স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ১২:১৫ এএম
ছবি: সংগৃহীত
শারজায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো টাইগাররা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আফগানিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক জাকের আলী। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে রশিদ-নবিদের ইনিংস থামে ১৪৭ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
তবে ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একসময় কঠিন চাপের মুখে পড়েছিল তারা। টপ অর্ডারের বিপর্যয়ে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। কিন্তু মাঝের ওভারে জাকের আলী, শামীম হোসেন এবং শেষ দিকে নুরুল হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে যায়। তবে ১৯.১ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫০ রান তুলে বাংলাদেশ।
এতে ৫ বল হাতে রেখেই জিতল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করেছে জাকের আলি অনিকের দল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম এবং পারভেজ ইমন ফিরে যান ২ রান করে। এরপর জাকের আলি অনিককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান। পরে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে সাইফ বিদায় নিলেও লড়তে থাকেন জাকের।
২৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শামীম-জাকেরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বাংলাদেশ দল। দুইজনই বেশ স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে খেলছিলেন। এরপর ৩৩ রানে শামীম এবং জাকের ৩২ রানে বিদায় নিলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ১০৫ রানে দলের ৫ উইকেটের পতন ঘটে। তবে সোহান আশা বাঁচিয়ে রেখে দলের হাল ধরেন। অন্যপ্রান্তে যদিও নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন ও সাইফউদ্দিনরা দ্রুত ফিরলে আশঙ্কার মেঘ কালো হতে থাকে।
১২৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ হারের মুখে পড়ে। তবে আশা বাঁচিয়ে রাখা সোহান সেই বিপদ কাটিয়েছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শরিফুল। নিশ্চিত করেছেন টানা দ্বিতীয়য়াচে জয়। বিপরীতে আফগানদের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা আফগানদের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে রাখেন শরিফুল-নাসুমরা। শেষ পর্যন্ত রশিদ খানের দল ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে। তাদের পক্ষে ইব্রাহিম জাদরান সর্বোচ্চ ৩৮ এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন নাসুম ও রিশাদ।
ভোরের আকাশ//হ.র