‘নির্বাচনের আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো হবে’
নির্বাচনের আগে যে কোনো মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো হবে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।শনিবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।তিনি বলেন, এখন থেকে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। সরকার সুশৃঙ্খল পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রধান উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো অবহেলা সহ্য করা হবে না। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।নির্বাচন কাভারেজে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার সাংবাদিকরা পূর্বের মতো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়বেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকরা কোথাও বাধার মুখে পড়লে, তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে পারবেন।প্রেস উইং আরও জানায়, নির্বাচন পরিচালনায় যারা পূর্বে অনিয়মে জড়িত ছিলেন, তাদের বাদ দিয়ে যোগ্য ও সৎ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুক্ত করা হচ্ছে। সাংবাদিক পাস ব্যবহার করে রাজনৈতিক কর্মীরা যেন ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়েও কঠোর নজরদারি থাকবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আক্তার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ জুলাই ২০২৫ ১২:০৫ পিএম
রোজার আগে নির্বাচন হতে পারে: প্রেস উইং
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি শেষ হলে রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ জন্য তিনি আগামী মাসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কঠোর হতে বলেছেন।প্রেস সচিব আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
১০ জুলাই ২০২৫ ০৩:৪৯ এএম
মাকে হাসপাতালে রেখে কেন্দ্রে দেরিতে আসা ছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া বিবেচনাধীন: প্রেস উইং
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। পরীক্ষার প্রথম দিনে অসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে যেতে দেরি হয় এক ছাত্রীর। এ কারণে তিনি প্রথম দিনের পরীক্ষা দিতে পারেননি।কেন্দ্রে দেরিতে পৌঁছে পরীক্ষা দিতে না পারায় ছাত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।বিষয়টি ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিষয়টা নিয়ে আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। পোস্টে বলা হয়, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেছেন, মানবিক বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।সি আর আবরার আরও বলেন, ‘তার (ছাত্রী) এ দুঃসময়ে আমরাও সমব্যথী। এ পরীক্ষার্থীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ভোরের আকাশ/জাআ
২৭ জুন ২০২৫ ০১:০৪ পিএম
মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর: প্রেস উইং
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বুধবার (৪ জুন) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসুবক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এই নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।তিনি জানান, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ