গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ এবং মুক্তিপণ দাবি; গ্রেফতার ২
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সেনাবাহিনী ও র্যাব অফিসার পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবিকালে দুই প্রতারককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। রোববার (১৫ জুন) বিকালে সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর শরীফপাড়া গ্রামের তোফেল শরীফের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪২) ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জোয়ারিয়া গ্রামের সুভাষ ঢালীর ছেলে শ্রীবাস ঢালী (৩২)।গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বিশ্বাস ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান, সুকতাইল ইউনিয়নের চরতালা গ্রামের সোনা মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে সেনাবাহিনী ও র্যাব অফিসার পরিচয়ে দিয়ে একটি ইজিবাইকে করে চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামে নিয়ে যায় হাবিবুর রহমান ও শ্রীবাস ঢালী। পরে সোনা মিয়ার ফোন দিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুমকি দেয়।বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ওই প্রতারকদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় স্থানীয়রা একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তাদের গণধোলাই প্রদান করে। পরবর্তীতে পুলিশে খবর দিলে গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির থেকে একটি দল এসে তাদের গ্রেফতার করে ফাড়িতে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী সোনামিয়া বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৬ জুন ২০২৫ ০২:৫৮ পিএম
লালপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৮ জুয়াড়ি আটক
নাটোরের লালপুরে জুয়ার আসরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১১ টায় দক্ষিণ লালপুর (বাঙ্গালপাড়া) এলাকায় লালপুর সেনা ক্যাম্পের সহায়তায় পরিচালিত একটি অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন, বদরুলের ছেলে রকি খান (২৫), আইয়ুব আলীর ছেলে সজীব ইসলাম (২২), খালেক মোল্লার ছেলে জাকির মোল্লা (২০), ফারুক হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন (১৫), অমিত বেপারীর ছেলে সুখ চাঁদ বেপারী (২৬), আলম চানের ছেলে সবুজ (২৫), আক্কাসের ছেলে সালাম (৪০), ছবির শেখের ছেলে রাজন শেখ (১৭)।এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২৯ হাজার ৭শত ৪০টাকা উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। পরে তাৎক্ষণিক তাদের লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।ভোরের আকাশ/আজাসা
১৫ জুন ২০২৫ ০৫:০০ পিএম
যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জে এক মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে যৌথ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা এবং অবৈধ সুদের কারবারের প্রমাণসহ মোঃ মুকুল (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত মুকুল শিবগঞ্জ এলাকার মোহাম্মদ আইনুল ইসলামের ছেলে।শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে পরিচালিত অভিযানে আটক ব্যক্তির বাড়ি ও দোকান থেকে একটি পিস্তল, ৪৭০ পিস ইয়াবা এবং ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে নেওয়া ব্লাংক চেক ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়।অভিযান পরিচালনাকারী দলের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যপারপুকি এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মূল লক্ষ্য ছিল এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মো. মুকুল (৩৮)।সূত্র জানায়, প্রথমে মুকুলকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশের একটি দলের উপস্থিতিতে তার বাড়ি ও দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, একটি চায়না পিস্তল, একটি লোহার স্প্রিং স্টিক, একটি চাইনিজ কুড়াল ও ৪৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। অভিযানে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া স্বাক্ষরিত ব্ল্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পও জব্দ করা হয়।অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আটক মুকুল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি এলাকায় অবৈধভাবে উচ্চ সুদে টাকা লাগানোর কারবারের সাথেও জড়িত ছিলেন।এছাড়া তার কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১ দিরহামের দুটি নোট ও ৫ দিরহামের একটি নোট, সিঙ্গাপুরের ২ ডলারের একটি নোট, শ্রীলঙ্কার ১০০ রুপির একটি নোট এবং ভারতের ১০ রুপির একটি নোট।পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ৩০টি কয়েনও জব্দ করে যৌথবাহিনী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ জুন ২০২৫ ০১:৫৬ পিএম
সিরাজগঞ্জে দুই মহল্লায় সংঘর্ষ: যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৭
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ভাঙাবাড়ি ও দিয়ার ধানগড়া মহল্লাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। টানা তিন দিন ধরে দফায় দফায় এই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেল থেকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।অভিযানে নেতৃত্ব দেয় সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন। সঙ্গে ছিল পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানের সময় ভাঙাবাড়ি ও দিয়ার ধানগড়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী এবং তল্লাশি চালানো হয় একাধিক বাড়িতে।অভিযানকালে গ্রেপ্তার ১৭ জনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, হেলমেট ও লাঠিশোঠা। এসব অস্ত্র সংঘর্ষে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও পরবর্তী সংঘর্ষের জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিলো বলে জানা গেছে।স্থানীয় এলাকাবাসী সংঘর্ষের কারণে গত কয়েকদিন ধরে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন। দোকানপাট বন্ধ, রাস্তাঘাট ফাঁকা ও রাতে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যৌথবাহিনীর এই হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে দুই এলাকার পরিবেশ।সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন জানিয়েছে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং সংঘর্ষে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ জুন ২০২৫ ১২:২১ পিএম
সাতকানিয়ায় অপহরণকৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত জহির উদ্দিন মিন্টু (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের স্লুইস গেট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।জহির উদ্দিন মিন্টু উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব গাটিয়াডাঙ্গা এলাকার আবদুল কাদেরের ছেলে ও বালু ব্যবসায়ী।পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি থেকে বের হন জহির উদ্দীন মিন্টু। রাত ১০টার পরে পরিবারের কাছ ফোন করে অপহরণকারী জহিরকে উদ্ধারের জন্য ১৫ লাখ মুক্তিপণ দাবি করে। তারা থানায় ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেন।রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম সাতকানিয়া বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। অপহরণকারীরা যৌথবাহিনীর অবস্থান টের পেয়ে জহির উদ্দিন মিন্টুকে ছেড়ে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ভোর সোয়া ৫টার দিকে জহির উদ্দিন মিন্টুকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।সাতকানিয়া সেনা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন পারভেজ জানান, এক ব্যক্তি অপহরণ হয়েছে খবর পেয়ে আমরা পুলিশকে সাথে নিয়ে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করি। অপহরণের পর অপহরণকারীরা ভিকটিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে এবং ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের টাকা না দিলে ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দেয় তারা।তিনি আরও জানান, অভিযানে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে রাতব্যাপী তল্লাশি চালানো হয়। সারারাত অভিযান চালিয়ে যৌথ টহল দল সফলভাবে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। অপহরণকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়, ফলে কাউকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে অপহরণের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ