গুগলের নতুন এআই মোড ব্যবহার করবেন যেভাবে
গুগল এখন বিশ্বের ১৮০টি দেশে চালু করেছে তার নতুন এআই মোড, যা আপনার সার্চ অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ, স্মার্ট ও ব্যক্তিগত করবে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও যুক্তরাজ্যে সফল পরীক্ষার পর এটি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।
এআই মোড কী?
গুগলের এআই মোড হল একটি নতুন সার্চ অপশন, যেখানে ব্যবহারকারীরা প্রচলিত সার্চের চেয়ে আরও বিশ্লেষণধর্মী ও বুদ্ধিমান ফলাফল পাবেন। একটি প্রশ্ন করার পর, এআই মোড বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সংক্ষেপে ও বিস্তারিতভাবে উত্তর প্রদান করে, যাতে ব্যবহারকারী সহজেই তুলনা বা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
নতুন সুবিধা
এজেন্টিক অভিজ্ঞতা: গুগলে সরাসরি রেস্টুরেন্ট খোঁজা, রিজার্ভেশন করা বা স্থানীয় সার্ভিস খুঁজে পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতে ইভেন্ট টিকিট বুকিং-ও যুক্ত হবে।
ব্যক্তিগতকৃত ফলাফল: ব্যবহারকারীরা তাদের আগ্রহ অনুযায়ী কাস্টমাইজড সার্চ ফলাফল পাবেন।
উত্তর শেয়ার সুবিধা: পাওয়া উত্তরের লিংক অন্যের সঙ্গে শেয়ার করে তারা একই থ্রেডে নতুন প্রশ্ন করতে পারবেন।
কীভাবে কাজ করে?
গুগলের এআই মোডে Query Fan-out প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারকারীর প্রশ্নকে ছোট ছোট উপপ্রশ্নে ভাগ করে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেরা উত্তর প্রদান করা হয়। এটি টেক্সট, ভয়েস ও ইমেজ সার্চের মাধ্যমে কাজ করে এবং মানুষের মতো কথোপকথনের ধরণ বজায় রাখে।
ভাষা ও ব্যবহার
বর্তমানে এআই মোড শুধুমাত্র ইংরেজিতে উপলব্ধ। ভবিষ্যতে আরও ভাষায় এটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ব্লগার, ডিজিটাল মার্কেটার ও সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি গুগলের কনটেন্ট প্রদর্শন ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার নতুন দিশা দেখায়।
ব্যবহার করার ধাপ
1.গুগল ওয়েবসাইটে যান (সাপোর্টেড দেশে থাকলে)।
2.সার্চ করার পর উপরের দিকে AI Overview বা AI Mode ট্যাব দেখবেন।
3.ট্যাবে ক্লিক করে এআই-ভিত্তিক উত্তর দেখুন।
4.চাইলে follow-up প্রশ্ন করে কথোপকথনের মতো চালিয়ে যেতে পারবেন।
গুগলের নতুন এআই মোড শুধু সময় বাঁচায় না, বরং আরও প্রাসঙ্গিক, বিশ্লেষণধর্মী ও সহজবোধ্য তথ্য সরবরাহ করে। প্রযুক্তিপ্রেমী ও ইন্টারনেট নির্ভর কাজের জন্য এটি দারুণ সহায়ক হতে পারে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
ফেসবুক সম্প্রতি জানিয়েছে, তাদের নতুন আপডেটে মাত্র দুটি শর্ত পূরণ করলেই ব্যবহারকারীরা পেজের কনটেন্ট মনিটাইজেশন সুবিধা পেতে পারবেন।শর্তগুলো হলো:১. ভিডিও ভাইরাল করা:লং বা শর্ট যেকোনো ভিডিও হতে পারে।ভিডিও ভাইরাল হলে পেজের ফলোয়ার ও ওয়াচ টাইম বৃদ্ধি পায়।ভাইরাল ভিডিও থেকে এঙ্গেজমেন্ট বাড়লে মনিটাইজেশন সুবিধা প্রায় নিশ্চিত।২. নিয়মিত সক্রিয় থাকা:প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করতে হবে।নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে ফেসবুক পেজকে ‘অ্যাক্টিভ’ হিসেবে দেখা হয়।সক্রিয় পেজ দ্রুত মনিটাইজেশন সুবিধা পায়।ফেসবুক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যারা মাত্র একটি ভাইরাল ভিডিও করেছেন এবং নিয়মিত ভিডিও আপলোড করছেন, তাদের পেজে মনিটাইজেশন দ্রুত চালু হয়েছে।এই আপডেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই ফেসবুক পেজ থেকে আয়ের সুযোগ পেতে পারবে।ভোরের আকাশ // হ.র
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) জানিয়েছে, সৌর ব্যতিচারের প্রভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সম্প্রচার কার্যক্রম আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সাময়িক বিঘ্নের সম্মুখীন হতে পারে।বিএসসিএলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক মহাজাগতিক ঘটনা এবং বছরে দুবার ঘটে। এই সময় সূর্য, পৃথিবী ও স্যাটেলাইট একই সরলরেখায় অবস্থান করে, ফলে সূর্যের শক্তিশালী বিকিরণ স্যাটেলাইটের সিগন্যালকে প্রভাবিত করতে পারে।সম্ভাব্য বিঘ্নের সময়সূচি অনুযায়ী:২৯ সেপ্টেম্বর: সকাল ৯:৩৫ থেকে ৯:৩৮ (৩ মিনিট)৩০ সেপ্টেম্বর: সকাল ৯:৩২ থেকে ৯:৪১ (৯ মিনিট)১ অক্টোবর: সকাল ৯:৩০ থেকে ৯:৪২ (১২ মিনিট)২-৩ অক্টোবর: সকাল ৯:২৯ থেকে ৯:৪২ (১৩ মিনিট)৪ অক্টোবর: সকাল ৯:২৯ থেকে ৯:৪১ (১২ মিনিট)৫ অক্টোবর: সকাল ৯:২৯ থেকে ৯:৪০ (১১ মিনিট)৬ অক্টোবর: সকাল ৯:৩০ থেকে ৯:৩৮ (৮ মিনিট)বিএসসিএল আশ্বাস দিয়েছে, এই সময়সূচি অনুযায়ী প্রায় অল্প সময়ের জন্য সিগন্যাল বিঘ্ন ঘটলেও অন্যান্য সময় সেবা স্বাভাবিক থাকবে।ভোরের আকাশ // হ.র
পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ। পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। তবে এই দূরত্ব স্থির নয়। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, চাঁদ প্রতিবছর প্রায় ৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার হারে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।এই ঘটনা কোনো আকস্মিক পরিবর্তন নয়। এই দূরে সরে যাওয়ার পেছনে একটি ধীরগতির প্রক্রিয়া রয়েছে, যা কোটি কোটি বছর ধরে চলছে।যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানী স্টিফেন ডিকারবি জানান, জোয়ার-ভাটার শক্তি ও কৌণিক ভরবেগের কারণে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ। সূর্য ও চাঁদের মহাকর্ষীয় টানের কারণে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। চাঁদের আকর্ষণশক্তির কারণে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের দিকে থাকে সেখানে সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠে।বিপরীত দিকেও একই রকম জোয়ার সৃষ্টি হয়। এতে পৃথিবীর দুই পাশে দুটি জোয়ারের স্ফীতি তৈরি হয়। পৃথিবী তার নিজ অক্ষের ওপর প্রতি ২৪ ঘণ্টায় একবার ঘোরে। ফলে এই জোয়ারের স্ফীতি চাঁদের আকর্ষণের চেয়ে সামান্য এগিয়ে থাকে। পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির কারণে এই স্ফীতি চাঁদকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে চাঁদ অতিরিক্ত শক্তির মাধ্যমে তার কক্ষপথকে সামান্য প্রসারিত করছে।জোয়ারের স্ফীতি যখন চাঁদকে টেনে সামনে নিয়ে যায়, তখন চাঁদ পাল্টা টানে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির ওপর বিশেষ ধরনের ব্রেক তৈরি করে। এর ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি ধীরে ধীরে কমে আসছে। এতে দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ২ দশমিক ৩ মিলিসেকেন্ড করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পুরো প্রক্রিয়া পদার্থবিজ্ঞানের কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ নীতির ওপর নির্ভরশীল। এই নীতি অনুসারে, কোনো আবদ্ধ সিস্টেমের মোট কৌণিক ভরবেগ স্থির থাকে। যখন পৃথিবীর ঘূর্ণনগতির কৌণিক ভরবেগ কমে যায়, তখন চাঁদের কক্ষপথের কৌণিক ভরবেগ বেড়ে যায়। আর কক্ষপথের কৌণিক ভরবেগ বাড়লে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায়।বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, চাঁদ যে গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে, তা নিয়ে আপাতত বিপদের কোনো আশঙ্কা নেই। তবে কোটি কোটি বছর পর এর ফলে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে। তখন জোয়ার-ভাটার তীব্রতাও কম হবে। এই বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া কেবল চাঁদ বা পৃথিবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মহাবিশ্বের অন্যান্য গ্রহ ও তাদের উপগ্রহের মধ্যে এমন প্রবণতা দেখা যায়।সূত্র: এনডিটিভিভোরের আকাশ/মো.আ.
টিকটকের মার্কিন শাখার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে ওরাকল, সিলভার লেক ও আন্দ্রেসেন হরোভিৎস। বিষয়টি প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওয়াশিংটন-বেইজিং আলোচনা থেকে টিকটকের জন্য একটি নতুন কাঠামোর খসড়া তৈরি হয়েছে। এই খসড়া অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৮০ শতাংশ শেয়ার পাবেন, আর বাকি ২০ শতাংশ থাকবে চীনা শেয়ারহোল্ডারদের হাতে।এরই মধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইটড্যান্সকে টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রির সময়সীমা ৯০ দিন বাড়িয়ে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিয়েছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির জন্য চুক্তি সম্পন্ন করার সময়সীমা বৃদ্ধি পেয়েছে।সূত্র জানিয়েছে, আলোচনার প্রক্রিয়া ৩০-৪৫ দিনের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা, এবং এই সময়ের মধ্যে টিকটকের ক্লাউড সেবা ওরাকলের মাধ্যমে চালু থাকবে।এ ঘটনায় মার্কিন বিনিয়োগকারীদের নিয়ন্ত্রণে আসার মাধ্যমে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রমে নতুন দিকনির্দেশনা ও নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ // হ.র