ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:২৮ এএম
সংগৃহীত ছবি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এবং কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইসি শাখা জানায়, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই দুই প্রার্থী নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে এমন আবেদন জানান। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত আবেদন জমা দেন কাজী রেহা কবির সিগমা।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমি কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার প্রত্যয় জানিয়ে নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। গণসংযোগের কাজে অনেক কর্মী/সমর্থক তৎপর হয়েছে। কিন্তু, আমার আইনানুগ গণসংযোগের কাজে ত্রাস সৃষ্টি করে আমার কাজ দুরূহ করার কল্পে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ ন্যক্কার জনকভাবে তৎপর হয়েছে।
তিনি সিইসিকে জানান, ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টায় তার এক নিরপরাধ কর্মীকে গ্রেফতার করে ভুয়া মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে। আমার কর্মীদের আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনি কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হয়েছে।
আমার কর্মী- মো. কিয়ামত আলী (৫০) একজন নিরীহ জনপ্রিয় লোক। তার নামে কোনো মামলা বা অভিযোগ ছিল না। তাকে ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বরে করা একটি মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মামলায় আমার কর্মী মো. কিয়ামত আলী এজাহারভুক্ত আসামি নয়। কিয়ামত আলীর বাড়ি অষ্টগ্রাম থানা হতে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটা পথ দূরত্বে হলেও গত ১ বছরে কখনো পুলিশ কিয়ামতের খোঁজ করে নাই। কিয়ামতের সাথে নিয়মিত দেখা হলেও কিছু জিজ্ঞাসা করে নাই। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে শুধুমাত্র আমার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্যই অষ্টগ্রাম থানা পুলিশ কোন বিশেষ স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেছে।
সিগমা অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নাতীত ও সুষ্ঠু করার পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সিইসিকে অনুরোধ জানান।
পরে তিনি বলেন, পুলিশ ভীতি সৃষ্টি করছে। আমার কর্মী এবং আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই ইসি ও প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি।
অন্যদিকে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
ভোরের আকাশ/তা.কা