ইরানে বড় হামলার ইঙ্গিত, সামরিক ও বাণিজ্যিক অঞ্চল ছাড়তে বলল ইসরায়েল
মধ্যপ্রাচ্যে যখন উত্তেজনা চরমে, ঠিক সেই সময় ইরানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলার সরাসরি ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মাস্টার সার্জেন্ট কামাল পিনহাসি ফার্সি ভাষায় প্রকাশিত এক বার্তায় ইরানিদের উদ্দেশে স্পষ্ট সতর্কতা জারি করেছেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই বার্তায় ইরানের সাধারণ মানুষকে সামরিক ঘাঁটি, পরমাণু স্থাপনা ও বাণিজ্যিক এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কামাল পিনহাসি বলেন, “ইরানীয়দের জন্য হুশিয়ারি। সামরিক ঘাঁটি, পরমাণু কেন্দ্র এবং বাণিজ্যিক এলাকা থেকে দ্রুত সরে যান। আপনার জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”তিনি আরও বলেন, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব এলাকা ত্যাগ করুন এবং ফিরে যাবেন না। এসব স্থানের কাছাকাছি অবস্থান করাও হতে পারে প্রাণঘাতী।”ইসরায়েলের এই বার্তা ইতোমধ্যে ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে এবং ফার্সি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র, বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং কৌশলগত বাণিজ্যিক হাব। এই সরাসরি হুমকিকে যুদ্ধের প্রাক-ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ।এ ধরনের প্রকাশ্য সতর্কবার্তা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করেছে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে কূটনৈতিক উদ্বেগও বাড়িয়ে তুলেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
১৬ জুন ২০২৫ ১২:৫৫ এএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ১২০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় আরও ১২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, আহত হয়েছেন প্রায় ৩৬৩ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রত্যাশী সাধারণ মানুষও। এতে করে চলমান এই বর্বর আগ্রাসনে গাজায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।যদিও ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে নাটকীয় সাফল্য অর্জন করেছে জিএইচএফ। তবে, শুরু থেকেই নতুন এই মানবিক সংস্থা বিতর্কিত ছিল। আর ত্রাণ কার্যক্রম শুরুর পর তো তা একপ্রকার প্রতিষ্ঠিতই। প্রতিদিনই এই সংস্থার ত্রাণ নিতে গিয়ে মৃত্যু হচ্ছে অসহায়-ক্ষুধার্ত গাজাবাসীর।গণহত্যা, হতাশা আর খাদ্যের জন্য মরিয়া মানুষগুলোকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে হত্যা করে এই বিতরণকেন্দ্রগুলো এখন ‘মানব কসাইখানা’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। গত ২৭ মে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রাফাহ ও নেৎজারিম করিডরে গড়ে ওঠা এসব কেন্দ্রে অন্তত ২২০ জন নিহত হয়েছে।ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, নেৎজারিম করিডর এলাকায় তাদের সেনারা ‘সতর্কতামূলক গুলি’ চালিয়েছিল, যেখানেই মূলত অধিকাংশ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে গাজায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। তারা ‘ক্ষুধা’কে হত্যাযজ্ঞের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা জিএইচএফের মাধ্যমে কোনো ত্রাণ সরবরাহ করবে না।জাতিসংঘের মতে, বেসরকারি ঠিকাদার এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত এই প্রক্রিয়া মানবিক মানদণ্ডের পরিপন্থী।জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এই বিতরণব্যবস্থাকে দৃষ্টিভ্রম হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, গাজায় ত্রাণসহায়তা সরবরাহে তাদের মতো অভিজ্ঞ সংস্থাগুলোকে সরিয়ে রেখে জিএইচএফের মতো নতুন একটি সংস্থাকে প্রাধান্য দেওয়া মানেই মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।আন্তর্জাতিক সংকট বিশ্লেষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ক্রিস নিউটন আল জাজিরাকে জানান, ইসরায়েলের এই বিশৃঙ্খল ত্রাণব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে গাজাবাসীকে ক্ষুধার্ত ও অসহায় করে দক্ষিণ দিকে ঠেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হয়েছে।নিউটন বলেন, জিএইচএফ জনপ্রতি দৈনিক ১ হাজার ৭৫০ ক্যালোরি সরবরাহের কথা বলছে, তবে তা জরুরি পরিস্থিতির ন্যূনতম চাহিদার অনেক কম। এই পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা নয়, বরং ত্রাণের প্রক্রিয়াকে একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ জুন ২০২৫ ০৪:১৫ পিএম
গাজায় একই পরিবারের ১৬ সদস্যসহ নিহত ৭৫
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে একই পরিবারের ১৬ সদস্যসহ অন্তত ৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।ফিলিস্তিন সিভিল ডিফেন্স-এর মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল আল জাজিরাকে জানান, গাজা সিটির সাবরা এলাকায় শনিবার ভোরে কোনোরকম সতর্কতা বা আগাম ঘোষণা ছাড়াই ভবনটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা একটি বেসামরিক লোকজনভর্তি ভবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।গাজা সিটির বাসিন্দা হামেদ কেহিল আলজাজিরাকে বলেন, অন্যান্য বছর এ সময় আমরা সকাল সকাল উঠে নিজেদের এবং বাচ্চাদের নতুন পোশাকে সাজিয়ে বন্ধু-আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। আর এবার আমরা আমাদের শিশু ও স্বজনদের লাশ বহন করছি। গতকাল ভোররাতে আমাদের ঘুম ভেঙেছে হামলা, ধ্বংস আর আর্তনাদের শব্দে।গাজা সিটির অপর বাসিন্দা হাসান আলখোর আল জাজিরাকে বলেন, গত প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যা যা করেছে, সেজন্য যেন নেতানিয়াহু (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী)-কে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৮ জুন ২০২৫ ০৯:৪০ এএম
গাজায় থাই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে থাইল্যান্ডের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার (৭ জুন) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, শুক্রবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ অঞ্চলে এক বিশেষ অভিযানের সময় **নাত্তাপং পিন্টা** নামের ওই থাই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩৫ বছর বয়সী নাত্তাপং ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ওই সময় হামাসের হামলায় তিনি জিম্মি হন।এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে গাজায় আরেক অভিযানে দুই ইসরায়লি-আমেরিকানের মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপরেই থাই নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলো। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নাত্তাপং বিবাহিত ছিলেন এবং তার একটি সন্তান রয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, বর্তমানে ৫৪ জন এখনও হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩১ জন ইতোমধ্যেই মারা গেছেন।অন্যদিকে, ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত **৫৪,৬৭৭ জন নিহত** হয়েছেন বলে দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।ভোরের আকাশ।। হ.র
০৮ জুন ২০২৫ ১২:০১ এএম
ঈদের দিনেও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২
ঈদ-উল-আযহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে। দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
০৭ জুন ২০২৫ ১১:৩১ এএম
গাজায় মধ্যরাতের ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫১ ফিলিস্তিনি
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সাম্প্রতিক আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫১ জন ফিলিস্তিনি। মঙ্গলবার (১৩ মে) মধ্যরাতে শুরু হওয়া এই হামলা ছিল বিশেষভাবে ভয়াবহ। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪৫ জন উত্তর গাজার বাসিন্দা।বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মধ্যরাতের এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় এবং নাসের হাসপাতালে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা একজন সাংবাদিকসহ নিহত হন কমপক্ষে ৩০ জন।এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, “এমন পরিস্থিতি কখনোই আসবে না, যেখানে আমরা যুদ্ধ বন্ধ করব।”গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন। বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।অন্যদিকে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে চালানো এক আক্রমণে ইসরায়েলে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করা হয় বলে জানায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।ভোরের আকাশ//হ.র
১৫ মে ২০২৫ ০১:৫৪ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩ শিশুসহ নিহত ১৬
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় ৩ শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর: আরর নিউজ।গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে আল-মাওয়াসির এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই বছর বয়সী দুইটি শিশুও রয়েছে।তিনি আরও জানান, আল-মাওয়াসিরের একটি তাঁবুতে চালানো অপর হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ১০ জন, যাদের মধ্যে একজন শিশু ও সাতজন নারী রয়েছেন।এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদমাধ্যম এএফপি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করে, গত দুই দিনে গাজা জুড়ে তারা ১০০টিরও বেশি স্থানে হামলা চালিয়েছে। এতে “অস্ত্রের গুদাম” ধ্বংস এবং “বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী”কে হত্যা করা হয়েছে বলেও জানায় তারা।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। চলতি বছরের শুরুতে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে গেলেও, তা ভেঙে ১৮ মার্চ থেকে পুনরায় আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মার্চের পর নতুন করে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪৩৬ জন নিহত হয়েছেন। সবমিলিয়ে চলমান সংঘাতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৫৩৫ জনে।ভোরের আকাশ//র.ন
০৫ মে ২০২৫ ০৫:৪৪ পিএম
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫১ হাজারে পৌঁছে গেছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।এতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৯৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আহত হওয়া আরও ১১৮ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪ জনে পৌঁছেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬১৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ