মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়ালো
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি এবং এখনো নিখোঁজ দুই শতাধিক মানুষ। ভূমিকম্পের তিনদিন পরও আটকেপড়া মানুষদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা জোরদার রেখেছে প্রশাসন।
সোমবার (৩১ মার্চ) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা জানায়, শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত ভূমিকম্পে ২,০৫৬ জন নিহত হয়েছেন। ৩,৯০০ জনেরও বেশি আহত।
এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২৭০ জন। সাহায্যকারী গোষ্ঠীগুলো ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটিতে মানবিক সংকট আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এরপর জাতিসংঘ ৮০ লক্ষ ডলার জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।
এদিকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং আহত রোগীদের সামলাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে।মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টা জোরদার করতে ‘যুদ্ধবিরতি হওয়া প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ।
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানবিক সাহায্য যাতে মিয়ানমারে ঢুকতে পারে এবং বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য যুদ্ধবিরতি হওয়া খুবই দরকার। এদিকে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্তে মিয়ানমারের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সরকার। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যত্থানের মাধ্যমে জান্তা সরকারের ক্ষমতা নেয়ার পর জান্তা বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের হটাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেই বিমান হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।
গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের মান্দালয় শহরের কাছে ভয়াবহ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিবেশি থাইল্যান্ডও। এছাড়া বেশ কয়েকটি দেশে কম্পন অনুভূত হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দেশটির করাচি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পর তাকে করাচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক্সপ্রেস নিউজের খবরে বলা হয়েছে, জ্বর এবং সংক্রমণের কথা জানানোর পর তাকে প্রথমে নওয়াবশাহ থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট জারদারির বেশ কয়েকটি মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে এবং চিকিৎসকরা তার অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অসুস্থতার খবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রেসিডেন্ট জারদারির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে তার সাথে যোগাযোগ করেছেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট জারদারির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে বলেন, আল্লাহ আপনাকে পূর্ণ ও দ্রুত আরোগ্য দান করুন। সমগ্র জাতির দোয়া আপনার সাথে রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চীনের জাতীয় তেল কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল কর্পোরেশন (সিএনওওসি) সোমবার জানিয়েছে, তারা পূর্ব-দক্ষিণ চীন সাগরে একটি প্রধান তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। যেখানে মজুদ ১০ কোটি টনেরও বেশি হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, 'হুইঝো ১৯-৬' তেলক্ষেত্রটি দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।সিএনওওসি জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক খনন থেকে দৈনিক ৪১৩ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৬৮ হাজার ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন হয়েছে।রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কম্পানির সিইও ঝোউ সিনহুয়াই তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের ধারাবাহিক এ সাফল্যের প্রশংসা করেছেন।তিনি বলেন, সিএনওওসি পরপর দুই বছর ধরে ১০০ মিলিয়ন টন তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে।মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন বলছে, দক্ষিণ চীন সাগর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক বিরোধের কারণে অপ্রকাশিত, তবে আবিষ্কৃত বেশির ভাগ তেল ও গ্যাসের মজুদ অপ্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এলাকায় রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে চীন। তবে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের মধ্যে এ দাবির বিরোধিতা করেছে।সিএনওওসির প্রধান ভূতাত্ত্বিক জু চাংগুই বলেছেন, আবিষ্কারটি একটি ‘বড় সাফল্য’। মার্কিন সরকারের বিশ্লেষণ অনুসারে, চীন বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক দেশ। গত বছর প্রতিদিন এক কোটি ১১ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। সবশেষ ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২০০ জন। এর ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছে গেছে।মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।এতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৩৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিজ্ঞাপনমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ১৮৩ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৩ জনে পৌঁছেছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১ হাজার ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৭১৯ জন হয়েছে। এই সংখ্যা ৩ হাজার জনেরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা সরকারি হিসেবে এখনো ৪ হাজার ৫২১ জন আহত ও ৪৪১ জন নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক টেলিভিশন ভাষণে মিয়ানমারের সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইং এসব তথ্য জানান।এদিকে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মান্দালয়ের মানবিক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আশ্রয়, খাদ্য এবং পানির জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। গৃহযুদ্ধের কারণে অভাবীদের কাছে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। জরুরি দলগুলো বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ও জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।এর আগে, গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে শোকের ঘোষণা এসেছে।এদিকে, সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়ালো
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি এবং এখনো নিখোঁজ দুই শতাধিক মানুষ। ভূমিকম্পের তিনদিন পরও আটকেপড়া মানুষদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা জোরদার রেখেছে প্রশাসন।
সোমবার (৩১ মার্চ) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা জানায়, শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত ভূমিকম্পে ২,০৫৬ জন নিহত হয়েছেন। ৩,৯০০ জনেরও বেশি আহত।
এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২৭০ জন। সাহায্যকারী গোষ্ঠীগুলো ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটিতে মানবিক সংকট আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এরপর জাতিসংঘ ৮০ লক্ষ ডলার জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।
এদিকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং আহত রোগীদের সামলাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে।মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টা জোরদার করতে ‘যুদ্ধবিরতি হওয়া প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ।
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানবিক সাহায্য যাতে মিয়ানমারে ঢুকতে পারে এবং বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য যুদ্ধবিরতি হওয়া খুবই দরকার। এদিকে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্তে মিয়ানমারের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সরকার। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যত্থানের মাধ্যমে জান্তা সরকারের ক্ষমতা নেয়ার পর জান্তা বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের হটাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেই বিমান হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।
গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের মান্দালয় শহরের কাছে ভয়াবহ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিবেশি থাইল্যান্ডও। এছাড়া বেশ কয়েকটি দেশে কম্পন অনুভূত হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দেশটির করাচি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পর তাকে করাচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক্সপ্রেস নিউজের খবরে বলা হয়েছে, জ্বর এবং সংক্রমণের কথা জানানোর পর তাকে প্রথমে নওয়াবশাহ থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট জারদারির বেশ কয়েকটি মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে এবং চিকিৎসকরা তার অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অসুস্থতার খবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রেসিডেন্ট জারদারির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে তার সাথে যোগাযোগ করেছেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট জারদারির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে বলেন, আল্লাহ আপনাকে পূর্ণ ও দ্রুত আরোগ্য দান করুন। সমগ্র জাতির দোয়া আপনার সাথে রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চীনের জাতীয় তেল কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল কর্পোরেশন (সিএনওওসি) সোমবার জানিয়েছে, তারা পূর্ব-দক্ষিণ চীন সাগরে একটি প্রধান তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। যেখানে মজুদ ১০ কোটি টনেরও বেশি হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, 'হুইঝো ১৯-৬' তেলক্ষেত্রটি দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।সিএনওওসি জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক খনন থেকে দৈনিক ৪১৩ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৬৮ হাজার ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন হয়েছে।রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কম্পানির সিইও ঝোউ সিনহুয়াই তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের ধারাবাহিক এ সাফল্যের প্রশংসা করেছেন।তিনি বলেন, সিএনওওসি পরপর দুই বছর ধরে ১০০ মিলিয়ন টন তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে।মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন বলছে, দক্ষিণ চীন সাগর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক বিরোধের কারণে অপ্রকাশিত, তবে আবিষ্কৃত বেশির ভাগ তেল ও গ্যাসের মজুদ অপ্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এলাকায় রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে চীন। তবে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের মধ্যে এ দাবির বিরোধিতা করেছে।সিএনওওসির প্রধান ভূতাত্ত্বিক জু চাংগুই বলেছেন, আবিষ্কারটি একটি ‘বড় সাফল্য’। মার্কিন সরকারের বিশ্লেষণ অনুসারে, চীন বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক দেশ। গত বছর প্রতিদিন এক কোটি ১১ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। সবশেষ ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২০০ জন। এর ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছে গেছে।মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।এতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৩৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিজ্ঞাপনমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ১৮৩ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৩ জনে পৌঁছেছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১ হাজার ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৭১৯ জন হয়েছে। এই সংখ্যা ৩ হাজার জনেরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা সরকারি হিসেবে এখনো ৪ হাজার ৫২১ জন আহত ও ৪৪১ জন নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক টেলিভিশন ভাষণে মিয়ানমারের সামরিক নেতা মিন অং হ্লাইং এসব তথ্য জানান।এদিকে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মান্দালয়ের মানবিক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে আশ্রয়, খাদ্য এবং পানির জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। গৃহযুদ্ধের কারণে অভাবীদের কাছে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। জরুরি দলগুলো বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ও জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।এর আগে, গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে শোকের ঘোষণা এসেছে।এদিকে, সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন