজ সংগঠন। তবে যাচাই করা তথ্যের পরিবর্তে গুজব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভুয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে জনসমক্ষে বিবৃতি দেওয়া হতাশাজনক।প্রেস সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের প্রতিনিধিদলে সদস্য সংখ্যা ৬২, যা টিআইবির দাবি করা ১০০-এর বেশি নয়। গত বছর প্রতিনিধিদলে সদস্য ছিল ৫৭ জন। তবে এতে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে ভ্রমণ করা ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও তিনি পরিষ্কার করেন।শফিকুল আলম বলেন, এবারের সফরসঙ্গীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তা কর্মকর্তা, যাঁরা প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পক্ষ থেকে আসা প্রকাশ্য হুমকির কারণে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অনেক কর্মকর্তা প্রতিদিন টানা ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন।প্রেস সচিব আরও বলেন, গত পাঁচ দিনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল অন্তত এক ডজন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে, যার মধ্যে ছয়টির বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছিল।শফিকুল আলম বলেন, প্রতিনিধিদলের উদ্দেশ্য হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মতো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আসরে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ তুলে ধরা, যেখানে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।তিনি উল্লেখ করেন, এবারের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, এমন সময়ে যখন বিভিন্ন মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।শফিকুল আলম জানান, সফরসঙ্গী তালিকায় এমন ব্যক্তিরাও আছেন, যাঁরা ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা পৃথকভাবে সফর করছেন যারা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সরাসরি অংশ নন। তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময়ে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশের তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও এই সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তাদের সহায়তা করার জন্য কয়েকজন কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি একটি স্পষ্ট এবং জোরালো বার্তা দেয় তা হলো: বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’, উল্লেখ করা হয় বার্তায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। নিউইয়র্কের হোটেল স্যুইটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি প্রভাবশালী নেতা ও কূটনীতিক। সাক্ষাৎকালে তারা সমর্থন জানান।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর), নিউইয়র্কের হোটেল স্যুইটে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে নেতারা বাংলাদেশকে এই গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করতে দক্ষতা ও সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন লাটভিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ভায়রা ভেই-ফ্রেইবারগা। তিনি বর্তমানে নিজামি গাঞ্জভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের (NGIC) সহ-সভাপতি। উপস্থিত ছিলেন, স্লোভেনিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোর, সার্বিয়ার বরিস তাদি, লাটভিয়ার ইগিলস লেভিটস, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এমেরিটাস ও বেলজিয়ামের সাবেক প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল, গ্রিসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানড্রেউ, বুলগেরিয়ার রোজেন প্লেভনেলিভ ও পেটার স্টোয়ানভ, ক্রোয়েশিয়ার আইভো জোসিপোভিচ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ম্লাডেন ইভানিচ , মরিশাসের আমিনা গুরিব-ফাকিম।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কমনওয়েলথের প্রাক্তন মহাসচিব, জর্জিয়ার প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চারজন প্রাক্তন সভাপতি, বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমাইল সেরাগেলদিন (NGIC সহ-সভাপতি), কেরি কেনেডি, জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, কেনেডি হিউম্যান রাইটস, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির প্রতিনিধিরা।বিশ্বনেতারা ড. ইউনূসের নেতৃত্ব, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এক নেতা বলেন, আমরা আপনাদের ও বাংলাদেশের মানুষকে সমর্থন করতে এসেছি। আমরা পুরোপুরি আপনার পেছনে আছি।আরেক নেতা বলেন, আমরা প্রস্তুত আপনার যেকোনো পরামর্শ বা প্রয়োজন হলে জানাবেন। সামনে অনেক কাজ বাকি।তাঁরা দুর্নীতি, শোষণ ও স্বৈরতন্ত্রের ১৬ বছরের দুঃশাসন শেষে বাংলাদেশের সামনে থাকা গুরুতর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।কেরি কেনেডি, যিনি সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন, দেশের মানবাধিকার অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, আপনার নেতৃত্বে মানবাধিকার অগ্রগতি অসাধারণ।জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির নির্বাহী পরিচালক মেলান ভারভার ঘোষণা করেন, শিগগিরই ইনস্টিটিউট জুলাই বিপ্লবের আনুষ্ঠানিক সমর্থন ঘোষণা করবে।NGIC সহ-সভাপতি ইসমাইল সেরাগেলদিন বলেন, যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা প্রস্তুত। আপনার পাশে আছি।ড. ইউনূস বিশ্বনেতাদের অপ্রত্যাশিত সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, এটা পুরোপুরি অভাবনীয়। আপনাদের এমনভাবে একত্রিত হতে দেখে আমি অভিভূত। এটি আমাদের জন্য বিশাল অনুপ্রেরণা।বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে তিনি একটি ১৫ বছরব্যাপী ভূমিকম্পের সাথে তুলনা করে বলেন, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৯।তিনি জানান, মানুষ অলৌকিক কিছু প্রত্যাশা করছে। তবে আমাদের তরুণদের স্বপ্নও পূরণ করতে হবে তারা চায় নতুন বাংলাদেশ।ড. ইউনূস উপস্থিত নেতাদের জানান, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পথনির্দেশনা চাই। আপনাদের পরামর্শ, সমর্থন এবং নৈতিক শক্তি আমাদের জন্য অমূল্য হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) স্বাক্ষরে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে দুই দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, এই উদ্যোগে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন মাত্রা যোগ হবে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠকে ভুটানি প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন।তোবগে বলেন, ভুটানের ‘গেলেপু মাইন্ডফুলনেস সিটি (GMC)’ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে কুড়িগ্রামে ভুটানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে উভয় দেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।অধ্যাপক ইউনূস ভুটানের এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভুটান উন্নত যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।’ তিনি উভয় দেশকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনাগুলো অনুসন্ধান করার আহ্বান জানান।ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তোবগে বৈঠকে বলেন, তার সরকার ধর্মীয় পর্যটন প্রসারে কাজ করছে এবং এ খাতে বাংলাদেশি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ভুটান সফরকে উৎসাহিত করা হবে, যা দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংযোগ আরও দৃঢ় করবে।এছাড়া তিনি জানান, ভুটান তার জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে বাংলাদেশের জন্য কাজে লাগাতে চায়। একই সঙ্গে ভুটানের ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তার সরকার। তিনি ফাইবার অপটিক সংযোগ স্থাপনেও বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।দুই নেতা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ আয়োজিত পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তাঁর দেশ অংশ নেবে এবং এই সংকটে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে মত প্রকাশ করবে।তোবগে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন সঠিক নেতৃত্বে রয়েছে।’ তিনি তাকে ব্যক্তিগতভাবে ‘আদর্শ’ ও ‘মাই প্রফেসর’ বলে অভিহিত করে শ্রদ্ধা জানান।ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি থিম্পুতে উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশের নতুন চ্যান্সারি ভবনের নকশারও প্রশংসা করেন, যা ‘হিমালয়ের পাদদেশে বঙ্গোপসাগর’ থিমে নির্মিত হয়েছে।বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তোবগে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে জানান, তিনি সম্ভবত আগামী ফেব্রুয়ারিতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই পবিত্র হজ করতে সৌদি আরব যেতে হবে। অনাবাসী হিসেবে তারা যে দেশে বসবাস করছেন, সেখান থেকে তাদের হজে যাওয়ার সুযোগ নেই।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারি করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো দেশের হজ কোটায় নিবন্ধিত হজযাত্রী সেই দেশ ব্যতীত অন্যদেশ হতে সৌদি আরব গমন নিষিদ্ধ। এটি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত আবশ্যিক নির্দেশনার ১৪ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।চিঠিতে আরো বলা হয়, কিছু কিছু অ্যাজেন্সি বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন করে বিদেশ থেকে সরাসরি সৌদি আরবে নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে হজ ব্যবস্থাপনার কাজে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।মন্ত্রণালয়ের এই চিঠিতে যেসকল সমস্যার কথা বলা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে নুসুক মাসার সিস্টেমে এরূপ হজযাত্রীর ফ্লাইট তথ্যসহ প্রি-এ্যারাইভাল ডাটা প্রদান করা সম্ভব হয় না। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেয়া এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত নয় ও হজ পালনে সক্ষম মর্মে ই-হজ সিস্টেম জেনারেটেড ফিটনেস সনদ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদেরকে হজের জন্য প্রশিক্ষণও দেয়া যাচ্ছে না।এছাড়া বিমানের সিট খালি থাকাসহ সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের এ চিঠিতে।সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বিদেশে অবস্থানরত নিবন্ধিত হজযাত্রীদেরকে হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ হতে সৌদিতে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হজ অ্যাজেন্সিকে অনুরোধ করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট অ্যাজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে সর্তক বার্তাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বাসসভোরের আকাশ/তা.কা