স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, বুধবার (১৮ জুন) রাত ১১টা ১৭ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র উদ্দেশে রওনা হন বিএনপির এই শীর্ষনেতা।
এর আগে, সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় গুলশানের বাসভবন থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন খালেদা জিয়া এবং প্রায় এক ঘণ্টা পর পৌনে ৮টায় পৌঁছান এভারকেয়ার হাসপাতালে।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ৫ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন।শুক্রবার (২৭ জুন) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন, ৮ নয়, ৫ আগস্টকেই নতুন বাংলাদেশ দিবস ঘোষণা করা উচিত।গত বুধবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’; অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।এ ছাড়া গণ-আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহিদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। তথ্য বিবরণীতে প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় এই তিনটি দিবস পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।বিবরণীতে আরও উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’কে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত এবং বাকি দুটি দিবসকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে শুরু হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলন। ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তিনি ছিলেন ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর প্রথম শহিদ।আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মিডিয়া সেল গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে মিডিয়া সেল গঠন করা হয়েছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন এ সেলের অনুমোদন দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।নতুন মিডিয়া সেলের সম্পাদক করা হয়েছে মুশফিক উস সালেহীনকে এবং সহ-সম্পাদক করা হয়েছে জয়নাল আবেদীন শিশিরকে।এ ছাড়া সেলের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মঈনুল ইসলাম তুহিন, মীর আরশাদুল হক, আসাদুল্লাহ আল গালিব, দিলশানা পারুল, খান মুহাম্মদ মুরসালীন, মো. মাহাবুব আলম, তানহা শান্তা, তাওহিদ তানজিম, তৌহিদ হোসেন মজুমদার, মীর হাবীব আল মানজুর ও ইফতেখারুল ইসলাম।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে আলাপ-আলোচনার চেয়ে খাওয়া-দাওয়া বেশি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, চূড়ান্তভাবে আমরা একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের বীজ বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আমরা জানতাম ফ্যাসিবাদের পতন হবে। কিন্তু কবে, কখন ও কোন পদ্ধতিতে হবে—সেটা আমাদের জানা ছিল না।সংস্কার প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি সহযোগিতা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, দশ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না—এ প্রস্তাবে বিএনপি একমত হয়েছে। এখানেই ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়া হলো। এরপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে সেটি হবে গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।সালাহউদ্দিন বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি। গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে মালিকের চাকরি না করে বিবেকের চাকরি করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ভোরের আকাশ/হ.র
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে উভয়পক্ষের এমপিরা স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন—এমন প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনে বিএনপি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক ঐক্যের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, “আমরা যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি, তাতে সব দল একমত হয়েছে। আমরা আরেকটি প্রস্তাব দিয়েছি—রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে উভয়পক্ষের এমপিরা স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন। এটা হবে একটি বিপ্লব। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছি, এটাও বড় ধরনের অর্জন। আমরা যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগকে আইনগত ও সাংবিধানিকভাবে সীমাবদ্ধ করি, তাহলে নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হয়ে পড়বে এবং রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে।”সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখতে হবে। এজন্য আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। এই ব্যবস্থায় একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করলে স্বৈরাচারের উৎপত্তি রোধ করা সম্ভব।”তিনি বলেন, “নির্বাহী বিভাগকে খর্ব করার মাধ্যমে নয়, বরং একে তার নিজস্ব দায়িত্ব পালনে সক্ষম করতে হবে। বিচার বিভাগ ও আইনসভাকেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।”সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে, যাতে তারা নিজ নিজ এখতিয়ার অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। তখন আর এই দেশে স্বৈরাচারের পুনঃউত্থান ঘটবে না।”সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা কেউ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র, কেউ অকল্যাণমূলক রাষ্ট্র চান—এমন যেন না হয়। আমাদের সবাইকে একটি সাধারণ আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তা হলো জনগণের মুক্তি, বৈষম্যহীন, সাম্যভিত্তিক ও মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন সমাজব্যবস্থা গঠন। শুধু ভাষণে নয়, বাস্তব কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “আমরা সংস্কার নিয়ে অনেক কথা বলছি, কিন্তু কেউ হতাশা প্রকাশ করছেন না। কারণ, আমরা আশাবাদী মানুষ। আলোচনা চলছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এক জায়গায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব। আমরা বলেছি—বাংলাদেশে কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রিত্ব করতে পারবে না। এভাবেই স্বৈরাচারকে রুখে দেওয়া সম্ভব।”আলোচনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য এখনই দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনকে দাপটমুক্ত করতে হলে ধর্মের অপব্যবহার, প্রশাসনের দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে।”তিনি জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্দেশে বলেন, “তাদের উদ্দেশ্য কী, সেটা স্পষ্ট নয়। গত ১৬ বছর দেশের জনগণ ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করেছে। কেউ স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে গেলে এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে। এসব খেলা বন্ধ করতে হবে। দড়ি নিয়ে বেশি টানাটানি করবেন না, কারণ দড়ি ছিঁড়ে যেতে পারে।”আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।ভোরের আকাশ/হ.র