সংগৃহীত ছবি
সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ এবার আনছে একেবারে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (AI) ফিচার। যার নাম রাইটিং হেল্প অ্যাসিসট্যান্ট (Writing Help Assistant)। এই টুলের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা চাইলে তাঁদের লেখা মেসেজ আরও সহজ, পেশাদার বা মজাদারভাবে পাঠাতে পারবেন। আর সবচেয়ে বড় বিষয়, পুরো প্রক্রিয়াই হবে গোপনীয় ও সুরক্ষিত।
মেসেজ লেখার সময় বানান ভুল কিংবা গুছিয়ে না লেখার ঝামেলায় হরহামেশাই পড়তে হয়। তাই হোয়াটসঅ্যাপ ফের তাদের ব্যবহারকারীর জন্য নিয়ে এলো নতুন ফিচার। এখন থেকে তারা অ্যাপের মধ্যে ‘মেটা এআই রাইটিং হেল্প’ ফিচারের সুবিধা নিতে পারবেন। এই ফিচার ব্যবহারকারীদের লিখতে সাহায্য করবে।
ফিচারটির মাধ্যমে কেউ চ্যাটে মেসেজ টাইপ করতে শুরু করলেই দেখা যাবে একটি ছোট পেন্সিল আইকন। সেখানে ট্যাপ করলেই মেটা এআই ব্যবহারকারীর লেখাকে গুছিয়ে দিতে তিন থেকে চারটি ভিন্ন স্টাইলের পরামর্শ দেবে। সেই সঙ্গে বেছে নেওয়া যাবে প্রফেশনাল, মজাদার (ফানি), সহায়ক (সাপোর্টিভ) কিংবা শুধু বানান ও ব্যাকরণ সংশোধন (প্রুফরিড)।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, এই ফিচার শুধুমাত্র পরামর্শ দেবে; ব্যবহারকারীর মূল বার্তা সংরক্ষিত থাকবে না, ফলে গোপনীয়তা (প্রাইভেসি) থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদে।
কারা বেশি উপকৃত হবেন?
এই ফিচার বিশেষভাবে শিক্ষার্থী, অফিসকর্মী ও পেশাজীবীদের কাজে আসবে। শিক্ষককে ইমেইল লেখা হোক বা ক্লায়েন্টকে প্রফেশনাল মেসেজ পাঠানো– সবক্ষেত্রেই এটি সময় বাঁচাবে এবং মেসেজগুলোকে আরও অর্থবহ করে তুলবে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
১. প্রথমে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণ আপডেট করুন।
২. যেকোনো চ্যাট খুলে বার্তা টাইপ করা শুরু করুন।
৩. টাইপ করার সময় টেক্সট বক্সে পেন্সিল আইকন দেখতে পাবেন।
৪. সেখানে ট্যাপ করলেই পছন্দ অনুযায়ী পরামর্শ পাবেন– প্রফেশনাল, ফানি, সাপোর্টিভ অথবা প্রুফরিড সংস্করণ।
৫. যেকোনো একটি বেছে নিয়ে মেসেজটি পাঠিয়ে দিন।
হোয়াটসঅ্যাপের এই এআই ফিচার লেখার সহকারী হিসেবে প্রযুক্তির দুনিয়ায় এক নতুন মাত্রা যোগ করল, যা ভবিষ্যতে মেসেজ (বার্তা) লেখার ধরনই বদলে দিতে পারে।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
ফেসবুক সম্প্রতি জানিয়েছে, তাদের নতুন আপডেটে মাত্র দুটি শর্ত পূরণ করলেই ব্যবহারকারীরা পেজের কনটেন্ট মনিটাইজেশন সুবিধা পেতে পারবেন।শর্তগুলো হলো:১. ভিডিও ভাইরাল করা:লং বা শর্ট যেকোনো ভিডিও হতে পারে।ভিডিও ভাইরাল হলে পেজের ফলোয়ার ও ওয়াচ টাইম বৃদ্ধি পায়।ভাইরাল ভিডিও থেকে এঙ্গেজমেন্ট বাড়লে মনিটাইজেশন সুবিধা প্রায় নিশ্চিত।২. নিয়মিত সক্রিয় থাকা:প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করতে হবে।নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে ফেসবুক পেজকে ‘অ্যাক্টিভ’ হিসেবে দেখা হয়।সক্রিয় পেজ দ্রুত মনিটাইজেশন সুবিধা পায়।ফেসবুক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যারা মাত্র একটি ভাইরাল ভিডিও করেছেন এবং নিয়মিত ভিডিও আপলোড করছেন, তাদের পেজে মনিটাইজেশন দ্রুত চালু হয়েছে।এই আপডেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই ফেসবুক পেজ থেকে আয়ের সুযোগ পেতে পারবে।ভোরের আকাশ // হ.র
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) জানিয়েছে, সৌর ব্যতিচারের প্রভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সম্প্রচার কার্যক্রম আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সাময়িক বিঘ্নের সম্মুখীন হতে পারে।বিএসসিএলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক মহাজাগতিক ঘটনা এবং বছরে দুবার ঘটে। এই সময় সূর্য, পৃথিবী ও স্যাটেলাইট একই সরলরেখায় অবস্থান করে, ফলে সূর্যের শক্তিশালী বিকিরণ স্যাটেলাইটের সিগন্যালকে প্রভাবিত করতে পারে।সম্ভাব্য বিঘ্নের সময়সূচি অনুযায়ী:২৯ সেপ্টেম্বর: সকাল ৯:৩৫ থেকে ৯:৩৮ (৩ মিনিট)৩০ সেপ্টেম্বর: সকাল ৯:৩২ থেকে ৯:৪১ (৯ মিনিট)১ অক্টোবর: সকাল ৯:৩০ থেকে ৯:৪২ (১২ মিনিট)২-৩ অক্টোবর: সকাল ৯:২৯ থেকে ৯:৪২ (১৩ মিনিট)৪ অক্টোবর: সকাল ৯:২৯ থেকে ৯:৪১ (১২ মিনিট)৫ অক্টোবর: সকাল ৯:২৯ থেকে ৯:৪০ (১১ মিনিট)৬ অক্টোবর: সকাল ৯:৩০ থেকে ৯:৩৮ (৮ মিনিট)বিএসসিএল আশ্বাস দিয়েছে, এই সময়সূচি অনুযায়ী প্রায় অল্প সময়ের জন্য সিগন্যাল বিঘ্ন ঘটলেও অন্যান্য সময় সেবা স্বাভাবিক থাকবে।ভোরের আকাশ // হ.র
পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ। পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। তবে এই দূরত্ব স্থির নয়। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, চাঁদ প্রতিবছর প্রায় ৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার হারে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।এই ঘটনা কোনো আকস্মিক পরিবর্তন নয়। এই দূরে সরে যাওয়ার পেছনে একটি ধীরগতির প্রক্রিয়া রয়েছে, যা কোটি কোটি বছর ধরে চলছে।যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানী স্টিফেন ডিকারবি জানান, জোয়ার-ভাটার শক্তি ও কৌণিক ভরবেগের কারণে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ। সূর্য ও চাঁদের মহাকর্ষীয় টানের কারণে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। চাঁদের আকর্ষণশক্তির কারণে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের দিকে থাকে সেখানে সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠে।বিপরীত দিকেও একই রকম জোয়ার সৃষ্টি হয়। এতে পৃথিবীর দুই পাশে দুটি জোয়ারের স্ফীতি তৈরি হয়। পৃথিবী তার নিজ অক্ষের ওপর প্রতি ২৪ ঘণ্টায় একবার ঘোরে। ফলে এই জোয়ারের স্ফীতি চাঁদের আকর্ষণের চেয়ে সামান্য এগিয়ে থাকে। পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির কারণে এই স্ফীতি চাঁদকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে চাঁদ অতিরিক্ত শক্তির মাধ্যমে তার কক্ষপথকে সামান্য প্রসারিত করছে।জোয়ারের স্ফীতি যখন চাঁদকে টেনে সামনে নিয়ে যায়, তখন চাঁদ পাল্টা টানে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির ওপর বিশেষ ধরনের ব্রেক তৈরি করে। এর ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি ধীরে ধীরে কমে আসছে। এতে দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ২ দশমিক ৩ মিলিসেকেন্ড করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পুরো প্রক্রিয়া পদার্থবিজ্ঞানের কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ নীতির ওপর নির্ভরশীল। এই নীতি অনুসারে, কোনো আবদ্ধ সিস্টেমের মোট কৌণিক ভরবেগ স্থির থাকে। যখন পৃথিবীর ঘূর্ণনগতির কৌণিক ভরবেগ কমে যায়, তখন চাঁদের কক্ষপথের কৌণিক ভরবেগ বেড়ে যায়। আর কক্ষপথের কৌণিক ভরবেগ বাড়লে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায়।বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, চাঁদ যে গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে, তা নিয়ে আপাতত বিপদের কোনো আশঙ্কা নেই। তবে কোটি কোটি বছর পর এর ফলে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে। তখন জোয়ার-ভাটার তীব্রতাও কম হবে। এই বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া কেবল চাঁদ বা পৃথিবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মহাবিশ্বের অন্যান্য গ্রহ ও তাদের উপগ্রহের মধ্যে এমন প্রবণতা দেখা যায়।সূত্র: এনডিটিভিভোরের আকাশ/মো.আ.
টিকটকের মার্কিন শাখার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে ওরাকল, সিলভার লেক ও আন্দ্রেসেন হরোভিৎস। বিষয়টি প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওয়াশিংটন-বেইজিং আলোচনা থেকে টিকটকের জন্য একটি নতুন কাঠামোর খসড়া তৈরি হয়েছে। এই খসড়া অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৮০ শতাংশ শেয়ার পাবেন, আর বাকি ২০ শতাংশ থাকবে চীনা শেয়ারহোল্ডারদের হাতে।এরই মধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইটড্যান্সকে টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রির সময়সীমা ৯০ দিন বাড়িয়ে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিয়েছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির জন্য চুক্তি সম্পন্ন করার সময়সীমা বৃদ্ধি পেয়েছে।সূত্র জানিয়েছে, আলোচনার প্রক্রিয়া ৩০-৪৫ দিনের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা, এবং এই সময়ের মধ্যে টিকটকের ক্লাউড সেবা ওরাকলের মাধ্যমে চালু থাকবে।এ ঘটনায় মার্কিন বিনিয়োগকারীদের নিয়ন্ত্রণে আসার মাধ্যমে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রমে নতুন দিকনির্দেশনা ও নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ // হ.র