সংগৃহীত ছবি
বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই পবিত্র হজ করতে সৌদি আরব যেতে হবে। অনাবাসী হিসেবে তারা যে দেশে বসবাস করছেন, সেখান থেকে তাদের হজে যাওয়ার সুযোগ নেই।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারি করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো দেশের হজ কোটায় নিবন্ধিত হজযাত্রী সেই দেশ ব্যতীত অন্যদেশ হতে সৌদি আরব গমন নিষিদ্ধ। এটি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত আবশ্যিক নির্দেশনার ১৪ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, কিছু কিছু অ্যাজেন্সি বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন করে বিদেশ থেকে সরাসরি সৌদি আরবে নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে হজ ব্যবস্থাপনার কাজে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের এই চিঠিতে যেসকল সমস্যার কথা বলা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে নুসুক মাসার সিস্টেমে এরূপ হজযাত্রীর ফ্লাইট তথ্যসহ প্রি-এ্যারাইভাল ডাটা প্রদান করা সম্ভব হয় না। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেয়া এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত নয় ও হজ পালনে সক্ষম মর্মে ই-হজ সিস্টেম জেনারেটেড ফিটনেস সনদ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদেরকে হজের জন্য প্রশিক্ষণও দেয়া যাচ্ছে না।
এছাড়া বিমানের সিট খালি থাকাসহ সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের এ চিঠিতে।
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বিদেশে অবস্থানরত নিবন্ধিত হজযাত্রীদেরকে হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ হতে সৌদিতে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হজ অ্যাজেন্সিকে অনুরোধ করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট অ্যাজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে সর্তক বার্তাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বাসস
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈম (৩৭)। এই নিয়ে এই ঘটনায় তিন ফায়ার ফাইটার সহ মারা গেছেন ৪ জন।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।এর আগে একি ঘটনায় অগ্নি দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের ২ সদস্য ও বাবু নামে এক কর্মচারি নিহত হন।খন্দকার জান্নাতুল নাঈম শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহিন আলমকে মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।গত ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর সাহারা মার্কেটের একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি দগ্ধ হন। তার শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়ে যায়। ওই ঘটনায় মোট চারজন ফায়ার সার্ভিস সদস্য গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যে তিনজন মারা গেছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর মারা যান ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ, ২৪ সেপ্টেম্বর ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা, গতকাল মারা যান দোকান কর্মচারী আল আমিন বাবু ও আজ প্রাণ দিলেন জান্নাতুল নাঈম।খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ১৯৮৮ সালের ২৪ আগস্ট শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৪ সালে মোল্লার টেক উদয়ন বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, পরবর্তীতে ফুলপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন। চাকরি জীবনে মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে স্টেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর হন। চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনের পর সর্বশেষ তিনি টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ছিলেন। এক সন্তানের জনক জান্নাতুল নাঈমের বাবা খন্দকার মোজাম্মেল হক এবং মা দেলোয়ারা বেগম।ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা সব সময় অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার ঝুঁকিপূর্ণ মিশনে অংশ নেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৫১ জন সদস্য দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তাঁদের সর্বশেষ সংযোজন এখন খন্দকার জান্নাতুল নাঈম।ভোরের আকাশ/তা.কা
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) স্বাক্ষরে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে দুই দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, এই উদ্যোগে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন মাত্রা যোগ হবে।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠকে ভুটানি প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন।তোবগে বলেন, ভুটানের ‘গেলেপু মাইন্ডফুলনেস সিটি (GMC)’ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে কুড়িগ্রামে ভুটানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে উভয় দেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।অধ্যাপক ইউনূস ভুটানের এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভুটান উন্নত যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।’ তিনি উভয় দেশকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনাগুলো অনুসন্ধান করার আহ্বান জানান।ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তোবগে বৈঠকে বলেন, তার সরকার ধর্মীয় পর্যটন প্রসারে কাজ করছে এবং এ খাতে বাংলাদেশি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ভুটান সফরকে উৎসাহিত করা হবে, যা দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংযোগ আরও দৃঢ় করবে।এছাড়া তিনি জানান, ভুটান তার জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে বাংলাদেশের জন্য কাজে লাগাতে চায়। একই সঙ্গে ভুটানের ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তার সরকার। তিনি ফাইবার অপটিক সংযোগ স্থাপনেও বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।দুই নেতা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ আয়োজিত পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তাঁর দেশ অংশ নেবে এবং এই সংকটে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে মত প্রকাশ করবে।তোবগে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন সঠিক নেতৃত্বে রয়েছে।’ তিনি তাকে ব্যক্তিগতভাবে ‘আদর্শ’ ও ‘মাই প্রফেসর’ বলে অভিহিত করে শ্রদ্ধা জানান।ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি থিম্পুতে উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশের নতুন চ্যান্সারি ভবনের নকশারও প্রশংসা করেন, যা ‘হিমালয়ের পাদদেশে বঙ্গোপসাগর’ থিমে নির্মিত হয়েছে।বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তোবগে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে জানান, তিনি সম্ভবত আগামী ফেব্রুয়ারিতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই পবিত্র হজ করতে সৌদি আরব যেতে হবে। অনাবাসী হিসেবে তারা যে দেশে বসবাস করছেন, সেখান থেকে তাদের হজে যাওয়ার সুযোগ নেই।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারি করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো দেশের হজ কোটায় নিবন্ধিত হজযাত্রী সেই দেশ ব্যতীত অন্যদেশ হতে সৌদি আরব গমন নিষিদ্ধ। এটি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত আবশ্যিক নির্দেশনার ১৪ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।চিঠিতে আরো বলা হয়, কিছু কিছু অ্যাজেন্সি বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন করে বিদেশ থেকে সরাসরি সৌদি আরবে নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে হজ ব্যবস্থাপনার কাজে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।মন্ত্রণালয়ের এই চিঠিতে যেসকল সমস্যার কথা বলা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে নুসুক মাসার সিস্টেমে এরূপ হজযাত্রীর ফ্লাইট তথ্যসহ প্রি-এ্যারাইভাল ডাটা প্রদান করা সম্ভব হয় না। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেয়া এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত নয় ও হজ পালনে সক্ষম মর্মে ই-হজ সিস্টেম জেনারেটেড ফিটনেস সনদ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদেরকে হজের জন্য প্রশিক্ষণও দেয়া যাচ্ছে না।এছাড়া বিমানের সিট খালি থাকাসহ সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের এ চিঠিতে।সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বিদেশে অবস্থানরত নিবন্ধিত হজযাত্রীদেরকে হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ হতে সৌদিতে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হজ অ্যাজেন্সিকে অনুরোধ করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট অ্যাজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে সর্তক বার্তাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বাসসভোরের আকাশ/তা.কা
দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এবং কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে কৃষকদের কাছে সারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এজন্য সারের চাহিদা ও সরবরাহের ক্ষেত্রে সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেবে সরকার। কৃষকদের চাহিদামাফিক সারের প্রাপ্রতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষিকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও লাভজনক করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া সারের মূল্য নিয়ে যাতে কেউ কোন কারসাজি করতে না পারে সেজন্য সরকারি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। অধ্যাপক ড. মুহাম্দ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার কাজ অনেকাংশে সম্পন্ন হয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণলয়সহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে। আর শিগগির সার নিয়ে একটি নীতিমালা অনুমোদনও দিচ্ছে সরকার।কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার কৃষিকে আরও টেকসই ও রপ্তানিমুখী করতে চায়। এজন্য নিরাপদ পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন, কৃষি-প্রযুক্তি উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধি করার বিষয়কে অত্যন্ত প্রাধান্য দিয়েছে। এজন্য উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সারের সরবরাহ ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালযের উপদেষ্টা অব. লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে সার নিয়ে সিন্ডিকেট করা চলবে না। আমি যতদিন আছি সারের দাম বাড়বে না।সার সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের রেখে যাওয়া সারের বকেয়া পরিশোধ করে চাহিদামত সার আমদানি করে কৃষকদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। এজন্য দেশে সারের কোন ঘাটতি গত এক বছরে হয়নি। আগামী মৌসুমেও যাতে ঘাটতি না হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, বৈশ্বিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন থেকে দেশে সার আমদানি করা হবে, যাতে সার নিয়ে কোনও কারসাজি কেউ না করতে পারে।কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে সার নিয়ে একটি নীতিমালা করা হয়েছে। যা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিগগির জাতীয় কমিটিতে যাবে। জাতীয় কমিটির প্রধান শিল্প উপদেষ্টা। তিনি বাইরে আছেন, আগামী সপ্তাহে আমরা মিটিং করে অনুমোদন দিয়ে দেবো।নীতিমালায় সারের ডিলারের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারের দাম বাড়ানো হয়নি, তবে সার পাচার হয়। এজন্য সারের পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রথম লটে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টন সার আমদানিতে কৃষি মন্ত্রণালয় সাশ্রয় করেছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার ডলার। ওই সময়ের বিদ্যমান বিনিময় হারে টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২৩৩ কোটি ৬১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের আমদানিতব্য সারের প্রস্তাবিত দেশভিত্তিক দর এর সঙ্গে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ও কার্যাদেশ প্রদত্ত দর এর মধ্যে উভয় দরের পার্থক্য যাচাই করে এই পার্থক্য নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে সাশ্রয় হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৫ হাজার ডলার। আলাদা আলাদা লটে ১০টি প্রতিষ্ঠান এসব সার আমদানি করবে।এর মধ্যে দুটি লটে ৮০ হাজার টন আমদানি করবে বাল্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লি.। এছাড়া নোয়াপাড়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ২০ হাজার টন, মৌনতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ২০ হাজার টন, দেশ ট্রেডিং করপোরেশন ৪০ হাজার টন, মোশারফ এন্ড ব্রাদার্স ৪০ হাজার টন, মেসার্স সুফলা ট্রেডিং কর্পো. ২৫৫ হাজার টন, সাইফুল্লাহ গালফ ৩০ হাজার টন, নোয়াপাড়া ট্রেডিং ৪০ হাজার টন, এনআরকে হোল্ডিং ৪০ হাজার টন।সূত্র জানায়, অন্যদিকে ৯০ হাজার টন এমওপি সার আমদানিতে সাশ্রয় হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এর মধ্যে ৬০ হাজার টন আনবে বাল্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লি.। আর ৩০ হাজার টন আনবে দেশ ট্রেডিং করপোরেশন। এছাড়া ৯০ হাজার টন টিএসপি আমদানিতে সাশ্রয় হয়েছে ৫ লাখ ২৮ হাজার ডলার।এর মধ্যে ৬০ হাজার টন সার আমদানি করবে বাল্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লি. এবং ৩০ হাজার টন আমদানি করবে দেশ ট্রেডিং করপোরেশন। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সর্বনিম্ন দরদাতাদের মধ্যেও গুটিকয়েক কোম্পানি সার আমদানির সুযোগ পাচ্ছে।জানা গেছে, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষিতে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষিকে লাভজনক খাতে রূপান্তর করার বিষয়কে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছে।এদিকে, গত বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গত এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতির বিষয় তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, সরকার কৃষির উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে এবং তার ধারাবহিকতা চলমান থাকবে। দেশে ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেলবীজ ও শাক-সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলমূল উৎপাদনেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।গত বোরো মৌসুমে দেশে ১৫ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে, যা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। সভায় জানানো হয়, বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মোকাবিলা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের কৃষি জমি সংরক্ষণে কঠোর বিধান রেখে ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ণেরও কাজ চলছে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার বাজার মনিটরিং ও বিভিন্ন নীতি সহায়তা প্রদান করেছে এবং সারের পাশাপাশি কৃষিঋণ বিতরণ, সেচ ও সার সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।সভায় বলা হয়, গত এক বছরে ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও চারা এবং অন্যান্য সহায়তা বাবদ ৮৯৩ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।সভায় আরো জানানো হয়, সারের বকেয়া ২০,৬৯১ (বিশ হাজার ছয়শত একানব্বই) কোটি টাকাসহ মোট ২৭,৬৮৪.৯৭ (সাতাশ হাজার ছয়শত চুরাশি দশমিক সাতানব্বই) কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া রাশিয়া থেকে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মে. টন সার প্রাপ্তির কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়েছে এবং পাটকলের অব্যবহৃত গুদামগুলোকে সার মজুদের জন্য ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ