কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন আমীর খসরুর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কাদের জন্য এ সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এতে লাভবান কারা হচ্ছে? তাহলে আগামী নির্বাচনও কি যারা আছে, তারা প্রভাবিত করে তাদের দিকে নিয়ে যাবে বা তাদের মতো করে নির্বাচন করবে? প্রশ্নগুলো উঠে আসছে।রোববার (৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার সময় সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্নটি তোলেন তিনি।আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। ঐকমত্যের বিষয়টিও একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। ইতোমধ্যে বিচারকার্য শুরু হয়েছে। বিচার নিজের গতিতে চলবে। কোনো সরকার বিচার চালাবে না। এসব সিদ্ধান্ত যখন পরিষ্কার, তখন হঠাৎ করে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন তারও আগে করা সম্ভব। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরেও নির্বাচন করা সম্ভব।তিনি বলেন, অনেক ভেবেচিন্তে সবাই মিলে ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কারণ, এরপর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। রমজান মাসে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করার সুযোগ থাকে না। এরপর আবার পরীক্ষা, আবহাওয়া, কালবৈশাখী মিলিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্ভব হবে না। ফলে এপ্রিলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার পেছনে কী কারণ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এপ্রিলে নির্বাচনের সময়টা একেবারেই অযৌক্তিক এবং এটা কাদের স্বার্থে- সেই প্রশ্নও এসে গেছে। আর এই লোকগুলোর স্বার্থ যদি অক্ষুণ্ন থেকে যায়, তবে আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৮ জুন ২০২৫ ০৫:১৪ পিএম
গণঅভ্যুত্থানে কারো একক কৃতিত্ব নেই: আমীর খসরু
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পেছনে কারো একার কৃতিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল শীর্ষনিউজের নতুনভাবে কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু এ মন্তব্য করেন।আমীর খসরু বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নির্যাতিত সাংবাদিক, বন্ধ হয়ে যাওয়া গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, পঙ্গুত্ববরণকারী, আহত-নিহত ছাত্র-জনতাসহ অনেকের অবদান আছে। এসব অবদানের স্বীকৃতি দিতে হবে, কৃতিত্ব দিতে হবে। তবেই সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশে যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হবে, মিডিয়া ততোদিন স্বাধীন হবে না। অগণতান্ত্রিকভাবে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা মিডিয়াকে চাপে রাখে।শীর্ষনিউজের সম্পাদক একরামুল হকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অতিথিরা কেক কেটে শীর্ষনিউজের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এটি শীর্ষনিউজের চতুর্থবারের মতো কার্যক্রম শুরুর অনুষ্ঠান। এর আগে কয়েকদফায় বন্ধ করে দেওয়া হয় এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। প্রথম দফায় ২০১১ সালে সরকারের রোষানলে পড়ে সম্পাদক গ্রেপ্তার হন। তাকে সে সময় ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। শীর্ষনিউজ ডটকম ও সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজও বন্ধ করে দেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৭ মে ২০২৫ ০৭:৫৯ পিএম
ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব: আমীর খসরু
আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যার জন্য অপেক্ষা করছেন, তা হলো নির্বাচন। একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে যাওয়ার উপায় হলো নির্বাচন। আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন হতে পারে। এর জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত যেতে হবে কেন, তার আগেই হতে পারে। গতকাল শনিবার ঢাকার নিকুঞ্জে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেট ইন বাংলাদেশ ডিসকোর্স : ফিলোসফি অ্যান্ড প্র্যাকটিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।আমীর খসরু বলেন, কোথায় সংকট, আমরা দেশে কোনো সংকট দেখছি না। এগুলো কোনো আলোচনার বিষয় না। আলোচনার বিষয় হল, বাংলাদেশে আমরা যত দ্রুত গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাব এবং গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে পাব।বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক সরকার- সংসদ গঠন হবে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে; যার জন্য গত ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে; সুতরাং, এটাই হচ্ছে মুখ্য বিষয় আলোচনার বিষয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ