ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৩৯ এএম
কিয়ামতের ভয়াবহতায় যুবক হবে বৃদ্ধ
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে কিয়ামতের বিভীষিকার চিত্র সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। কিয়ামত শুরু হলে মানুষের ওপর কী ভয়ংকর প্রভাব পড়বে—তা নিয়ে বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সতর্ক করেছেন।
কোরআনের সুরা হজে আল্লাহ বলেন, “হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় কিয়ামতের প্রকম্পন ভয়াবহ ব্যাপার। সেদিন প্রত্যেক দুগ্ধদানকারী মা তার সন্তানকে ভুলে যাবে, প্রত্যেক গর্ভবতী নারী গর্ভপাত করবে, আর মানুষকে মাতাল সদৃশ মনে হবে। অথচ তারা মাতাল নয়; আল্লাহর শাস্তিই ভয়ংকর।” (সুরা হজ, আয়াত : ১-২)
হাদিসে বর্ণিত আছে, সফরকালে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই আয়াত উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করেন। সহযাত্রী সাহাবিরা তার কণ্ঠ শুনে সমবেত হলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, “তোমরা জানো কি, এ ভূকম্পন কবে হবে?”
সাহাবিরা উত্তর দিলেন—“আল্লাহ ও তার রাসুলই ভালো জানেন।”
রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বলেন, “এটি ঘটবে সেদিন, যখন আল্লাহ তায়ালা আদম (আ.)-কে সম্বোধন করে বলবেন: জাহান্নামের জন্য যাদের নির্ধারণ করা হয়েছে, তাদের আলাদা করো। তখন আদম (আ.) জিজ্ঞেস করবেন: কারা জাহান্নামী? উত্তরে বলা হবে: প্রতি হাজারে নয়শ’ নিরানব্বই জন।”
এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে মানুষের মনে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) জানান, “ভয়ের কারণে তরুণরা বৃদ্ধ হয়ে যাবে, গর্ভবতী নারীর গর্ভপাত হয়ে যাবে।”
সাহাবিরা তখন আতঙ্কিত হয়ে জানতে চান—“ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে মুক্তি কার ভাগ্যে জুটবে?” তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, “তোমরা ভয় পেয়ো না। জাহান্নামে যারা যাবে, তাদের অধিকাংশ হবে ইয়াজুজ-মাজুজ সম্প্রদায় থেকে। তোমাদের মধ্যে একজনের বিপরীতে তাদের এক হাজার থাকবে।”
আরও কিছু বর্ণনায় এসেছে—সেদিন মানুষ দুই দলে বিভক্ত হবে। একদল ইয়াজুজ-মাজুজের সম্প্রদায়, আরেকদল ইবলিস ও তার অনুসারীরা। এ ছাড়া আদম সন্তানের মধ্যে যারা পূর্বেই মারা গেছে, তারাও সেই দিনের বিভীষিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩১৬৯)
ভোরের আকাশ // হ.র