ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৪৩ এএম
বিসিবি নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ: তামিমকে মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ আসিফ মাহমুদের
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আবারও শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনার ঝড়। প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করা কয়েকজনকে নিয়ে হুমকি, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিবেশ।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বিদেশি প্রভাব খাটাতে চাইছেন। তাঁর দাবি, বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মাধ্যমে ভারতীয় বোর্ডের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে বিসিবি নির্বাচন নিয়ে। আসিফ বলেন, “দেশের জন্য লজ্জাজনক হবে এমন কোনো কাজ করা ঠিক নয়। দেশের বিষয় দেশে মীমাংসা হওয়াই উচিত।”
অন্যদিকে, তামিম ইকবালের বক্তব্য নিয়েও মুখ খুলেছেন আসিফ মাহমুদ। সম্প্রতি তামিম বলেন, “মাঠের ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধের আগে বিসিবি নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করতে হবে।” এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা পাল্টা মন্তব্য করে বলেন, “ফিক্সিংয়ের চেষ্টা আসলে তামিম ভাইরাই করেছেন। আমাদের হাতে কল রেকর্ড ও নথি রয়েছে, যেখানে নির্বাচনে অংশ নিলে ৬ মাস পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
তামিম ও তাঁর সহযোগীদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা আরও জানান, “এনএসসি’র নিয়ম অনুযায়ী গত দুই বছর কোনো ক্লাবের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকতে হবে কাউন্সিলর হওয়ার জন্য। ৬১ জনের মধ্যে কয়জন এই শর্ত পূরণ করেছেন, সেটা বড় প্রশ্ন।”
তিনি দাবি করেন, এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সরকার বা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করছে না, বরং সহায়তা করছে। প্রয়োজনে নথিপত্রসহ তামিম ইকবালের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি আলোচনায় বসার চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন আসিফ মাহমুদ।
এর আগে তিন দফায় বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। তাঁর আমলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ থাকলেও এবার কেবল ক্রীড়া সংগঠকদের কাউন্সিলর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
সম্প্রতি দুদকের অনুসন্ধানে ১৫টি ক্লাবের বৈধতা বাতিল হওয়ার পর কাউন্সিলর ইস্যু নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আদালতের রায়ের ভিত্তিতেই ওই ক্লাবগুলো বাতিল হয়েছে। এখানে ক্রিকেট বোর্ড বা সরকারের কোনো দায় নেই।”
আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির নির্বাচন। এখনো এনএসসি কোটায় দুই পরিচালক নির্ধারিত হয়নি। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে একটি পক্ষ প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করার চেষ্টা করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য যেকোনো পক্ষের সঙ্গে বসতে তিনি প্রস্তুত।
ভোরের আকাশ//হ.র